Published on: September 21, 2021
![]() |
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে উক্ত সংবাদটি ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার করা হয়েছে। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এবং এখানে।
ভাইরাল সংবাদটির বিস্তারিত অংশ ধরে অনুসন্ধান করে দেখা যায়, এটি ১০ আগস্ট ২০১৫ তারিখে দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকায় প্রকাশিত একটি খবরকে হুবহু কপি করা হয়েছে। খবরটির বিস্তারিত অংশ বলছে,
“ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের হিসার গ্রামের ১০০ দলিত পরিবার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। জমি দখল ও ধর্ষণের ঘটনায় উচ্চবর্ণের প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার প্রতিবাদে তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো দিল্লির যন্তর-মন্তরে ২০১৪ সালের ১৬ এপ্রিল থেকে সুবিচার চেয়ে ধরনা দিচ্ছিল। এক বছরের বেশি সময় ধরে আন্দোলনরত পরিবারের সদস্যরা শুক্রবার ইসলাম ধর্ম গ্রহণের আভাস দিয়েছিলেন। অবশেষে গত শনিবার তারা ইসলাম গ্রহণ করেন।“
এ বিষয়ে ৮ ও ৯ আগস্ট, ২০১৫ তারিখে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে প্রকাশিত তিনটি প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
এদিকে তার দুই দিন পর প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) এবং বজরং দলের সদস্যরা ধর্মান্তরিত পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে এবং তাদের হিন্দু ধর্মের আওতায় ফিরে আসতে রাজি করেছেন। মূলত হিসার জেলার ভাগানা গ্রামের দলিতরা গ্রামে উচ্চবর্ণের হিন্দুদের দ্বারা তাদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ ও বিক্ষোভ করেছেন গত ৩ বছর ধরে। প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে তারা শেষ পর্যন্ত ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে বর্ণপ্রথা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য। ধর্মান্তর ঘটনায় পর পরেই গ্রামজুড়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয় যার ফলে যেখানে ভিএইচপি রবিবার একটি মহাপঞ্চায়েতের ডাক দেয়।
অন্যদিকে ১০০টি পরিবার নয়, ৫০ জন দলিত ইসলাম গ্রহণ করেছেন বলে জানা যায় ভারতীয় অন্য দুটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে। নয়াদিল্লির যন্তর-মন্তরে হিসার জেলার ভাগানা গ্রামের ১০০ দলিত পরিবার ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়েছেন শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশের এক দিন পরে, জেলা প্রশাসন সোমবার এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করার জন্য একটি গণনা করেছে এবং দাবি করেছে যে প্রায় ৫০ জন দলিত পরিবার কেবল ধর্মান্তরিত হয়েছে। প্রতিবেদন দুটি দেখুন এখানে এবং এখানে।
উপরোক্ত তথ্যপ্রমাণ অনুযায়ী বিষয়টি স্পষ্ট যে, উক্ত ধর্মান্তরিত হবার ঘটনাটি সাম্প্রতিক নয়, ৬ বছর আগের। পুরোনো খবরটি দিন-তারিখ উল্লেখ না করে পুনরায় প্রচার করায় ফ্যাক্টওয়াচ একে “বিভ্রান্তিকর” সাব্যস্ত করেছে।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
|