যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর ভিডিওকে ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডব দাবি করে প্রচার

Published on: May 16, 2023

সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় “মোখা” কে কেন্দ্র করে একটি টর্নেডোর ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এবং উক্ত ভিডিওটি দেখে মনে হচ্ছে যে “মোখা” এই তান্ডব চালাচ্ছে। তবে, ফ্যাক্টওয়াচ রিভার্স ইমেজ সার্চ এর মাধ্যমে ঐ ভিডিওটির উৎস খুঁজে বের করেছে এবং জানতে পেরেছে যে উক্ত ভিডিওটি “মোখা” ঘূর্ণিঝড়ের নয়, বরং ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা রাজ্যের কেটি শহরে ঘটিত টর্নেডোর ভিডিও। সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই ভিডিওটির শিরোনামগুলোকে “মিথ্যা” বলে সাব্যস্ত করছে।

 

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান:

ঘূর্ণিঝড় “মোখা” এর তাণ্ডব দাবি করে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি থেকে কিছু স্ক্রিনশট নিয়ে সেগুলো রিভার্স ইমেজ সার্চ করে আমরা ইন্টারনেটে একটি ভিডিও খুঁজে পাই যার সাথে কথিত “মোখা” এর তাণ্ডবের ভিডিওটির মিল রয়েছে। ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত ভিডিওটির শেয়ারকারী Solateor এর একটি লিখিত বক্তব্য অনুযায়ী উক্ত ভিডিওটি মে মাসের নয় তারিখে ওকলাহোমা এর কেটি-ওয়াইনিউডএ ঘটিত টর্নেডোর। তাছাড়া, ঐ ভিডিওটির ফুটেজ ক্রেডিট দেওয়া হয়েছে Dick McGowen নামক একজন ব্যক্তিকে। পরবর্তীতে আমরা ইউটিউবে Dick McGowen নামটি দিয়ে সার্চ করি এবং D. McGowen নামক একটি চ্যানেল খুঁজে পাই। ঐ চ্যানেলটিতে ২০১৬ সালের মে মাসের ১৯ তারিখে আপলোডকৃত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া গেছে যার শিরোনাম থেকে জানা যায় যে, ২০১৬ সালের মে মাসের নয় তারিখে ওকলাহোমা এর কেটিতে স্টোভপাইপ টাইপের ইএফ-৪ (Stovepipe EF-4) মাত্রার টর্নেডো হয়েছিলো। তাছাড়া, ঐ ভিডিওটিরই চার মিনিট ৩৫ সেকেন্ড থেকে চার মিনিট ৪৫ সেকেন্ড এর মাঝের অংশটুকুর সাথে সামাজিক মাধ্যমে “মোখা” এর তাণ্ডব দাবি করে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটির বেশ মিল রয়েছে।

Image: Excerpt from the original source

 

Image: Excerpt from the viral Facebook post

 

১০ই মে, ২০১৬ এ এবিসি নিউজে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে, ওকলাহোমায় কয়েকটি টর্নেডোর আঘাতে দুজন নিহত হয়েছে এবং গ্রামাঞ্চলে বাড়িঘরের বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

 

উল্লেখ্য, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় “মোখা” গত ১৪ই মে, ২০২৩ এ বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপ এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সিতওয়া (Sittwe) শহরে আঘাত হেনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে।

সুতরাং, সবকিছু বিবেচনা করে ফ্যাক্টওয়াচ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটির দাবিকে “মিথ্যা” বলে সাব্যস্ত করছে।

আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন?
নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?

এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান।
আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh