ফেসবুকের “লাইক” বাটন তিনবার চাপলে কি স্ক্রিনশট নেয়া যায়?

Published on: November 8, 2022

সম্প্রতি ফেসবুকের “লাইক” বাটন নিয়ে একটি তথ্য সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দাবি করা হচ্ছে, ফেসবুকে তিনবার “লাইক” বাটন চাপ দেয়ার মাধ্যমে স্ক্রিনশট নেয়া যায়। কিন্তু ফেসবুকের এবং বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমের নিয়মনীতি অনুসন্ধান করে কোথাও এমন কোনো ফিচারের উল্লেখ পাওয়া যায়নি। অনেকেই এমন ক্যাপশনের সাথে বিভিন্ন প্রলোভনের লিংক জুড়ে দেয়ায় সাধারণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে এক ধরণের বিভ্রান্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাই ফ্যাক্টওয়াচের বিবেচনায় এমন ক্যাপশনসহ পোস্টগুলোকে মিথ্যা সাব্যস্ত করা হচ্ছে।

 

এমন কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে

সেখানে বলা হচ্ছে,”8 বছর হয়ে গেল ফেই’সবুক চালাই কিন্তু আজ জানলাম লা’ইক বা’টনে তিন বার টিপলে স্ক্রিনশট পাওয়া যায়”।

 

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান

 

ফেসবুকের লাইক বাটনের মাধ্যমে আসলেই এভাবে স্ক্রিনশট নেয়া যায় কি না পরীক্ষা করা হলে, দাবির পক্ষে কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে ফেসবুকের নিয়মনীতিতে এমন কোনো ফিচার রয়েছে কি না অনুসন্ধান করা হলে সেখানেও কিছু খুঁজে পাওয়া যায়নি। সেখানে “লাইক” বাটন তিনবার চাপ দেয়ার সাথে স্ক্রিনশটের কোনো সম্পৃক্ততার উল্লেখ নেই।

পরবর্তীতে স্ক্রিনশটের বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধান করা হলে জানা যায়, এই ফিচারটি ফেসবুকের লাইক বাটনে নয় বরং ইলেকট্রিক ডিভাইস এবং এর অপারেটিং সিস্টেমের উপর নির্ভরশীল। বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তিতে স্ক্রিনশটের বিভিন্ন নিয়ম দেখুন এখানে

পরিষ্কারভাবেই দেখা যাচ্ছে যে, ফেসবুকের পলিসি কিংবা স্ক্রিনশট নেয়ার নিয়মের কোথাও ফেসবুকের লাইক বাটনের উল্লেখ নেই।

 

এছাড়া অনেকেই এই ক্যাপশনের বিপরীতে বিভিন্ন “অফার” এর প্রলোভন দেখাচ্ছেন। বিভিন্ন টেলিকম কোম্পানির ইন্টারনেট অফারও সেখানে দেখতে পাওয়া যায়। অর্থ্যাৎ, যে কেউ এমন কিছুর মাধ্যমে বিভিন্ন অনলাইন বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে পারেন।

 

এছাড়া অনেকসময় বিভিন্ন আপত্তিকর ছবির মধ্যেও এমন ক্যাপশন দেখতে পাওয়া যায়।

এসব পোস্টের বিপরীতে সাধারণ ব্যবহারকারীদের প্রতিক্রিয়াঃ

অতএব, নিশ্চিত বলা যাচ্ছে যে, ফেসবুকের বাটনে তিনবার চাপ দেয়ার মাধ্যমে স্ক্রিনশট নেয়া যায় না। বিভিন্ন ফেসবুক ব্যবহারকারী কখনো মজার উদ্দেশ্যে কিংবা কখনো ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে এমন ভুয়া ক্যাপশনটি ব্যবহার করছেন। তাই ফ্যাক্টওয়াচের বিবেচনায় এই ধরণের ক্যাপশনকে “মিথ্যা” চিহ্নিত করা হচ্ছে।

আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন?
নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?

এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান।
আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh