Published on: June 5, 2022
![]() |
হাইকোর্টের এই মন্তব্যটি ইতিমধ্যে জাতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তবে সেখানে শিক্ষার্থীদের বোরকা ও হিজাব পরে কলেজে ও ইউনিভার্সিটিতে আসতে হবে এমন কোনো মন্তব্যের কথা বলা হয়নি। সঙ্গত কারণেই হাইকোর্টের সুস্পষ্ট মন্তব্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করার কারণে ফ্যাক্টওয়াচ এসকল মন্তব্যকে “মিথ্যা” চিহ্নিত করেছে।
বিভিন্ন ফেসবুক পেজ, একাউন্ট থেকে ভুলভাবে পোস্টকৃত এমনকিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, হাইকোর্টের মন্তব্যটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হবার পর পরই
“ব্রেকিং নিউজ !
শিক্ষার্থীদের বোরকা ও হিজাব পরে কলেজে ও ইউনিভার্সিটিতে আসতে হবে!
—-হাইকোর্ট” ক্যাপশনে সংবাদটি ভাইরাল হতে শুরু করে। জাতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদগুলোতে দেখা যায়, ‘ধর্মীয় রীতি পালনে কোনো বাধা নয় এবং বোরখা বা হিজাব ব্যবহার শিক্ষার্থীর নিজস্ব সিদ্ধান্ত। এছাড়াও বাংলাদেশ ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ সব ধর্মের মানুষের এখানে সমান অধিকার ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা এবং রাষ্ট্রকে সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করায় সাংবিধানিক অধিকার’। এসকল মন্তব্য হাইকোর্ট থেকে করা হয়েছিল। এ বিষয়ে Independent television থেকে প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন দেখুন এখানে।
মূলত, বোরকা বা হিজাব পরায় শিক্ষার্থী হেনস্থা হয়েছে কি-না এবং হয়ে থাকলে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে — এটা জানতে দুই মাসের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, ধর্ম মন্ত্রণালয় সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বাংলা ট্রিবিউন থেকে প্রকাশিত এমন একটি প্রতিবেদন দেখুন এখানে।
সুতরাং সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে প্রতিটি ধর্মের অনুসারী মানুষেরা নিজ নিজ ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী পোশাক পরতে পারবে এবং সেখানে কোনো হস্তক্ষেপ করা যাবে না। এমন একটি সুস্পষ্ট মন্তব্য করেছে হাইকোর্ট। সেখানে কোথাও মন্তব্য করা হয়নি যে, শিক্ষার্থীদের বোরকা ও হিজাব পরে কলেজে ও ইউনিভার্সিটিতে আসতে হবে।
যে কারণে ফেসবুকে ভাইরাল এসব পোস্টগুলোকে ফ্যাক্টওয়াচ “মিথ্যা” সাব্যস্ত করেছে।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
|