Published on: May 25, 2023
![]() |
এমন কিছু পোস্টের নমুনা দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এবং এখানে।
Image: Example of a viral Facebook post
ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান:
সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত ছবিটির দাবির সত্যতা যাচাই করতে উক্ত ছবিটি ব্যবহার করে আমরা রিভার্স ইমেজ সার্চ করি এবং ইন্টারনেটে ঐ ছবিটির অনুরূপ বেশকিছু ছবি খুঁজে পাই। ইমগুর এবং রেড্ডিট নামক দুটো ফটো স্টকে ঐ ছবিটির বর্ণনা থেকে জানা গেছে, চার হাজার বছরের পুরানো এই ইঁটখণ্ডটি প্রাচীন ইরাকের এবং রোদে শুকানোর সময় কেউ হয়তো এটিতে পা ফেলেছিলেন। অথবা হয়ত ইচ্ছা করেই কারো পায়ের ছাপ ধরে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।
Image: Excerpt from the Reddit photo stock
পরবর্তীতে ইঁটের খণ্ডটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে কিছু প্রাসঙ্গিক শব্দ ব্যবহার করে গুগল সার্চ করা হয় এবং ফিলাডেলফিয়ার পেন মিউজিয়ামের ওয়েবসাইটে উক্ত ইটের টুকরো সম্পর্কিত বেশকিছু তথ্য পাওয়া গেছে। উক্ত ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, এটি বর্তমানে পেন মিউজিয়ামের মিডল ইস্ট গ্যালারিতে রয়েছে। আরও জানা গেছে, ইঁটখণ্ডটি প্রাচীন ইরাকের তৃতীয় উর রাজবংশের শাসনামলে অর্থাৎ, খ্রিস্টপূর্ব ২১০০ থেকে ২০০০ এর মাঝে তৈরি করা হয়েছিলো। এটি তৈরির উপাদান হিসেবে কাদামাটির (Clay) কথা বলা হয়েছে।
Image: Excerpt from Penn Musuem’s website
উল্লেখ্য, নবী মুহাম্মদ (সা:) এর জন্ম ৫৭১ খ্রিস্টাব্দে সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে। অতএব, উক্ত ইঁটের টুকরোটির উপর পায়ের ছাপটি কোনমতেই নবীজির হতে পারে না।
সুতরাং, সবকিছু বিবেচনা করে ফ্যাক্টওয়াচ সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত ছবিটির দাবিকে “মিথ্যা” বলে সাব্যস্ত করছে।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
|