ইসলাম ধর্মের চেয়ে সনাতন ধর্ম অনেক ভালো – একথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী?

Published on: October 6, 2022

ইসলাম ধর্মের চেয়ে সনাতন ধর্ম অনেক ভালো-বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডাক্তার দিপু মনি।” – এমন একটি উদ্ধৃতি ফেসবুকে ছড়িয়েছে । কিন্তু ফ্যাক্ট-ওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে ভিডিওর উপর ভিত্তি করে এই সংবাদ ছড়ানো হচ্ছে সেখানে ডা. দীপু মনি বক্তব্যে “ইসলাম ধর্মের চেয়ে সনাতন ধর্ম অনেক ভালো” এমন কোন কিছুর উল্লেখ নেই। কোন নির্ভরযোগ্য সূত্র বা গণমাধ্যম থেকেও ডা. দীপু মনির এমন কোন উক্তি দিয়েছেন তার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই ফ্যাক্ট-ওয়াচ এ সম্পর্কিত সকল পোস্টকে “মিথ্যা” হিসেবে চিহ্নিত করছে।

গুজবের উৎস

ভাইরাল পোস্টগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন ক্যাপশনে কোথাও ডা. দীপু মনির বক্তব্যের ৪ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও, কোথাও মুফতি হেদায়েতুল্লাহ আজাদীর ১৭ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডের ওয়াজের ভাষণের ভিডিও এবং কোথাও ইউটিউবের থাম্বনেইলের স্ক্রিনশটের ছবি পোস্ট করা হয়েছে। তবে সব ক্যাপশনেই ডা. দীপু মনি বলেছেন “ইসলাম ধর্মের চেয়ে সনাতন ধর্ম অনেক ভালো”- এই দাবিটি পাওয়া যাচ্ছে।

ভাইরাল হওয়া ডা. দীপু মনির বক্তব্যের ৪ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডের ভিডিও দেখুন এখানে,এখানে,এখানে


ডা. দীপু মনির বক্তব্যের ভাইরাল ভিডিওটির ক্যাপশন এ বলা হয়েছিল-

“”ইসলাম ধর্মের চেয়ে সনাতন ধর্ম অনেক ভালো”              

                      [ .দিপু মনি ]

এখন হলুদ মিডিয়া গুলো চুপ,কিছু নামধারী মুসলমানের মুখ বন্ধ করে রাখছে,সাধারণ মানুষ হুজুররের পিছনেই লেগে থাকতে পারে,এসব কুলাঙ্গার বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারেনা।

আজ বাংলার মুসলিমরা ঘুমিয়ে আছে বলেই।হিন্দু নাস্তিকরা হাতে হাত মিলিয়ে বাংলার বুক থেকে ইসলামকে মুছে ফেলতে চাচ্ছে। আজ আমরা মুসলিমরা সবাই বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে গেছি। যার ফলে অনেকেই  ইসলামকে এদেশ থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করছে।এবং তারা সবাই তাতে সফলও হচ্ছে। এটা তও আমরা বসে বসে দেখতে পারিনা। আমাদেরকে জাগ্রত হতে হবে। আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তবেই  আমরা ইসলামকে এদেশে সু প্রতিষ্টীত করতে পারব।  

জাগও  হে মুসলিম জাগও

জাগও হে যুবক জাগও 

জাগও হে ছাত্র /ছাত্রী জাগও

জেগে ওঠ সবাই মিলে জেগে ওঠ

অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য জেগেওঠ।

বিস্তারিত কমেন্টে

ডা. দীপু মনির বক্তব্যের ভাইরাল ভিডিওটিতে মূলত তিনি যা বক্তব্য দিয়েছিলেন তা হল –

আগে বাঙালি না আগে মুসলমান এটা তো কোনো প্রশ্নের বিষয় না। এই যে বিয়েতে গায়ে হলুদ হয়; এটা মুসলিম বিয়ের কোন অংশ; বলেন? কোথায়? যারা ইসলাম ইসলাম বলে পাগল করে ফেলছেন, তাদের ছেলেমেয়ের বিয়েতে গায়ে হলুদ সহ সবই হচ্ছে। মুসলিম বিয়ে খালি তো কবুল পড়া, সাক্ষ্য দেওয়া দোয়া পড়া। তার বাইরে মুসলিম বিয়েতে আর তো কিছু নেই। বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখন হঠাৎ নারী শিক্ষার্থীদের পোশাক নিয়ে কথা হচ্ছে। কিন্তু বিষয়গুলো বাংলাদেশে মীমাংসিত। মীমাংসিত বিষয়গুলোকে কারা কাদের স্বার্থে, কোন স্বার্থে অমীমাংসিত করছে এবং কারা এগুলো নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উত্থাপন করছে? বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে; সমাজ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন রোবোটিক্স নিয়ে কথা বলব; আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে কথা বলব। এখন তো নারীর পোশাকের দৈর্ঘ্য নিয়ে কথা বলার সময় না। কপালে টিপ আছে কি নেইএটা নিয়ে প্রশ্ন হতে পারে না। আমাদের বাঙালী সংস্কৃতি হাজার বছর ধরে; আমাদের এই ভূখণ্ডের সনাতন ধর্মের মানুষ ছিলো; বৌদ্ধ ধর্মের মানুষ ছিলো; খ্রিষ্ট ধর্মের মানুষ এখানে এসেছে, এখানে তাদের মানুষ বেড়েছে; ইসলাম এসেছে ইসলাম এখানে প্রসারিত হয়েছে। এই ভূখণ্ড এটা হচ্ছে একটা মেল্টিং পট; এখানে সব ধরণের ধর্ম, সংস্কৃতি, ভাষা; একটা সময় ছিলো যখন এই ভূখণ্ডে ১৭টি ভাষাভাষির মানুষ এখানে ছিলো এবং সমাজে এই ১৭টি ভাষার নানান ভাবে প্রচলন ছিলো। সেই ভূখণ্ডে একটি ভাষাকে ভিত্তি করে, একটি বিশাল আন্দোলন হয়ে রক্তপাত মধ্যে দিয়ে একটা জাতি, রাষ্ট্রের জন্মই সূচনা হলো। এবং যেখানে এত রক্ত দিয়ে অসাম্প্রদায়িকতার পক্ষে, ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে, একটা মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন করলাম সেইদেশে, এটা তো ্মী্মাংসিত বিষয়, যারা অমিমাংসিত করলো, পুরো আমাদের অর্জনটাকে একেবারে ধুলোয় মিশিয়ে দেবার চেষ্টা করলো পঁচাত্তরে, আজকে খুঁজে দেখেন সব জায়গায় তাদের প্রেতাত্মারাই এই নতুন নতুন প্রশ্নগুলোর জন্ম দিচ্ছে। বাঙালী মুসলমানের কাছে আমি আগে বাঙালী না আগে মুসলমান এটাতো কোন প্রশ্নের বিষয় না। আমি বাঙালীও আমি মুসলমানও। এখানে সমস্যাটা কি? মধ্যপ্রাচ্যে যারা মুসলমান আছে তারা উলুধ্বনি করে না? আমাদের ভূখণ্ডে আসলে সেটা সনাতন ধর্মাবলম্বীরা করে। এগুলা সব সাংস্কৃতিক অনুষঙ্গ। আমাদের এখানে বিয়েতে গায়ে হলুদ হয়, সেই গায়ে হলুদ মুসলিম বিয়ের কোন অংশে বলে কোথায়? খালি তো কবুল বলা, সাক্ষ্য দেওয়া আর একটা দোয়া পড়া তার বাইরে মুসলিম বিয়েতে ওই বিয়ের অংশটুকুতে তো আর কিছু নেই। আমার এইযে গাঁয়ে হলুদ গান বাজনা আর এত কিছু; তো যারা ইসলাম ইসলাম বলে পাগল করে ফেলছেন, এইটার দৈর্ঘ্য এত হতে হবে, ওইটার প্রস্থ এত হতে হবে, তারাতো দেখি তাদের ছেলেমেয়েদের বিয়েতে গায়ে হলুদ হচ্ছে সবই হচ্ছে। এটাতো সংস্কৃতির অংশ। তো সেই সংস্কৃতিকে মানবো, আমি টিপ দেওয়া সংস্কৃতি মানবো না।  ওই সংস্কৃতিকে মানবো, ছেলেমেয়েরা গান শিখবে, কবিতা আবৃত্তি করবে সেটাকে মানবো না। এই দ্বিচারিতার তো কোন অর্থ নেই। সমাজে এই দ্বিচারিতা কারা নিয়ে আসছে, কারা সেটিকে প্রমোট করছে, সেটা কিন্তু আমরা সবাই জানি। আমরা মুখ ফুটে বলি না। কারণটা কি? আমি যদি আমার সমাজে অসাম্প্রদায়িকতা চাই। আমি যদি সমাজে গণতন্ত্র অর্থ্যৎ সবার অধিকার চাই, সবার কথা বলবার অধিকার চাই, সবার স্বাধীনভাবে চলার অধিকার চাই, তাহলে এইটার সঙ্গে তো কূপমণ্ডূকতা, কুসংস্কার, পশ্চাৎপদতা একসাথে যায় না।” 

