আটক ছাত্রদল নেতা কি “নাশকতার পরিকল্পনা” করছিলেন?

Published on: December 12, 2022

সম্প্রতি “নাশকতার পরিকল্পনা করার সময় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আটক” – টেক্সট সংবলিত একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার হচ্ছে। তবে, ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে জানা গিয়েছে যে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে আসিফ নুর খান নামক ছাত্রদলের একজন নেতার গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় স্থানীয় ছাত্রলীগের কর্মীরা তাকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। আসিফ নুর খানের বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন এবং অমীমাংসিত রয়েছে, সুতরাং তিনি নাশকতার সাথে যুক্ত ছিলেন কিনা সে বিষয়ে মূলধারার গণমাধ্যম কিংবা পুলিশি সূত্র থেকে কোনো ধারণা পাওয়া যায় নি। সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ উক্ত পোস্টের দাবিটিকে “বিভ্রান্তিকর” বলছে।

 

নাশকতার পরিকল্পনা করার সময় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আটক – এই দাবি সংক্রান্ত কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এবং এখানে

 

 

শেয়ারকৃত পোস্টটিতে ব্যবহৃত ছবিটি আমরা গুগল রিভার্স ইমেজে অনুসন্ধান করি এবং এতে করে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ছাত্রদল নেতার আটক হওয়া সম্পর্কিত বেশকিছু প্রতিবেদনের খোঁজ পাই। সংবাদগুলো পড়ুন এখানে, এখানে, এখানে, এবং এখানে

এসব প্রতিবেদন থেকে আমরা জানতে পারি যে, গত ৭ই ডিসেম্বর, ২০২২ এ চট্টগ্রামের মিরসরাই থেকে আসিফ নুর খান নামক ছাত্রদলের একজন স্থানীয় নেতাকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে স্থানীয় ছাত্রলীগ। আসিফ ১০ই ডিসেম্বর, ২০২২ এ অনুষ্ঠিত হওয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর মহাসমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য ঢাকা রওয়ানা হন। ছাত্রলীগ কর্মীদের ভাষ্যমতে, আসিফ নুর খানের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় তারা তাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। মিরসরাই থানার ওসি (অফিসার-ইন-চার্জ) মো. কবির আহমেদ একই বক্তব্য দেন এবং জানান যে, আসিফ নুর খানের বিরুদ্ধে একটি মামলা পাওয়া গিয়েছে এবং সে বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদ প্রতিবেদনগুলোর কোথাও বলা হয়নি যে তিনি নাশকতার পরিকল্পনা করতে গিয়ে আটক হয়েছিলেন। যেহেতু আসিফ নুর খানের বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন রয়েছে, ফলে আদৌ তিনি নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন কিনা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা সম্ভবও নয়।

উল্লেখ্য, গত ১০ই ডিসেম্বর, ২০২২ এ ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে পুলিশের ধরপাকড় শুরু হয়েছিলো এবং বিএনপির অসংখ্য নেতা-কর্মী আটক হয়েছেন পুলিশের হাতে। তারই ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মীদের হাতে আটক হন আসিফ নুর খান এবং তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

 

সুতরাং, সবকিছু বিবেচনা করে ফ্যাক্টওয়াচ শেয়ারকৃত পোস্টগুলোর দাবিকে “বিভ্রান্তিকর” বলে সাব্যস্ত করছে।

 

আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন?
নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?

এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান।
আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh