Published on: August 16, 2023
সম্প্রতি ফেসবুকে ‘একাত্তরের ঘৃণ্য রাজাকার সাঈদীর মৃত্যু’ এমন সংবাদ পরিবেশন করে দৈনিক প্রথম আলোর ফটোকার্ডের আদলে বানানো একটি ফটোকার্ড পাওয়া যাচ্ছে। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে ফটোকার্ডটি প্রথম আলোতে পাওয়া যায় নি। প্রথম আলো ইতোমধ্যে এ ছবিকে তাদের নাম ব্যবহার করে মিথ্যা প্রচারণা দাবি করেছে। সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ এ ছবিকে মিথ্যা আখ্যা দিচ্ছে। |
গুজবের উৎস
গত ১৪ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের নায়েবে আমীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর পর কয়েকটি পেইজ থেকে এ ফটোকার্ডটি পোস্ট করা হয়। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে।
ফ্যাক্টওয়াচ অনুসন্ধান
প্রথম আলোর ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেইজে সন্ধান করে উক্ত ফটোকার্ডটি পাওয়া যায় নি।
প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে সাঈদীর মৃত্যুসংবাদ নিয়ে যে দুটো রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে প্রকাশের তারিখ অনুসারে সেগুলোর শিরোনাম হচ্ছে ‘মারা গেছেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী‘ এবং ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যু‘। রিপোর্টগুলোতে সাঈদীকে একাত্তরে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, নির্যাতন ও ধর্মান্তরে বাধ্য করার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডে দণ্ডিত উল্লেখ করা হয়। কিন্তু ‘একাত্তরের ঘৃণ্য রাজাকার‘ এ শব্দগুলো শিরোনাম এবং বর্ণনায় ব্যবহার করা হয় নি।
প্রথম আলোর ফেসবুক পেইজ থেকে ১৪ আগস্ট রাত সোয়া নয়টায় সাঈদীর মৃত্যুর খবর পোস্ট করা হয়। পোস্টের ক্যাপশন এবং সংবাদ শিরোনামে ‘একাত্তরের ঘৃণ্য রাজাকার‘ শব্দগুলো ব্যবহার করা হয় নি।
মূলত প্রথম আলো সাঈদীর মৃত্যুর খবরে কোনো ফটোকার্ডই প্রকাশ করে নি। তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে যে প্রথম আলোর নামে ছড়ানো এ ছবিটি নকল ও মিথ্যা প্রচারণা।
সুতরাং উপযুক্ত প্রমাণসাপেক্ষে ফ্যাক্টওয়াচ এ পোস্টকে মিথ্যা সাব্যস্ত করছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ |