ইতিহাসের ৫টি ভয়ংকর ফ্লু

Published on: August 11, 2021

আপন দাস 

ইনফ্লুয়েঞ্জা (Influenza) শ্বাসতন্ত্রের একটি সংক্রামক রোগ যা ‘ফ্লু’ নামেই অধিক পরিচিত। এটি একটি টিকা-প্রতিরোধযোগ্য অসুখ। এর জীবাণু ক্রমাগত পরিবর্তন (মিউটেট) হওয়ায় ক্ষেত্রবিশেষে প্রতি বছর একটি নতুন টিকার প্রয়োজন পড়ে। এর জীবাণু সংক্রামিত ব্যক্তির কাশি বা হাঁচি থেকে তৈরি ফোঁটা দ্বারা ছড়িয়ে পড়ে সুস্থ ব্যক্তির দেহে। এছাড়া সংক্রামিত ফোঁটাগুলো যেখানে পরে সেই পৃষ্ঠগুলো স্পর্শ করার ফলেও ফ্লু ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই রোগটি কোনও সংক্রামিত ব্যক্তির দ্বারা সুস্থ ব্যক্তির দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে সংক্রামিত ব্যক্তির উপসর্গগুলো শুরু হওয়ার আগেই। এই রোগের সাধারণ উপসর্গগুলো হচ্ছে জ্বর, ঠান্ডা ,কাশি, গলা ব্যথা এবং নাক ঝরা বা বন্ধ নাক। আজকের আয়োজন ইতিহাসের ৫টি ভয়ংকর ইনফ্লুয়েঞ্জা (ফ্লু) নিয়ে।

ছবি: অণুবীক্ষণ যন্ত্রে ইনফ্লুয়েঞ্জার জীবাণু

ইতিহাসের পাতায় এই রোগের প্রথম সন্ধান পাওয়া যায় ২৪০০ বছর আগে। জীবাণুবাহিত এই রোগটির জন্য দায়ী অর্থোমিক্সোভিরিডি (Orthomyxoviridae) পরিবারের একটি জীবাণু বা ভাইরাস। এই জীবাণুটি সাধারণত বিভিন্ন রূপে মানুষ, পাখি, গবাদি পশু প্রভৃতি জীব প্রজাতি কে নিজের পোষক হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। অর্থাৎ বিভিন্ন প্রাণীর দেহে এই রোগের জীবাণু প্রবেশ করে, বাসা বাঁধে এবং সময়ের সাথে সাথে নিজের বাসা (প্রাণীর দেহ) পরিবর্তনও করে। নতুন প্রাণীর দেহে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে কোনোরকম প্রতিরোধ ব্যবস্থা না থাকায় সেটি দ্রুত শরীরে বংশবিস্তার করতে থাকে। এরপর সেই প্রাণীর দেহ থেকে অন্যান্য প্রাণীর দেহেও এটি ছড়িয়ে পরে এবং অনেক সময় মৃত্যুও ঘটায়। জীবাণুবাহিত এই রোগের প্রধান লক্ষণগুলো হচ্ছে কাশি, স্বরভঙ্গ, সর্দি, জ্বর, উদরাময়, ও শরীর ব্যথা। সাধারণত জীবাণু সংক্রমণের দুই থেকে আট দিনের মধ্যে উপসর্গ দেখা দেয়। ইনফ্লুয়েঞ্জা জীবাণু কে টাইপ এ, বি, সি, এবং ডি; এই চার শ্রেনীতে ভাগ করা যায়। এদের মধ্যে ‘টাইপ এ’ বেশ মারাত্মক রকমের ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারী, ‘টাইপ বি’ ছোট স্থানীয় প্রাদুর্ভাব, ‘টাইপ সি’ মানুষের মাঝে মৃদু শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা সৃষ্টি করে। কেবল ‘টাইপ ডি’ ইনফ্লুয়েঞ্জা জীবাণু গবাদি পশু ও শুকর কে সংক্রমিত করে। সাধারণত ৩ ভাবে এই জীবাণুর সংক্রমণ ঘটে। ১) আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে সাধারণত এই রোগের বিস্তার ঘটে। তাই যদি কোনো সুস্থ ব্যক্তির কাছাকাছি কোনো আক্রান্ত ব্যক্তি অবস্থান করে, আক্রান্ত সেই ব্যক্তি থেকে সুস্থ ব্যক্তিরও সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। ২) আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে জীবাণু বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে এবং সেই বাতাস সুস্থ ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করলে সংক্রমণ ঘটে। ৩) জীবাণুবাহিত হাত দ্বারা মুখ, নাক ও চোখ স্পর্শ করলে। এছাড়া ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রাদুর্ভাবের একটা সম্পর্ক প্রায়ই লক্ষ্য করা যায়।