অর্থাৎ, পুরো বক্তব্যের কোথাও ‘ইসলাম ধর্মের চেয়ে সনাতন ধর্ম ভাল’ এমন কোনো বাক্য পাওয়া যায়নি।

মুফতি হেদায়েতুল্লাহ আজাদীর ১৭ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডের ওয়াজের ভাষণের ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা হয়-

“ইস’লাম ধর্মের চেয়ে সনা’তন ধর্ম ভালো, এটা কি বললেন শিক্ষামন্ত্রী | মুফতি হেদায়েতুল্লাহ আজাদী  01/10/22।”

মুফতি হেদায়েতুল্লাহ আজাদী ভিডিওটির প্রথম ৫৩ সেকেন্ডে বলেন-

“আপনি বর্তমান সমাজ দেখুন, আজকের বক্তব্য শুনলাম। আমাদের শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, তার উপাধী তিনি শিক্ষামন্ত্রী। অথচ তিনি যে কথাগুলো বলছেন। একটি অশিক্ষিত মূর্খের মতো, গণ্ড-মূর্খের মতো কথা বলছেন। উনার বক্তব্য উনি ফুটিয়ে তুলেছেন যে ইসলাম ধর্মের চেয়ে সনাতন ধর্ম ভালো। দেখেছেন ওলামা-কেরামে আছে এ কারণে নাউজুবিল্লাহ বলতে হলো না। আপনারা এমনিই বলতেছেন। কিন্তু আমি যদি এই কথাটা পাবলিকলি বলতাম, সমাজে অনেক লোক আছে যারা এখানে নাউজুবিল্লাহ বলতে হবে সেটাও জানে না। চিন্তা করে দেখুন রাষ্ট্রের একদম টপ থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি সেক্টরে নাস্তিক , নাস্তিকদের দালাল, মুশরিক, মুশরিকদের দালাল, ইহুদি, ইহুদিদের দালালরা মনে হয় যেন খাবলে ধরেছে আমাদের সমাজকে। এ সময় আমরা যদি ঘরে বসে থাকি, মাদ্রাসা নিয়ে বসে থাকি, মসজিদেই বসে থাকি, তাহলে সমাজ একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে।”

ভিডিওটির ৮ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড থেকে ৯ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড সময় পর্যন্তও মুফতি হেদায়েতুল্লাহ আজাদীর হুবহু একই বক্তব্য পাওয়া যায়।

মুফতি হেদায়েতুল্লাহ আজাদীর ভাইরাল ভিডিওগুলোর স্ক্রিনশট দেখুন এখানে, এখানে,এখানে,এখানে


ইউটিউবের থাম্বনেইলের স্ক্রিনশট বা শুধু টেক্সট ব্যবহার করে ছড়ানো ভাইরাল পোস্টগুলি দেখুন এখানে,এখানে,এখানে, এখানে



ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান

ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ইউটিউবের থাম্বনেইলের স্ক্রিনশটের তথ্য নিয়ে আমরা ইউটিউবে কিওয়ার্ড সার্চ দেই। উক্ত সার্চের মাধ্যমে জানা যায় ৩০ আগস্ট, ২০২২ তারিখে

