১২ দলীয় জোটের মন্তব্যকে দৈনিক যুগান্তরের বলে প্রচার

Published on: January 30, 2024

জনগণ নীরবে ভোট প্রত্যাখান করায় সরকারের পরাজয় হয়েছে বলে দৈনিক যুগান্তরের পক্ষ থেকে মন্তব্য করা হয়েছে এমন দাবিতে ফেসবুকে একটি পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছে। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, প্রকৃতপক্ষে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এ মন্তব্য করেছে। মন্তব্যটি কোটেশন চিহ্নের ভেতরে রেখে যুগান্তর পত্রিকা সংবাদ প্রতিবেদনের শিরোনাম করেছে মাত্র। যুগান্তরের নিজস্ব ভাষ্য নয় এটি। তাই ফেসবুকে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার কারণে ফ্যাক্টওয়াচ এ পোস্টকে “বিভ্রান্তিকর” আখ্যা দিচ্ছে।

বিভ্রান্তির উৎস

গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষিতে ৮ জানুয়ারি থেকে ফেসবুকে উক্ত পোস্ট ছড়াতে থাকে। কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে। 

 

ফ্যাক্টওয়াচ অনুসন্ধান 

দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ওয়েবসাইট সন্ধান করে ৭ জানুয়ারি প্রকাশিত “জনগণের নীরব ভোট প্রত্যাখ্যান, সরকারের পরাজয়” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। এখানে উল্লেখ্য যে, উদ্ধৃতি চিহ্নের মধ্যে রেখে শিরোনামটি করা হয়েছে। অর্থাৎ যুগান্তরের পক্ষ থেকে এই মন্তব্য নয়, অপর ব্যক্তি বা দলের করা মন্তব্য নিয়ে সংবাদ প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে। 

প্রতিবেদনটি পড়ে বিষয়টি স্পষ্ট হয় যে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উক্ত মন্তব্যটি করেছেন। প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণরূপে দ্বাদশ নির্বাচনকে ঘিরে ১২ দলীয় জোটের অভিমত ও প্রতিক্রিয়া নিয়ে তৈরি। রিপোর্টের ভেতরে যুগান্তরের পক্ষ থেকে কোনোরকম মতামত দেওয়া হয় নি। কিন্তু ফেসবুক পোস্টে শিরোনামের বাক্যটি কোটেশন চিহ্ন ছাড়া লেখায় এটি যুগান্তরের নিজস্ব মন্তব্য বলে প্রতীয়মান হচ্ছে, ফলে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। তাই সার্বিক বিবেচনায় ফ্যাক্টওয়াচ এ পোস্টকে বিভ্রান্তিকর সাব্যস্ত করছে।

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh