চিনিমুক্ত খাদ্যাভ্যাস,গরম পানি, লেবু বা নারকেল তেল কি ক্যান্সার ঠেকাতে পারে?

Published on: August 31, 2022

ফেসবুকে বিভিন্ন সময়ে ক্যান্সার নিরাময়ের ভূল চিকিৎসার একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল পোস্টগুলোতে রাশিয়ার ওশ স্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটি ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. গুপ্তপ্রসাদ রেড্ডি’র বরাতে ক্যান্সার এড়াতে কিছু নির্দিষ্ট কাজের কথা বলা হয়েছে। তবে ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে এই ডাক্তার কিংবা তার ইউনিভার্সিটির খোজ মেলেনি। ভাইরাল পোস্টে যেসব পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে, সেগুলোও অন্যান্য চিকিৎসকরা নাকচ করে দিয়েছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাষায় এই গুজবটা ছড়িয়েছে এবং কোনো দেশের ফ্যাক্ট চেকাররাই এর কোনো সত্যতা খুঁজে পাননি।

গুজবের উৎসঃ

ভাইরাল কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে,এখানে,এখানে,এখানে,এখানে




এসব পোস্টগুলোতে বলা হয় রাশিয়ার ওশ স্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটি ক্যান্সার  বিশেষজ্ঞ ডা. গুপ্তপ্রসাদ রেড্ডি (বি ভি) বলেছেন “ক্যান্সার কোনো মরণব্যাধি রোগ নয়, মানুষ এই রোগে মারা যায় শুধুমাত্র উদাসীনতার কারণে।” উক্ত পোস্টগুলোতে বলা হয় চিনি খাওয়া ছেড়ে দিলে, লেবুর রস গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেলে এবং এবং প্রতিদিন সকালে বা রাতে চিন চা চামচ নারকেল তেল খেলে ক্যান্সার সেরে যাবে।

ভাইরাল হওয়া পুরো পোস্টটি পড়ুন এখানে-

“#ক্যান্সার_সচেতনতাঃ

ওশ স্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটি, মস্কো, রাশিয়ার ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. গুপ্তপ্রসাদ রেড্ডি (বি ভি) বলেছেন, ক্যান্সার কোনো মরণব্যাধি নয়, কিন্তু মানুষ এই রোগে মারা যায় শুধুমাত্র উদাসীনতার কারণে।

তার মতে, মাত্র দুটি উপায় অনুসরণ করলেই উধাও হবে ক্যান্সার। উপায়গুলো হচ্ছে:-

১. প্রথমেই সব ধরনের সুগার বা চিনি খাওয়া ছেড়ে দিন। কেননা, শরীরে চিনি না পেলে ক্যান্সার সেলগুলো এমনিতেই বা প্রাকৃতিকভাবেই বিনাশ হয়ে যাবে।

২. এরপর এক গ্লাস গরম জলে একটি লেবু চিপে মিশিয়ে নিন। টানা তিন মাস সকালে খাবারের আগে খালি পেটে এই লেবু মিশ্রিত গরম জল পান করুন। উধাও হয়ে যাবে ক্যান্সার।

মেরিল্যান্ড কলেজ অব মেডিসিন- এর একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, কেমোথেরাপির চেয়ে এটি হাজার গুণ ভাল।

৩. প্রতিদিন সকালে ও রাতে তিন চা চামচ অর্গানিক নারিকেল তেল খান, ক্যান্সার সেরে যাবে।

চিনি পরিহারের পর নিচের দুটি থেরাপির যেকোনো একটি গ্রহণ করুন। ক্যান্সার আপনাকে ঘায়েল করতে পারবে না। তবে অবহেলা বা উদাসীনতার কোনো অজুহাত নেই।

উল্লেখ্য, ক্যান্সার সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে ডা. গুপ্তপ্রসাদ গত পাঁচ বছর ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এই তথ্যটি প্রচার করছেন।”

 

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানঃ

কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে দেখা যায়, ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া পোস্টগুলো পূর্বে আন্তর্জাতিকভাবেও বিভিন্ন দেশে ছড়ানো হয়েছিলো। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া পোস্টগুলো বাংলা ভাষায় AFP ফ্যাক্ট-চেক  এবং ইংরেজি ভাষায় Africa Check, Factly এবং VERA FILES নামক ফ্যাক্টচেকিং ওয়েবসাইট থেকে ফ্যাক্টচেক করা হয়।
ফ্যাক্ট-ওয়াচের এই প্রতিবেদনে ধাপে ধাপে প্রতিটা দাবির সত্যতা যাচাই করা হল।

 

১. মস্কোর ওশ স্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটি এবং ক্যান্সার  বিশেষজ্ঞ ডা. গুপ্তপ্রসাদ রেড্ডি

 

AFP ফ্যাক্ট-চেক, Africa Check, Factly এবং VERA FILES সবগুলো ফ্যাক্টচেকিং ওয়েবসাইটেই ওশ স্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটির অবস্থান এবং ক্যান্সার  বিশেষজ্ঞ ডা. গুপ্তপ্রসাদ রেড্ডির ব্যাপারে অনুসন্ধান করেছে। উক্ত ফ্যাক্টচেকিং সাইট থেকে জানা যাচ্ছে ওশ স্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটি নামে রাশিয়ার মস্কোয় কোন ইউনিভার্সিটি নেই। তবে কিরগিজস্থানের ওশ নামক শহরে ওশ স্টেট ইউনিভার্সিটি নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় আছে এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধায়নে একটি মেডিকেল ইন্সটিটিউট আছে।

তাই বলা যায় রাশিয়ার মস্কোয় ওশ স্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটি থাকার দাবিটি ভুল।

তাছাড়া ভাইরাল পোস্টগুলোতে ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. গুপ্তপ্রসাদ রেড্ডির নাম লেখা হয়েছে। তবে অনুসন্ধানে এই নামে কোনো ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ খুজে পাওয়া যায়নি। গুগল স্কলারে এই নামে কোনো ক্যান্সার বিশেষজ্ঞের প্রোফাইল নেই।  অন্যান্য ফ্যাক্টচেকিং সাইটগুলোও এই নামে কাউকে খুঁজে পায়নি।

ওশ স্টেট ইউনিভার্সিটির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের Oncology, Ophthalmology and Otorhinolaryngology ডিপা্র্টমেন্টের পেজে গিয়ে রুশ ভাষায়  কয়েকজন ডাক্তারের নাম পাওয়া গেল। এরা হলেন – (ইংরেজি অনুবাদকৃত নাম)
Professor Zhumabaev Amangeldi Rakhmadildeevich, Ryspekova Ch.D, Samieva N.M, Sharipov A.A., Sagyndykova Ch.Zh., Ryspekova Chinara Darbekovna. ইত্যাদি । এদের মধ্যে ডক্টর গুপ্তপ্রসাদ রেড্ডির নাম কিংবা নামের আদ্যক্ষর খুঁজে পাওয়া যায়নি ।

তাই বলা যায়, ভাইরাল পোস্টগুলো ভূয়া রেফারেন্স দিয়ে ছড়ানো হচ্ছে।

ফ্যাক্টচেকিং রিপোর্টগুলো দেখুন এখানে,এখানে,এখানে,এখানে




২. চিনি কি ক্যান্সার ছড়াতে সহায়তা করে?

AFP ফ্যাক্ট-চেক -এর প্রতিবেদনে জানা যাচ্ছে তারা ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে ব্যাংককের ফাইথাই হাসপাতালের ক্যন্সার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পুনলার্ট তানিয়াকুলের ইন্টারভিউ নিয়েছিল। সেখানে তানিয়াকুল চিনিবিহীন ডায়েটের বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেন “যেহেতু মানব শরীরের জন্য চিনি (সুগার) একটি প্রয়োজনীয় উপাদান তাই খাবারের তালিকা থেকে চিনি একদম বাদ দিয়ে দেয়া মোটেও ভাল কিছু নয়। শরীরে যদি কোনো চিনি না থাকে তাহলে শরীরের কোষগুলো বাঁচতে পারবে না এবং অকেজো হয়ে যাবে।”

 

যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনে প্রকাশিত এই গবেষণাপত্র বলছে , বেশিরভাগ সেলের শক্তির প্রধান উৎস হলো গ্লুকোজ এবং অনেক প্রাণরাসায়নিক প্রতিক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। গ্লুকোজ প্রতিটি শারিরীক সেলের জন্য যেমন প্রয়োজনীয়, তেমনই গ্লুকোজ ট্রান্সপোর্টারগুলোও।”

 

Africa Check -এর রিপোর্টে “ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে” থেকে প্রকাশিত একটি রিপোর্টের উল্লেখ করা হয়েছে। “ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে” -এর রিপোর্টে বলা হয় “ জীববিজ্ঞানের কিছু জটিল বিষয়কে সহজভাবে ব্যাখ্যার জন্য বলা হয় চিনি ক্যান্সার তৈরিতে কিংবা ছড়াতে সহায়তা করে। ক্যান্সারের কোষ গাণিতিক হারে বাড়তে থাকে। এজন্য ক্যান্সারের কোষে বিপুল পরিমাণ শক্তির দরকার হয়। তার মানে তার বিপুল পরিমাণে গ্লুকোজের দরকার পড়ে। তবে ক্যান্সার কোষের অন্য কিছু পুষ্টি উপাদান যেমন অ্যামিনো এসিড এবং চর্বি জাতীয় পদার্থেরও দরকার হয়। এটা শুধু চিনি শোষণ করে না।”

উক্ত রিপোর্টে আরও বলা হয় “স্বাস্থ্যকর কোষগুলোর চিনির দরকার আছে। কিন্তু মানুষের দেহের এটা বলার কোন উপায় নেই যে, গ্লুকোজ কেবল স্বাস্থ্যকর কোষগুলোকে দাও, ক্যান্সার কোষকে দিও না! এটার কোন প্রমাণ নেই যে চিনি না খেলে বা ডায়েট করলে ক্যান্সার হবে না।”

 

Factly এর প্রতিবেদনে ক্যান্সার কাউন্সিল অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী সানসিয়া আর্ন্ডার এবিসি অস্ট্রেলিয়ায় দেওয়া একটা সাক্ষাতকার তুলে ধরা হয়। সেখান আর্ন্ডা বলেন “ ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি থেকে বাঁচার জন্য চিনি খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া মানে স্বাস্থ্যবান কোষদেরও প্রয়োজনীয় চিনি সরবরাহ থেকে বঞ্চিত করা। আমি মনে করি এটা ওজন কমিয়ে ফেলতে পারে এবং এর ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দূর্বল হয়ে যাবে। এবং এজন্যেও ক্যান্সার হতে পারে।”

 

VERA FILES -এর করা ফ্যাক্টচেক রিপোর্টে তারা ফিলিপাইন সোসাইটি অফ মেডিকেল অনকোলজি -এর ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ অনকোলজিস্ট নেসি জুয়াটের সাক্ষাতকার নেয়। সেখানে তিনি চিনি না খেলে ক্যান্সার কোষ মরে যায় কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেনা “না”। তিনি বলেন “চিনি অথবা গ্লুকোজ হচ্ছে কোষের মৌলিক শক্তির উৎস।”

 

উপরোক্ত আলোচনা থেকে জানা যাচ্ছে সব ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ  “চিনি না খেলে ক্যান্সার হবে না” এমন দাবি নাকচ করে দিয়েছেন। এমন দাবির পক্ষে কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তিও নেই।

 

৩. লেবুর রস মিশ্রিত গরম পানি কি ক্যান্সার সারাতে পারে?

AFP ফ্যাক্ট-চেক -এর প্রতিবেদনে প্যারিস স্যাকলে ইউনিভার্সিটির জনস্বাস্থ্যের অধ্যাপক ও ফরাসি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনসার্ম এর সেন্টার ফর রিসার্চ ইন এপিডেমিওলোজি এন্ড পপুলেশন হেলথ এর পরিচালক ব্রুনো ফ্যালিসার্ডের সাক্ষাতকার নেওয়া হয়। সেখানে তিনি বলেন “পানি গরম হোক বা ঠাণ্ডা সেটা কোনো ব্যাপার না। এটিতে রোগ সারানোর ক্ষমতা নাই আবার এটি ক্ষতিকরও না। শূন্য থেকে ৪০ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রার পানি মানবশরীর সহ্য করতে পারে। রোগ সারাতে গরম পানির এমন উপকারিতা বর্ণনা করে এমন কোনো বৈজ্ঞানিক গবেষণা নেই। এবং গরম পানির এমন থেরাপির পেছনের যে যুক্তি তাও হাস্যকর।”

AFP ফ্যাক্ট-চেক এর রিপোর্টে প্যারিসের সেন্ট লুই হাসপাতালের ব্লাড ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক নিকোলাস বয়সেল বলেন “গরম পানি, লেবু বা চিনিবিহীন খাবার এসবের কোনোটির মধ্যে ক্যান্সারনিরোধক কোনো ক্ষমতার উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি।”