ছবি: গ্রিক বিজ্ঞানী হিপোক্রেটিস

সংক্রমণের ইতিহাস

গ্রিক বিজ্ঞানী হিপোক্রেটিস ২৪০০ বছর আগে সর্বপ্রথম ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের লক্ষণ লিপিবদ্ধ করেন। এরপর সময়ের পরিক্রমায় এই ভাইরাসটি বিশ্বব্যাপী নানা মহামারী সৃষ্টি করেছে। এর মধ্যে সবচাইতে ভয়ঙ্কর মহামারী ছিলো ১৯১৮ সালের ‘স্প্যানিশ ফ্লু’। ১৯১৮-১৯১৯ এই একবছরে প্রায় ৫ কোটি মানুষের মৃত্যু ঘটে যার জন্য দায়ী ছিলো টাইপ-এ ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস। এই জীবাণুটিরই আরেকটি প্রজাতি দ্বারা ১৯৫৭-১৯৫৮ এর দিকে এশিয়াতে একটি মহামারীর সৃষ্টি হয় যেখানে প্রায় ১০ থেকে ১৫ লক্ষ মানুষ মারা যায়। সেই মহামারীর নাম দেয়া হয়েছিল ‘এশিয়ান ফ্লু’। ১৯৬৮-১৯৬৯ এর দিকে জীবাণুটির ভিন্ন একটি প্রজাতির মাধ্যমে আরেকটি মহামারীর সৃষ্টি হয় যা ‘হংকং ফ্লু নামে পরিচিত। এই ফ্লু’তে মারা গিয়েছিল প্রায় সাড়ে সাত থেকে দশ লক্ষের মতন মানুষ। এছাড়াও ‘বার্ড ফ্লু’ ও ‘সোয়াইন ফ্লু’ নামের দুটি ইনফ্লুয়েঞ্জা বিভিন্ন সময়ে বিশ্বব্যাপী তৈরি করেছে আতংক যা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনও গভীরভাবে চিন্তিত। উক্ত ৫ টি মহামারীর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস নীচে তুলে ধরা হলো।

স্প্যানিশ ফ্লু

১৯১৮ সালে সবে তখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়েছে। বিশ্ব দেখেছে মানবজাতীর মধ্যকার ধ্বংসলীলা। আর এরই মাঝে নীরবে এসেছিলো এক মহামারী যার নাম ‘স্প্যানিশ ফ্লু’। কেউ কি তখন ঘুণাক্ষরেও টের পেয়েছিলো যে এই মহামারী কেড়ে নিতে যাচ্ছে প্রায় ৫ কোটি মানুষের প্রাণ। ১৯১৯ সালে রয়্যাল সোসাইটি অব মেডিসিনের জন্য স্যার আর্থার নিউজহোমের করা এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সে সময় গণপরিবহণ, সৈনিক বহণকারী যানবাহন এবং যুদ্ধ উপকরণ তৈরির কারখানার মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ। এটি ছিলো মূলত একপ্রকার জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত ইনফ্লুয়েঞ্জা যার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিষেধক বা অ্যান্টিবায়োটিক তখনও আবিষ্কৃত হয়নি। গণসংক্রমণ ঠেকাতে তৎকালীন যুক্তরাষ্ট্রে কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো ধরণের লকডাউন জারি না হলেও থিয়েটার, হল এবং উপাসনালয়সহ সকল জনসমাগমের সম্ভাব্য স্থান বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। এটি প্রথমে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি এবং ফ্রান্সে ছড়িয়ে পরলেও এর সঠিক উৎস সম্পর্কে জানা যায়নি। সেসময় যুদ্ধ বিধ্বস্ত অনেক দেশের সরকার ফ্লু’তে মৃতের সংখ্যা কম করে লিখতে নির্দেশ দিয়েছিল সেদেশের গণমাধ্যমগুলোকে। অপরদিকে স্পেনে এধরনের কোনো চাপ ছিলো না। এমনকি তৎকালীন স্পেনের রাজা ত্রয়োদশ আলফোন্সোর অসুস্থতার খবরও কয়েকটি পত্রিকায় ফলাও করে ছাপা হয়েছিল। ফলে বিশ্ববাসীর মনে ধারণা জন্মায় স্পেনেই হয়তো এই রোগের উৎপত্তি এবং সেখানে এটি মারাত্মক আকার নিয়েছে। তারপর থেকে জনসাধারণের কাছে এই রোগের নাম রটে  যায় ‘স্প্যানিশ ফ্লু’।

ছবি: যুক্তরাষ্ট্রের ক্যানসাসে স্প্যানিশ ফ্লু তে আক্রান্ত রোগীদের ক্যাম্পের একটি দৃশ্য

