ভারতে ধর্মীয় উস্কানি ছড়াতে ব্যবহৃত হচ্ছে নোয়াখালির ভিডিও

ডিসেম্বরের বিশ তারিখে ফেসবুকে একটি ভারতীয় ফেসবুক পাতা থেকে বিতর্কিত ক্যাপশন সহ আপলোড করা হয় একটি ভিডিও। ভিডিওর সাথে থাকা হিন্দি ক্যাপশনের বাংলা অনুবাদ করলে হয়,
“রাজস্থানে কংগ্রেস সরকার গঠনের ঠিক পরপরই মুসলিমরা মারওয়ারি হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। জায়সালমারের দারতি গ্রামে হত্যা করেছে দুইজন হিন্দুকে।”

স্বভাবতই এমন ক্যাপশন সম্বলিত ভিডিওটি মুহুর্তের মধ্যেই ভারতের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবেদনটি লেখার আগ পর্যন্ত ভিডিওটিকে দেখা হয়েছে প্রায় ২৪ হাজার বার। দেড় হাজার সংখ্যক ব্যবহারকারী ভিডিওটিকে শেয়ার করেছেন।

বেশ হৃদয়বিদারক বার্তা প্রদান করা ভিডিওটি আসলে বাংলাদেশের নোয়াখালীর। ভিডিওতে থাকা মানুষজনের ভাষা থেকে সেটি বেশ স্পষ্ট হয়ে যায়। নোয়াখালিতে এরকম ঘটনা ঘটেছে কিনা সেটি অনুসন্ধান করতে গেলে দেশের ইংরেজি পত্রিকা দ্যা ডেইলি স্টার-এর ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায়, ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারির শেষে জামাত-শিবিরের অনুসারীরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হিন্দুদের উপর আক্রমণ করে। তাদের ঘরবাড়িতে আগুন দেবার পাশাপাশি সারা দেশে ছয়টি মন্দিরেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।

আক্রান্ত স্থানগুলির ভেতর ছিলো নোয়াখালীর রাজগঞ্জ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড প্রদানের প্রতিক্রিয়া হিসেবে বের করা মিছিল থেকে এই হামলা চালানো হয় বলে জানা যায় বিডিনিউজ২৪ ডট কমের প্রতিবেদনে

ইউটিউবে অনুসন্ধান চালানো পর আট মিনিট পাঁচ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পেয়েছে ফ্যাক্টওয়াচ দল। ভিডিওটিকে আপলোড করা হয়েছে ২০১৩ সালের মার্চের ৩ তারিখ। রাজস্থানে চলতি মাসের বিশ তারিখে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি এই ভিডিওটিরই একটি অংশবিশেষ।

Leave a Reply