Africa Check -এর রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে যুক্তরাজ্যের ক্যান্সার রিসার্সের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, সাইট্রাস ফলের ক্যান্সার প্রতিরোধী কিছু গুণ থাকলেও এটা ক্যান্সার সারাতে পারে এর কোন প্রমাণ নেই।

Africa Check -এর  উপসংহারে জানাচ্ছে, “ সাম্প্রতিক গবেষণায় লেবুর রসের কিছু উপাদান  আশা দেখাচ্ছে। কিন্তু এইসব খাদ্য উপাদান শুধুমাত্র শরীরে কার্যক্ষমতা বাড়াবে — ক্যান্সারের বিরূদ্ধে যুদ্ধ করার ক্ষেত্রে। পরিশেষে ক্যান্সার থেকে বাঁচতে রেডিয়েশন থেরাপি অথবা কেমোথেরাপি ছাড়া বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত বিকল্প কিছু নেই।”

ইউনিভার্সিটি অফ আরকানসাস মেডিকেল সায়েন্সের মতো ন্যাশনাল সেন্টার ফর হেলথ রিসার্সেও “লেবু ক্যান্সার থেকে বাঁচাতে পারে কিনা” এই শিরোনামে একটি ফ্যাক্টচেক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। উক্ত রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে কিছু গবেষণায় দেখা গেছে সাইট্রাস ফলে প্রাকৃতিকভাবে কিছু ক্যান্সার প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যেমন মডিফাইড সাইট্রাস প্রাক্টিন এবং লেমোনয়েডস। কিন্তু এগুলো কখনো মানুষের উপর প্রয়োগ করা হয়নি।

 

তাছাড়া ২০১১ সালে Snopes এর করা একটা ফ্যাক্টচেক রিপোর্টেও উক্ত দাবিকে অতিরঞ্জিত  হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়ছে।

Snopes এর রিপোর্ট দেখুন এখানে,

উপরের বিশ্লেষণ থেকে বলা যায় “লেবুর রস গরম পানির সাথে মিশ্রিত করে খেলে ক্যান্সার হবে না — এই দাবীটি অতিরঞ্জিত এবং বিভ্রান্তিকর।

 

৪. নারকেল তেল খেলে কি ক্যান্সার সেরে যায়?

 

ফেসবুকে ভাইরাল পোস্টে দাবি করা হয় প্রতিদিন সকালে এবং রাতে তিন চা চামচ নারকেল তেল খেলে ক্যান্সার সেরে যায়।

 

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে জানা যাচ্ছে ২০১৪ সালে মেডিকেল সায়েন্স অফ ইউনিভার্সিটি সান্স মালয়েশিয়া বিশুদ্ধ নারকেল তেল স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের জীবনমান সহজ করে কিনা এই বিষয়ে একটা গবেষণা করে। গবেষণায় দেখা যায় বিশুদ্ধ নারকেল তেল গবেষণায় অংশগ্রহণকারী সেচ্চাসেবকদের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে এবং ক্যান্সারের পার্শ্বপতিক্রিয়াও অনেকাংশে কমে গিয়েছে।

তবে এই গবেষণায় স্তন ক্যান্সার ছাড়া অন্য কোন ক্যান্সারের রোগীদের উপর প্রয়োগ করা হয়নি। তাছাড়া গবেষণায় বিশুদ্ধ নারকেল তেলের ব্যবহার হয়েছে তবে বাজার থেকে কেনা নারকেল তেলে একই ফলাফল পাওয়া কিনা তা বলা হয়নি।

২০১৭ সালের একটি গবেষণায় জানা যাচ্ছে নারকেলে থাকা লাউরিক এসিড বিশেষ কিছু ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধিকে প্রতিহত করতে পারে। তবে এ বিষয়ে আরো বিস্তর গবেষণার প্রয়োজন আছে।

কোন গবেষণায় বলে নি, প্রতিদিন তিন চা চামচ নারকেলের তেল খেলে ক্যান্সার হবে না।

উপরোক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় প্রতিদিন তিন চা চামচ নারকেল তেল খেলে ক্যান্সার হবে না — এই দাবীটির পক্ষে এখনো সুনিশ্চিত বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পাওয়া যায় নি।

 

যেহেতু ফেসবুকে ভাইরাল পোস্টটি বিভিন্ন ভুল এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে ছড়ানো হচ্ছে — তাই ফ্যাক্টওয়াচ পোস্টগুলোকে “মিথ্যা” হিসেবে সাব্যস্ত করছে।

 

আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন?
নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?

এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান।
আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh