কোচ শ্রীধরন শ্রীরামকে বাদ দিচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড?

Published on: October 13, 2022

“টানা ব্যর্থতার পর এবার শ্রীরামকে বাদ দিয়ে সাকিব-তামিমদের ছোটবেলার কোচ সালাউদ্দিনকে নতুন নিয়োগ দিচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড” — এমন শিরোনামে একটি সংবাদ ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। তবে এই সংবাদটির কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ, এবং মূলধারার সংবাদ মাধ্যমের কোথায় এ ধরণের কোনো সংবাদ প্রকাশিত হয়নি। সঙ্গত কারণে এই সংবাদগুলোকে ফ্যাক্টওয়াচ “মিথ্যা” সাব্যস্ত করছে।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এবং এখানে

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান:

বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দলের টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট শ্রীধরন শ্রীরামকে বাদ দেয়া সংক্রান্ত কোনো তথ্য মূলধারার কোনো গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে কী-না জানতে বিভিন্ন কী-ওয়ার্ড সার্চ করে দেখে ফ্যাক্টওয়াচ টিম। সে ধরনের কোনো সংবাদ কোথাও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে এমন জানা যায় নি কী-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে। বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজেও সে ধরনের কোনো বার্তা নেই। কর্তাব্যক্তিদের ফেসবুক পেজ থেকেও সেরকম কোনো সংবাদ পাওয়া যায় নি।

উল্লেখ্য, রাসেল ডমিঙ্গোকে সরিয়ে   বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয় শ্রীধরন শ্রীরামকে। চুক্তি অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলের সঙ্গে কাজ করবেন শ্রীরাম। অবশ্য তার অধীনে বেশকিছু টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেও সফলতার মুখ দেখেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। যে কারণে ফেসবুকে ক্রিকেট-সংক্রান্ত কোনো সংবাদের নিচে সমর্থকেরা শ্রীধরন শ্রীরামকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের খ্যাতিমান ক্রিকেট কোচ সালাউদ্দিনকে নিয়োগ দেয়ার দাবি জানাচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড শ্রীধরন শ্রীরামকে বাদ দেওয়া সংক্রান্ত কোনো বিজ্ঞপ্তি কোথায় প্রকাশ করেনি। বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমে নতুন কোনো নিয়োগ কিংবা কাউকে বাদ দেওয়ার বিষয়টি ক্রিকেট বোর্ড গণমাধ্যমের কাছে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকাশ করে। সাম্প্রতিককালে ক্রিকেট বোর্ড আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকেও এমন কোনো আভাস পাওয়া যায় নি।

অর্থাৎ এ বিষয়টি সুস্পষ্ট যে, শ্রীধরন শ্রীরামকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট কোচ সালাউদ্দিনকে নিয়োগ দেওয়ার দাবিটি সামাজিক মাধ্যমে ক্রিকেট সমর্থকদের। ক্রিকেট বোর্ড এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।

সঙ্গত কারণে এমন সংবাদগুলোকে ফ্যাক্টওয়াচ “মিথ্যা” সাব্যস্ত করেছে।

আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন?
নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?

এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান।
আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh