“ফেক ফিল্ডিং” এর দায়ে নিষিদ্ধ হচ্ছেন ভিরাট কোহলি?

Published on: November 8, 2022

সম্প্রতি ফেসবুকে একটি ছবি প্রকাশ করে দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশের বিপক্ষে ফেক ফিল্ডিংয়ের অভিযোগে ক্রিকেট থেকে আজীবন নিষিদ্ধ হতে পারেন বিরাট কোহলি। তবে ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে ফেক ফিল্ডিংয়ের অভিযোগ তোলা হলেও মাঠে দায়িত্বপ্রাপ্ত আম্পায়ার এ বিষয়ে সাড়া দেন নি। পরবর্তীতে জানা যায়, বিষয়টি তাদের চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল। আম্পায়ার সাড়া না দেয়ায় বিষয়টি ওখানেই থেমে যায়। এ সংক্রান্ত তদন্ত ইত্যাদি হচ্ছে বা হবে বলে কোনো ধরনের সংবাদ মূলধারার গণমাধ্যমে নেই। এছাড়া, আইসিসি আইনে ফেক ফিল্ডিংয়ের অভিযোগে টিমকে রান জরিমানা করার আইন থাকলেও খেলোয়াড়কে নিষিদ্ধ করার আইন নেই। সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ এই দাবিকে মিথ্যা সাব্যস্ত করছে।

 ভাইরাল কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

 

গত ২ নভেম্ভর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে ভারতের বিপক্ষে ৫ রানে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। পরবর্তীতে খেলা চলাকালীন মাঠে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা নিয়ে বেশ বিপত্তি বাঁধে। মূলত, ভিরাট কোহলির একটি বিভ্রান্তিকর থ্রো নিয়ে খেলা শেষে বিস্তর আপত্তি তোলে বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা। ক্রিকেটীয় ভাষায় এ ধরণের থ্রোকে বলা হয় “ফেক ফিল্ডিং”।

 

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের ইনিংসের সপ্তম ওভারে লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন যখন রানের জন্য দৌড়াচ্ছিলেন, বল হাতে না থাকলেও ফিল্ডিংয়ের বল সংগ্রহ করে থ্রোর ভান করেছিলেন কোহলি। তবে আইসিসির আইনে এধরণের কার্যক্রমকে নিয়ম-বহির্ভূত হিসেবে দেখা হয়। পাঁচ বছর আগে ফেক ফিল্ডিংয়ের নিয়ম চালু হয়। আগে ব্যাটসম্যান শট খেলার পর ফিল্ডার ফিল্ডিং করতে গিয়ে বল না ধরেই থ্রো করার ভান করতেন। তাতে অনেক সময়ই ব্যাটসম্যানরা বিভ্রান্ত হতেন, রান আউটও হয়ে যেতেন। এটা বাড়তে থাকায় ২০১৭ সালে আইসিসি নিয়ম চালু করে পেনাল্টির। অর্থাৎ আইসিসির নিয়ম অনুসারে, বল হাতে না থাকলে বল ছুঁড়ে দেয়ার ভাণ করে ব্যাটসমানকে বিভ্রান্ত করার সুযোগ নেই। কোনো খেলোয়াড় যদি এই ধরণের কাজ করেন অর্থাৎ “ফেক ফিল্ডিং” করেন। আইসিসির আইন ৪১.৫.১ ক্ষমতা বলে মাঠে দায়িত্বরত আম্পায়ার তখন জরিমানা হিসেবে ব্যাটসম্যানদের ঝুলিতে পাঁচ রান যোগ করার নির্দেশ দিবেন ও ওই বলটিকে বাতিল বলে ঘোষণা করবেন। তবে ফেক ফিল্ডিংয়ের ঘটনাটি যদি মাঠের আম্পায়ারের দৃষ্টিতে না পড়ে সেক্ষেত্রে ব্যাটসমানদের এই সুবিধা পাওয়ার সুযোগ নেই।

 

যে কারণে ভিরাট কোহলি ফেক ফিল্ডিংয়ের দায়ে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছেন — এমন দাবিটি অমূলক।

সঙ্গত কারণে এমন দাবিগুলোকে ফ্যাক্টওয়াচ “মিথ্যা” সাব্যস্ত করেছে।

আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন?
নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?

এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান।
আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh