অপরিচ্ছন্ন পোশাকে কৃষককে মেট্রোতে উঠতে বাধা দেয়ার ঘটনাটি বাংলাদেশের নয়

12
অপরিচ্ছন্ন পোশাকে কৃষককে মেট্রোতে উঠতে বাধা দেয়ার ঘটনাটি বাংলাদেশের নয় অপরিচ্ছন্ন পোশাকে কৃষককে মেট্রোতে উঠতে বাধা দেয়ার ঘটনাটি বাংলাদেশের নয়

Published on: [post_published]

যা ছড়িয়েছে: একজন কৃষককে মেট্রো রেলে, উঠতে দেওয়া হয়নি, যার কারণে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছে।

ফ্যাক্টওয়াচের সিদ্ধান্ত: দাবিটি বিভ্রান্তিকর। কৃষককে মেট্রোরেলে উঠতে না দেয়ার ঘটনাটি বাংলাদেশের নয়। মূল ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বেঙ্গালুরুর রাজাজিনগর মেট্রো স্টেশনে। কিন্তু ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এসব সংবাদের শিরোনামে নির্দিষ্ট কোনো দেশ বা স্থানের উল্লেখ নেই। যে কারণে সংবাদটি দেখে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটি হয়তো বাংলাদেশের ঘটনা। যার ফলে সাধারণ ব্যবহারকারীদের অনেকে বিষয়টি বাংলাদেশের ঘটনা ভেবেছেন। অনেকেই আবার ঘটনাটির জন্য বাংলাদেশে দায়িত্বরত মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে সমালোচনা করে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এমন কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

 

ফেসবুকে আলোচিত সংবাদটি বাংলাদেশের মূলধারার কয়েকটি গণমাধ্যমে অপরিচ্ছন্ন পোশাক, কৃষককে মেট্রোতে উঠতে বাধা বা কৃষককে উঠতে দেয়া হলো না মেট্রো রেলে, সমালোচনার ঝড় ইত্যাদি শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদটির সাথে একটি ফটোকার্ড ব্যবহার করা হয়েছে। ফটোকার্ডটিতে একজন ব্যক্তিতে দেখা যাচ্ছে যার মাথায় বস্তাজাতীয় কিছু। উক্ত সংবাদটির বিস্তারিত অংশে যেয়ে দেখা যায়, ঘটনাটি ভারতের বেঙ্গালুরুর রাজাজিনগর মেট্রোস্টেশনে ঘটেছে। তবে শিরোনামে কোনো স্থানের নাম উল্লেখ করা হয়নি। ঘটনাটি সম্পর্কে ভারতীয় গণমাধ্যমে কি বলা হয়েছে তা জানতে প্রাসঙ্গিক কিছু কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করে গুগলে সার্চ করা হয়। সেখানে দেখা যায়, The Indian Express থেকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে শিরোনাম হিসেবে ব্যবহার হয়েছে, “Bengaluru Metro sacks security supervisor amid outrage over denial of entry to farmer over attire”. INDIA TODAY থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের শিরোনামে বলা হয়েছে, “Farmer denied entry in Bengaluru metro over ‘shabby clothes’, official sacked”

লক্ষনীয় যে, ভারতে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে যে সকল প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে সেখানে সংবাদের শিরোনামেই ঘটনাস্থলের উল্লেখ আছে। অথচ বাংলাদেশের গণমাধ্যমের শিরোনামে স্থানের উল্লেখ নেই। যার ফলে স্বভাবতই জনসাধারণ বিভ্রান্ত হয়েছেন। বিভ্রান্তির কিছু নমুনা নিচে দেখানো হলোঃ

সুতরাং, সবকিছু বিবেচনা করে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া সংবাদটিকে ফ্যাক্টওয়াচ “বিভ্রান্তিকর” হিসেবে সাব্যস্ত করেছে।

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

No Factcheck schema data available.