মসজিদে এসি চালানোর সরকারি নির্দেশনা নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রতিক্রিয়া

Published on: July 19, 2022

সম্প্রতি মসজিদের এসি চালানোর সরকারি নির্দেশনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ উত্তাপ ছড়াচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস এবং প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক মন্ত্রী তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরীর মসজিদে এসি বন্ধের বিষয়ে মন্তব্য করলে তাৎক্ষণিকভাবে জনসাধারণ বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করে পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের জানান, নামাজের সময়টুকু ব্যতীত বাকিটা সময় যেন এসি বন্ধ রেখে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা হয়, এই বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। অর্থাৎ সরকারের সর্বশেষ নিদের্শনা অনুযায়ী নামাজের সময়ে মসজিদে এসি চালানো যাবে। যে কারণে নতুন করে ভাইরাল হওয়া “মসজিদে এসি বন্ধের ঘোঘণা”, “মসজিদের এসি নিয়ে এতো মাথা ব্যথা কেন?”, কিংবা “ মসজিদে এসি বন্ধের আইন পাশ” ইত্যাদি দাবিগুলোকে ফ্যাক্টওয়াচ “বিভ্রান্তিকর” চিহ্নিত করছে।

 

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

 

বিভ্রান্তিকর কিছু মন্তব্যের স্ক্রিনশট দেখুন নিচে-

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান:

প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস চলমান বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন যে, “একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এটা বলা যে আগামী কয়েকমাস যেন কোনো মসজিদে এসি চালানো না হয়”। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক মন্ত্রী তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী মসজিদে এসি ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে বলেন। বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জনসাধারণ বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখালে  বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের জানান, নামাজের সময়টুকু ব্যতীত বাকিটা সময় যেন এসি বন্ধ রেখে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা হয় এই বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। তবে মূখ্য সচিব এবং মন্ত্রীর ওই বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরে  বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সংবাদ সম্মেলনে যেই বক্তব্যটি দিয়েছেন সেই বক্তব্যটিকে উল্লেখ করে সরকার সমর্থিত নেতা-কর্মীরা দাবি করেছে, “মসজিদে এসি বন্ধ” ভাইরাল বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব।

এদিকে সংবাদমাধ্যমে মূখ্য সচিব, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক মন্ত্রী এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর ভিন্ন-ভিন্ন বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউসের বক্তব্যটি দেখুন এখানে। প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক মন্ত্রী তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরীর বক্তব্যটি দেখুন এখানে। সর্বশেষ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সংবাদ সম্মেলন করে এসি বন্ধের বিষয়ে যে বক্তব্যটি দিয়েছেন সেটি দেখুন এখানে

সুতরাং সরকারের তরফ থেকে দেয়া সর্বশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী মসজিদে নামাজ আদায়ের সময় এসি চলবে।

উল্লেখ্য মূখ্য সচিব এবং মন্ত্রীর পূর্বের বক্তব্যকে উল্লেখ করে এখনো কিছু ফেসবুক পেজ, আইডি থেকে এই বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে যে, মসজিদে এসি বন্ধ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, সর্বশেষ সরকারি বক্তব্য অনুযায়ী মসজিদে নামাজের সময় এসি চলবে। যার কারণে ফ্যাক্টওয়াচ এসি বন্ধ রাখা নিয়ে প্রতিক্রিয়ামূলক ফেসবুক পোস্টগুলোকে “বিভ্রান্তিকর” চিহ্নিত করছে।

আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন?
নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?

এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান।
আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

 

Leave a Reply