ভার্জিনিয়ায় ঈদের নামাজে বাধা দেয়া নারীটি হিন্দু নন

13
ভার্জিনিয়ায় ঈদের নামাজে বাধা দেয়া নারীটি হিন্দু নন ভার্জিনিয়ায় ঈদের নামাজে বাধা দেয়া নারীটি হিন্দু নন

Published on: [post_published]

আমেরিকার একটি মসজিদে ঈদের নামাজ পড়ার সময় এক ভারতীয় হিন্দু নারী নামাজে বাধা প্রদান করেছেন- এমন একটি খবর এবং ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, আমেরিকার ভার্জিনিয়া এলাকায় গত ২১শে এপ্রিলের ওই ঘটনায় কোনো হিন্দু নারী জড়িত ছিলেন না, বরং তিনি একজন মুসলিম নারী, এবং মানসিকভাবে কিছুটা অসূস্থ।

গুজবের উৎস

ভাইরাল কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে , এখানে , এখানে , এখানে , এখানে , এখানে

এসব পোস্টে ৪৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও দেখা যাচ্ছে, যেখানে মসজিদের এক কোণে ২ জন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর কর্মীদের সাথে উক্ত নারীকে বাক বিতণ্ডা করতে দেখা যায়। এক পর্যায়ে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে সেখান থেকে জোর করে সরিয়ে নিয়ে যায়।

ফ্যাক্টওয়াচ অনুসন্ধান

গত ২২শে এপ্রিল All Dulles Area Muslim Society (ADAMS) এর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে একটি বিবৃতির মাধ্যমে জানানো হয় , আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে গত শুক্রবার,২১শে এপ্রিল সকালে এ্যাডামস স্টার্লিং, ভার্জিনিয়াতে ঈদের নামাজের সময়ে যে দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছিল, সেখানে মুসলিম নাগরিক জড়িত ছিলেন, যিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছেন।

(We want to clarify that the recent incident at the mosque on Friday, April 21, during the ADAMS Sterling, Virginia, Eid prayer involved an individual from the Muslim community struggling with mental health issues.)

এই বিবৃতিতে উক্ত ব্যক্তির নাম, জাতীয়তা বা জেন্ডার ইত্যাদি কিছুই উল্লেখ করা না হলেও এটা নিশ্চিত করা হয়েছে যে তিনি মুসলিম কমিউনিটি থেকেই এসেছেন। অর্থাৎ তিনি হিন্দু নন।

একই বিবৃতি All Dulles Area Muslim Society (ADAMS) এর ইন্সটাগ্রাম একাউন্ট থেকেও দেওয়া হয়েছে।

এই বিবৃতির বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম অপ ইন্ডিয়া প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ভারতভিত্তিক ফ্যাক্টচেকিং অর্গানাইজেশন নিউজচেকার এটা নিয়ে ফ্যাক্টচেকিং প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

তাই যেসকল পোস্টে আমেরিকার এই ঘটনায় হিন্দু নারীর সংশ্লিষ্টতার দাবি করা হয়েছে, ফ্যাক্টওয়াচ সেসকল পোস্টকে মিথ্যা সাব্যস্ত করছে।

আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন?
নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?

এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান।
আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

No Factcheck schema data available.