Al Minar নামক একটা ইউটিউব চ্যানেল থেকে “🛑 নাউজুবিল্লাহ | ইসলামকে নিয়ে কটুক্তি করলো ড.দিপু মুনি | ইসলামের চেয়ে সনাতন ধর্ম অনেক ভালো।” এই শিরোনামে আপলোড করা ভিডিওতে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া উক্ত থাম্বনেইলটি ব্যবহার করে। ইউটিউবের উক্ত ভিডিও থেকে ডা. দীপু মনির  ভাইরাল হওয়া বক্তব্যের ৪ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপটিও পাওয়া যায়। এ থেকে বোঝা যায় ইউটিউবের এই ভিডিওটির মাধ্যমেই মূলত সাম্প্রতিক সময়ে  ডা. দীপু মনির নামে “ইসলামের চেয়ে সনাতন ধর্ম অনেক ভালো” এই উক্তিটি ভাইরাল হয়।Al Minar নামক একটা ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রকাশিত উক্ত ভিডিওটি দেখুন এখানে

সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ডা. দীপু মনির বক্তব্যের ৪ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডের ভিডিও এবং Al Minar নামক ইউটিউব চ্যানেলে ৩০ আগস্ট,২০২২ তারিখে প্রকাশিত ভিডিও উভয় জায়গায় দাবী করা হয় দীপু মনি বলেছেন “ ইসলামের চেয়ে সনাতন ধর্ম অনেক ভালো।” কিন্তু উক্ত ভিডিও গুলোতে দেখা যাচ্ছে ডা. দীপু মনি নারীদের উপর হওয়া হয়রানি এবং সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের বিষয়ে আলোকপাত করছেন। ডা. দীপু মনি তার বক্তব্যের একটি অংশে হিন্দু- মুসলিম ধর্ম নিয়ে বলেন “আমাদের এই ভূখণ্ডের সনাতন ধর্মের মানুষ ছিলো; বৌদ্ধ ধর্মের মানুষ ছিলো; খ্রিষ্ট ধর্মের মানুষ এখানে এসেছে, এখানে তাদের মানুষ বেড়েছে; ইসলাম এসেছে ইসলাম এখানে প্রসারিত হয়েছে।” এই বক্তব্যে ইসলাম এবং হিন্দু ধর্মের তুলনা করা হয় নি। বরং এই ভূখণ্ডে ধর্মীয় বৈচিত্র্য এবং সহাবস্থানের দিকটি তুলে ধরেছেন।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি তার এই বক্তব্যটি দেন মূলত সেই সময় চলমান টিপ পরা বিতর্ক নিয়ে। বাংলা ট্রিবিউনের ২৯ এপ্রিল প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে ২৯ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ‘এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব)’ এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি উক্ত মন্তব্য করেন। বাংলা ট্রিবিউনের প্রতিবেদনেও ভাইরাল হওয়া ভিডিওর বক্তব্যগুলোই পাওয়া যাচ্ছে।

বাংলা ট্রিবিউনের প্রতিবেদনটি দেখুন এখানে

বাংলা ট্রিবিউন ছাড়াও একই বিষয়ের উপর প্রতিবেদন করেছে একাত্তর, জাগো নিউজ, ডেইলি জনকণ্ঠ সহ অনেক গণমাধ্যম।

সেগুলো দেখুন এখানে, এখানে,এখানে

তবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ইসলামের চেয়ে সনাতন ধর্মকে ভালো বলেছেন এমন নিউজ কোন নির্ভরযোগ্য মাধ্যম থেকে পাওয়া যায় নি।

বাংলাদেশের অন্যতম ফ্যাক্টচেকিং সাইট রিউমর স্ক্যানারও তাদের প্রতিবেদনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ইসলামের চেয়ে সনাতন ধর্মকে ভালো বলেছেন এমন কোন প্রমাণ পায়নি।

রিউমর স্ক্যানারের প্রতিবেদন দেখুন এখানে

যেহেতু শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির যে বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সেখানে তিনি ইসলামের চেয়ে সনাতন ধর্মকে ভালো বলেছেন এমন কোন কিছু ভিডিওতে পাওয়া যায়নি। কোন নির্ভরযোগ্য তথ্য থেকেও এমন দাবির পক্ষে আর কোন প্রমাণও পাওয়া যায়নি। তাই ফ্যাক্ট ওয়াচ এ সম্পর্কিত সকল পোস্টকে “মিথ্যা” হিসেবে চিহ্নিত করছে।

আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন?
নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?

এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান।
আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh