“নির্জন কনডেম সেলে পাঁচ পুরুষের সঙ্গে পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন সেই মিন্নি” – ভূয়া শিরোনাম ভাইরাল

Published on: October 23, 2022

সম্প্রতি “নির্জন কনডেম সেলে পাঁচ পুরুষের সঙ্গে পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন সেই মিন্নি” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে একাধিক অনলাইন পোর্টাল থেকে। মূলত এই শিরোনামটি মিথ্যা। সংবাদগুলোর বিস্তারিত অংশ ধরে অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, দুই বছর আগে কালের কন্ঠ এবং নিউজটুয়েন্টিফোর অনলাইনে প্রকাশিত সম্পূর্ণ ভিন্ন শিরোনামে প্রকাশিত দুটি সংবাদ থেকে এটি হুবহু কপি করা হয়েছে। কপিকৃত সংবাদগুলোতে ভূয়া শিরোনাম ব্যবহার করে এই সংবাদগুলো প্রচার করা হচ্ছে।

ফেসবুকে প্রকাশিত এমন কিছু সংবাদের নমুনা দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এবং এখানে।

সম্প্রতি “নির্জন কনডেম সেলে পাঁচ পুরুষের সঙ্গে পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন সেই মিন্নি” শিরোনামে ভাইরাল হওয়া সংবাদগুলোর বিস্তারিত অংশ ধরে গুগলে অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, ১ অক্টোবর ২০২০ তারিখে কালের কন্ঠ থেকে প্রকাশিত এবং ২ অক্টোবর ২০২০ তারিখে নিউজটুয়েন্টিফোর অনলাইনে প্রকাশিত সম্পূর্ণ ভিন্ন শিরোনামের দুটি সংবাদ থেকে এটি হুবহু কপি করা হয়েছে। মূলত সংবাদটি ছিল, বরগুনার আলোচিত শাহনেওয়াজ রিফাত (রিফাত শরীফ) হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মিন্নির একা কনডেম সেলে থাকা নিয়ে। সেই সময় বরগুনার কারাগারে নারী বন্দিদের মধ্যে একমাত্র মিন্নিই কনডেম সেলে ছিলেন। মিন্নি ব্যতীত বরগুনার কারাগারের কনডেম সেলে অন্য কোনো নারী বন্দি সেসময় ছিলেন না।

কালের কন্ঠ এবং নিউজটুয়েন্টিফোর অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদন দুটি দেখুন এখানে এবং এখানে।

ছবি: কালের কন্ঠ থেকে প্রকাশিত সংবাদ

ছবি: নিউজটুয়েন্টিফোর অনলাইন থেকে প্রকাশিত সংবাদ

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে নয়ন বন্ডের নেতৃত্বে একদল যুবক প্রকাশ্যে মিন্নির স্বামী শাহনেওয়াজ রিফাত কুপিয়ে জখম করেন এবং সেদিনই তিনি বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।

উক্ত হামলার একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ভিডিওতে দেখা যায় মিন্নি রিফাত কে হামলাকারীদের হাত থেকে বাঁচাবার চেষ্টা করছেন। সেই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় শুরুতে মিন্নিকে প্রধান সাক্ষী করা হলেও পরবর্তীতে মামলার তদন্ত নাটকীয় মোড় নেয়। ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জনের বিচারের রায় ঘোষণা করেন। উক্ত রায়ে আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ড হয়, বাকি চার আসামি বেকসুর খালাস পান। সম্প্রতি তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছেন।

 

আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন?
নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?

এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান।
আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh