“কিংবদন্তি অভিনেতা আলমগীর আর নেই তিনি না ফেরার দেশে চলে গেছেন”- দাবিটি অসত্য

Published on: [August 2,2021]

সম্প্রতি “কিংবদন্তি অভিনেতা আলমগীর আর নেই তিনি না ফেরার দেশে চলে গেছেন” এমন শিরোনামে একটি তথ্য বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালের বরাত দিয়ে ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেশীয় মূলধারার একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বরেণ্য অভিনয়শিল্পী আলমগীর মারা যান নি, তিনি সুস্থ আছেন। ফলে ফ্যাক্টওয়াচের বিবেচনায় আলমগীরের মৃত্যুর সংবাদটি অসত্য এবং বিভ্রান্তিকর।

‘worldnewsce.com’, ‘newstimes13.com’সহ একাধিক অনলাইন পোর্টাল থেকে “কিংবদন্তি অভিনেতা আলমগীর আর নেই তিনি না ফেরার দেশে চলে গেছেন” শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হলে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে এখানে এখানে এখানে এখানেএখানে

 

 

 

 

 

 

 

ফ্যাক্টওয়াচ যাচাই করে দেখে, উক্ত ভাইরাল খবরটির শিরোনামে করা দাবির সাথে প্রতিবেদনের মূল অংশের কোন মিল নেই। শিরোনামে অভিনেতা আলমগীর মারা গেছেন এমন দাবি করা হলেও ভেতরের অংশে তার মৃত্যু নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছিলো এমন তথ্য দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আমরা ২৬ এপ্রিল ২০২১ তারিখে প্রকাশিত দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার “নায়ক আলমগীরের মৃত্যুর গুজব, ক্ষুব্ধ পরিজনেরা” শীর্ষক সংবাদটি খুঁজে বের করি। দেখা যায়, আলমগীরের মৃত্যুর গুজব সম্পর্কিত উক্ত প্রতিবেদনটি হুবহু কপি করেছে এ সকল ভুঁইফোঁড় পোর্টাল।

 

উল্লেখ্য, দেশীয় সচেতন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী অভিনয়শিল্পী আলমগীর মারা যান নি। করোনায় আক্রান্ত হবার পর রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। ঠিক সে সময় ২৫ এপ্রিল সামাজিক মাধ্যমে তার মৃত্যু নিয়ে একটি গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। এমন ঘটনায় ভীষণ মর্মাহত হয়েছিলেন এই অভিনয়শিল্পী ও তার পরিবার। এ প্রসঙ্গে পরের দিন ২৬ এপ্রিল তিনি দৈনিক প্রথম আলোকে জানান, তিনি ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। এরপর থেকে আজ ৩ আগস্ট পর্যন্ত আলমগীর মারা গেছেন এমন তথ্যের সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। মূলধারার কোন সংবাদমাধ্যমও এ ধরণের কোন সংবাদ প্রকাশ করে নি।

 

অর্থাৎ, উক্ত ভাইরাল খবরের শিরোনামে অভিনেতা আলমগীরের মৃত্যু নিয়ে যে দাবিটি করা হয়েছে তা অসত্য এবং বিভ্রান্তিকর। ধারণা করা হচ্ছে, অভিনেতা আলমগীরের মৃত্যুর পুরনো গুজবকে নতুন করে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। তাই ফ্যাক্টওয়াচের বিবেচনায় শিরোনামে করা দাবিটি মিথ্যা।

 

আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন?
নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?

এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান।
আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

 

 

Leave a Reply