গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে কি দল থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে?

Published on: January 22, 2023

“মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের পদত্যাগ চাওয়ায় বহিষ্কার হচ্ছেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়”– এমন শিরোনামে একটি তথ্য ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু, ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সম্পর্কে  এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বরং, তাকে সবসময় মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের পক্ষেই কথা বলতে দেখা গিয়েছে। তাছাড়া, বিএনপি দল থেকে এমন কোনো ঘোষণাও পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে, ফেসবুকে এই পোস্টটি প্রথম শেয়ার করা হয় গত ১৭ জানুয়ারি, কিন্তু এর ঠিক আগের দিন এবং পরেও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে বিভিন্ন স্থানে উপস্থিত হতে দেখা যায়। সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ ভাইরাল হওয়া তথ্যটিকে “মিথ্যা” হিসেবে চিহ্নিত করেছে।  

ফেসবুকে ভাইরাল এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানেএখানেএখানেএখানে এবং এখানে

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান:

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের পদত্যাগ চেয়েছেন কি না জানার জন্য প্রাসঙ্গিক কিছু কী ওয়ার্ড ধরে অনুসন্ধান করা হলেও এ সংক্রান্ত নিশ্চিত কোনো তথ্য মূলধারার সংবাদমাধ্যমে পাওয়া যায়নি। তবে, অধিকাংশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ি তাকে সবসময় তাদের পক্ষেই কথা বলতে এবং শেখ হাসিনার পদত্যাগ চাইতে দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার করার বিরুদ্ধেও গয়েশ্বর কথা বলেছিলেন। এমন কিছু প্রতিবেদন দেখুন এখানে এবং এখানে

অন্যদিকে, ফেসবুকে এই পোস্টটি প্রথম শেয়ার করা হয় গত ১৭ জানুয়ারি, কিন্তু এর ঠিক আগের দিনই গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঢাকা মহানগর বিএনপি’র বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে বক্তব্য দিয়েছিলেন।

১৭ জানুয়ারির পরেও তাকে বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং প্রধান অতিথি হিসেবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। যেমনঃ জিয়াউর রহমানের ৮৭ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১৯ জানুয়ারি ঢাকা জেলা বিএনপির দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ উপজেলা শাখার উদ্যোগে দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র ও খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠান, এবং ২০ জানুয়ারি জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) এর আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনি। এই সকল তথ্য বিএনপির অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেল থেকে খুঁজে পাওয়া যায়।

তাছাড়া, বিএনপির পক্ষ থেকেও অফিসিয়ালি এমন কোনো ঘোষণা পাওয়া যায়নি যার ভিত্তিতে এটা বলা যায় যে, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বহিষ্কার হচ্ছেন।

তাই ভিত্তিহীন এই দাবিকে ফ্যাক্টওয়াচ “মিথ্যা” হিসেবে সাব্যস্ত করছে।

আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন?
নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?

এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান।
আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh