চরমোনাই পীরকে নিয়ে ভুয়া অভিযোগ

Published on: March 28, 2023

চরমোনাই পীর সৈয়দ রেজাউল করিম এর নৈতিক স্খলনজনিত একটি গুজব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। একটি জাতীয় দৈনিকের একটি স্ক্রিনশটের মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে , চরমোনাই পীর তার এক মুরিদ (ভক্ত) এর স্ত্রীকে নিয়ে হোটেলে পুলিশের কাছে ধরা পড়েছেন, এবং পরে অনৈতিক সুবিধার সাহায্যে মুক্ত হয়েছেন। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে এ ধরনের কোনো খবর কোনো সংবাদমাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়া উক্ত পত্রিকার স্ক্রিনশটে বেশ কিছু গোঁজামিল দেখা যাচ্ছে, যার প্রেক্ষিতে এটাকে বানানো স্ক্রিনশট হিসেবে প্রমাণ করা যায়।

গুজবের উৎস

দৈনিক যুগান্তর এর স্ক্রিনশটে খবরের তারিখ ২০শে আগস্ট ২০১৯ দেখা গেলেও গত কয়েকদিন এই স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এমন কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে , এখানে , এখানে , এখানে , এখানে , এখানে , এখানে



ফ্যাক্টওয়াচ অনুসন্ধান

আলোচ্য স্ক্রিনশটে খবরটির শিরোনাম ছিল , ‘মুরিদের বউ নিয়ে হোটেলে চরমোনাই পীর ! তারপর পুলিশকে ঘুষ দিয়ে মুক্তি।‘

দৈনিক যুগান্তর এর বিভিন্ন খবরের শিরোনাম বিশ্লেষণ করে দেখা গেল, কিছু কিছু খবরের শিরোনামে কখনো কখনো বিস্ময়বোধক চিহ্ন বাঁ প্রশ্নবোধক চিহ্ন ব্যবহার করা হলেও কখনোই দাড়ি বা পূর্ণচ্ছেদ ব্যবহার করা হয় না। অথচ আলোচ্য স্ক্রিণশটে দাঁড়ি দেখা যাচ্ছে শিরোনামে।

এছাড়া, পত্রিকার অন্য লেখার ফন্টের সাথে আলোচ্য শিরোনামটির ফন্টের অসঙ্গতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

আলোচ্য শিরোনামটি বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে অনুসন্ধান করেও কোনো সংবাদমাধ্যমে এ ধরনের কোনো সংবাদ খুজে পাওয়া গেল না।

২০২২ সালের ১লা জুলাই ময়মনসিংহের জনৈক খেতা শাহ নামের এক কথিত পীর এর বিরুদ্ধে অনুরূপ অভিযোগ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। তবে চরমোনাই পীর এর বিরুদ্ধে কখনো এমন অভিযোগ অনুসন্ধানে পাওয়া যায়নি।

দৈনিক যুগান্তরের ওয়েবসাইটের আর্কাইভ অংশে ২০২১ সালের ৩০শে আগস্ট তারিখের সব খবর অনুসন্ধান করেও আলোচ্য শিরোনাম বা কাছাকাছি শিরোনামের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

তবে স্ক্রিনশটে যে তারিখ এবং সময় দেখা যাচ্ছে (৩০শে আগস্ট ২০২১, ১১:৫৯ পিএম), ঠিক সেই সময়ে দৈনিক যুগান্তরের ওয়েবসাইটে আপলোড করা  ভিন্ন আরেকটি খবর দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। এই খবরটির শিরোনাম ছিল, প্রেমিকার জন্মদিনের উপহার দিতে জামায়াত নেতার বাড়ি গিয়ে ধরা শিবির নেতা

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই চরমোনাই পীরকে নিয়ে এই স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকে এই স্ক্রিনশটকে এডিটেড হিসেবে দাবি করেছেন । এমন কয়েকটা পোস্ট দেখতে পাবেন এখানে , এখানে , এখানে , এখানে  ।

সার্বিক বিবেচনায় ফ্যাক্টওয়াচ এ সংক্রান্ত পোস্টগুলোকে ‘মিথ্যা’ সাব্যস্ত করছে।

আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন?
নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?

এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান।
আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh