ইফতার করার সময় মৃত্যুর দাবিটি বিভ্রান্তিকর

Published on: April 15, 2022

সম্প্রতি ইফতার করা অবস্থায়  এক ব্যাক্তির মৃত্যু হয়েছে এমন দাবি করে এক ব্যাক্তির ছবিসহ একটি পোস্ট ফেসবুকে ভাইরাল হয়। অনুসন্ধানে জানা যায়, ছবিটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়। এর আগে বিভিন্ন সময় কখনো ব্যঙ্গ আকারে কিংবা কখনো ডিম-কলা একসাথে খাওয়ার কারণে মৃত্যুর দাবি নিয়ে ছবিটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভাইরাল হয়েছে। এমনই কিছু দাবির বিপরীতে আন্তর্জাতিক কয়েকটি ফ্যাক্ট-চেকিং প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদন দেখতে পাওয়া যায়। এর মধ্যে “আফ্রিকা চেক” প্রকাশিত ২৯ জানুয়ারি, ২০১৯ এর একটি প্রতিবেদনে ছবিটিকে গুজব হিসেবে চিহ্নিত করে।  তবে ছবিটির মূল সূত্র এবং এর বিবরণ সঠিকভাবে জানা যায়নি। তবে যেহেতু ছবিটি কমপক্ষে তিন বছর পুরানো এবং দাবিটির কোনো সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি তাই ফ্যাক্টওয়াচ এটিকে ‘বিভ্রান্তিকর’ চিহ্নিত করছে।

 

এমন কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে


ভাইরাল এই ছবিতে বলা হচ্ছে, ইফতার করা অবস্থায় এই বয়স্ক লোকটি মৃত্যুবরণ করেন।

 

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান

ভাইরাল ছবির সাহায্যে অনুসন্ধান করা হলে ছবির সূত্র সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে এই ছবি নিয়ে আন্তর্জাতিক কয়েকটি ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থার প্রতিবেদন পাওয়া যায়। ২৯ জানুয়ারি, ২০১৯ এ আফ্রিকা চেক প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ডিম এবং কলা একসাথে খেলে ৫ মিনিটের মধ্যেই মৃত্যু হবে এমন দাবিতে ছবিটি ভাইরাল হয়।

উক্ত প্রতিবেদনে দাবিটিকে অসত্য চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু সেখানে ছবি সম্পর্কে কোনো বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।

পুনরায় অনুসন্ধান করলে, ভারতের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান ফ্যাক্টলির একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। ২২ এপ্রিল, ২০১৯ এ প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়, ছবিটি এর আগে অর্থাৎ ২০১৯ এর আগেও দেখতে পাওয়া যায়। বিভিন্ন ইফতার পার্টি সম্পর্কিত ফেসবুক পোস্টে এটি ব্যবহৃত হয়েছিলো বলেও উল্লেখ করা হয়।

এছাড়াও ব্যঙ্গ আকারেও এই ছবির ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায়। এমনি একটি ছবি দেখুন এখানে

সুতরাং বুঝা যাচ্ছে যে, ছবিটির মূল সূত্র সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়া ছবির ব্যক্তিটি ইফতার করা অবস্থায় মারা গিয়েছে কি না এ ব্যাপারেও কোনো প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে এটি পরিষ্কার যে ছবিটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়। কমপক্ষে ২০১৯ সালের ছবি এটি। তাই ফ্যাক্টওয়াচ পুরানো ছবিটিকে “বিভ্রান্তিকর” চিহ্নিত করছে।

 

আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন?
নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?

এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান।
আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

Leave a Reply