এশিয়ান ফ্লু

১৯৫৭ সালে সর্বপ্রথম হংকং-এ এই ভাইরাসটির সংক্রমণ ঘটে যা পরে সিঙ্গাপুরেও প্রবেশ করে। H2N2 নামক টাইপ-এ জীবাণুর মাধ্যমে এই ইনফ্লুয়েঞ্জা ছড়িয়েছিল এবং মহামারীর আকার ধারণ করেছিল যা পরবর্তীতে এশিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা নামে পরিচিত লাভ করে। ১৯৫৭ সালের জুনের মধ্যে এটি যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়ে যেখানে প্রায় ৭০,০০০ মানুষের মৃত্যু ঘটে। অন্যদিকে বিখ্যাত টিকাবিজ্ঞানী ড. মরিস র‍্যালফ হিলেম্যান ততদিনে জিনের পরিবর্তনের এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার নতুন নতুন রূপ পরিবর্তন (ভ্যারয়েন্ট) ব্যাপারটা আবিষ্কার করেছিলেন। বিশ্বব্যাপী সামরিক ইনফ্লুয়েঞ্জা নজরদারি জন্য কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগার পরিচালনা করার অভিজ্ঞতাও তাঁর ছিলো। নবাগত ইনফ্লুয়েঞ্জাটি যে অচিরেই মহামারীর রূপ নেবে, সেটা তিঁনি আগেই আন্দাজ করে ফেলেছিলেন। তাই দেরী না করে তিনি তাত্ক্ষণিক হংকং থেকে নমুনা সংগ্রহের জন্য একটি দল প্রেরণ করেছিলেন এবং নতুন প্রজাতিটিকে আলাদা ভাবে শনাক্ত করতে সফল হয়েছিলেন।নমুনা হাতে পাবার পর  মুরগির ডিমের কুসুমে সেই জীবাণুকে বড় করে, এর সংক্রমণ ক্ষমতা কমিয়ে হিলম্যান তৈরি করেছিলেন নতুন এক টিকা। পরবর্তীতে সেই টিকার ৪০ মিলিয়ন ডোজ তৈরি করা হয়েছিলো যার বিনিময়ে বেঁচে যায় বহু মানুষের প্রাণ। পৃথিবীর ইতিহাসে এই প্রথম মহামারী ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার আগেই সেটির প্রতিষেধক দিয়ে রুখে দেওয়ার উদাহরণ তৈরি করেছিলেন ড. হিলম্যান।

হংকং ফ্লু

১৯৬৮ সালের ১৩ই জুলাই হংকং-এ সর্বপ্রথম এই রোগ ধরা পরে। ধারণা করা হয় এর উৎপত্তিস্থল চায়না। একই বছর জুলাইয়ের শেষের দিকে ভিয়েতনাম এবং সিঙ্গাপুরে এটি মারাত্মক আকার ধারণ করে। সেপ্টেম্বরে ভারত, ফিলিপাইন, অস্ট্রেলিয়া এবং সর্বশেষ ইউরোপে প্রবেশ করে এই ভাইরাস টি। H3N2 প্রজাতির টাইপ-এ ভাইরাসের মাধ্যমে এই ইনফ্লুয়েঞ্জা ছড়ায়। হংকং তখন একটি ঘনবসতিপূর্ণ জায়গা ছিলো যেখানে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ছয় হাজার মানুষ বসবাস করতো। যার ফলে প্রাদুর্ভাবের মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে এটি দ্রুত ছড়িয়ে পরে। তবে বিংশ শতাব্দীর অন্যান্য মহামারী গুলোর তুলনায় এটিতে মানুষের মৃত্যু সংখ্যা কম ছিলো।

ছবি: ১৯৬৮ সালে ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারী চলাকালে  হংকং এর একটি হাসপাতালে অপেক্ষারত রোগীদের ভীড়

বার্ড ফ্লু

এটি এভিয়ান ফ্লু নামেও পরিচিত যা সর্বপ্রথম ধরা পরে ১৯৯৬ সালে চায়নার গুয়াংডং প্রদেশের একটি হাঁসের খামারে। পরবর্তী একই জীবাণুর অন্য একটি প্রজাতি পাওয়া যায় উত্তর আমেরিকায়। ১৯৯৭ সালে এটি হাঁস থেকে মানুষে সংক্রমিত হবার তথ্য পাওয়া যায়। H5N1 প্রজাতির একটি ভাইরাসের মাধ্যমে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে এবং শুরুর দিকে আক্রান্ত হওয়ার রোগীদের ৬০ শতাংশই মারা গিয়েছিল। ২০০৩ সালের মাঝামাঝি  সময়ে এটি হাঁস-মুরগী সহ অন্যান্য গৃহপালিত পাখির মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রায় ৬০টি দেশে ছড়িয়ে পরে। ২০০৭ সালে  বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার আশপাশে এই রোগের প্রথম সন্ধান পাওয়া যায়। এই রোগের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো হাস-মুরগীর মত গৃহপালিত পাখি থেকে এটি অন্য পাখিতেও ছড়ায় বা সংক্রমণ ঘটায়। আক্রান্ত পাখিরা খুব দ্রুত একস্থান থেকে অন্য স্থানে চলে যেতে পারে বলে এই রোগটিও দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। আবার প্রকৃতিতে অবাধ বিচরণ করা উন্মুক্ত পাখির মাধ্যমে এই রোগ সহজেই গৃহপালিত পাখিতে সংক্রমিত করতে পারে। এটি সংক্রমণের ১-৩ দিন পর সাধারন ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতোই কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। জ্বর, গা ব্যথা, গা ম্যাজম্যাজ করা, ঠান্ডা লাগা, হাঁচি, কাশি, মাথাব্যথা, মাংসপেশি ব্যথা, বমি, পাতলা পায়খানা ইত্যাদি এর প্রধান উপসর্গ। এই মহামারীর ফলে পোল্ট্রি শিল্পে ধ্বস নেমে এসেছিল বহুবার। রোগটির প্রথম উদ্ভবের সময়ে শুধু ভিয়েতনামেই প্রায় পাঁচ কোটি হাঁস মুরগী মেরে ফেলা হয়েছিল।

সোয়াইন ফ্লু

সোয়াইন বা শূকরের মাঝে প্রথম এই রোগের জীবাণু পাওয়া গিয়েছে বলে এর নাম সোয়াইন ফ্লু। অন্যান্য ইনফ্লুয়েঞ্জা  মতই এটিও শ্বাসনালীতে সংক্রমন করে থাকে। ২০০৯ সালের এপ্রিলে উদ্ভব হওয়া জীবাণুটির সাংকেতিক নাম (H1N1)। সর্বপ্রথম এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মেলে মেক্সিকোর ভেরাক্রুজ অঞ্চলে। সংক্রমণের শুরুর দিকে এটি প্রতিরোধের জন্য মেক্সিকো সরকার সকল ধরণের জনসমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এই জীবাণুটি কিন্তু শূকরের মাংস খাওয়ার মাধ্যমে ছড়ায় না এবং অন্যান্য ইনফ্লুয়েঞ্জার জীবাণু থেকে অনেকটাই আলাদা। প্রথম সংক্রমণের মাস এপ্রিলেই এই রোগে মৃতের সংখ্যা আঠারো হাজারের বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র মতে এই রোগে সারা বিশ্বব্যাপী প্রায় ২,৮৪,৫০০ জন মানুষ মারা গিয়েছিল, এবং মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশী ছিল আফ্রিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। ২০০৯ এর ১৯ নভেম্বরে অবশেষে এর টিকা আসে এবং যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থা সেটির অনুমোদন দেয়।

বিজ্ঞানীরা বলছেন সোয়াইন ফ্লু’র জীবাণুটি আসলে কয়েকটি জীবাণুর সংমিশ্রণ যা মানুষ, পাখি এবং শূকরের মাঝে পূর্বেও পাওয়া গেছে। ২০০৯ এর জুন মাসে বিশ্বের ৭৪ টি দেশে নতুন এই ইনফ্লুয়েঞ্জা জীবাণুটি ছড়িয়ে পরায় বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা একে মহামারী বলে ঘোষণা দেয়। ২০০৯ সালের ১৮ জুন বাংলাদেশে প্রথম সোয়াইন ফ্লু তে আক্রান্ত রোগী সনাক্ত করা হয়। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ১০২ জন রোগী পাওয়া গিয়েছে। অপরদিকে আমাদের পার্শবর্তী দেশ ভারতে এ যাবত এই রোগে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে ২,৭২২ জন।  সোয়াইন ফ্লুতে ভারতে মৃত্যু সংখ্যা এ পর্যন্ত ৬০ জন হলেও বাংলাদেশে এখনও এই রোগে কেউ মারা গিয়েছে বলে তথ্য পাওয়া যায়নি।

 

তথ্যসূত্র:

১) ইনফ্লুয়েঞ্জা

২) হংকং ফ্লু

৩) বার্ড ফ্লু

৪) এভিয়ান ফ্লু

৫) সোয়াইন ফ্লু

৬) ফ্লু কি?

 

আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন?
নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?

এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান।
আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

 

Leave a Reply