Published on: December 23, 2021
সম্প্রতি “এবার সুনামগঞ্জে ডা. মুরাদ হাসানসহ দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা” শিরোনামে একটি খবর সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দাবি করা হচ্ছে, সম্প্রতি জাইমা রহমান সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জে গত ১৯ ডিসেম্বর মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু দেশের মূলধারার অনেকগুলো গণমাধ্যমের তথ্যমতে, সেদিন তার বিরুদ্ধে মামলার জন্য আদালতের নিকট আবেদন করা হয়েছিলো, মামলা করা হয়নি। পরবর্তীতে আবেদনটি আদালত খারিজও করে দিয়েছিলো। তাই ফ্যাক্টওয়াচ খবরটিকে “আংশিক মিথ্যা” চিহ্নিত করছে। |
এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
বিভিন্ন ওয়েবপোর্টালের বরাতে খবরটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার হতে দেখা যাচ্ছে।
খবরগুলো দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
সেখানে দাবি করা হচ্ছে, “বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমান সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানসহ দুজনের বিরুদ্ধে এবার মামলা দায়ের করা হয়েছে সুনামগঞ্জে।”
ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান
উক্ত খবরে বর্ণিত প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ডের মাধ্যমে গুগল সার্চ করা হলে, দৈনিক সমকাল এর ১৯ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখের একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। “এবার সুনামগঞ্জে ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন” শিরোনামে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, “বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমানে সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানসহ দুজনের বিরুদ্ধে এবার সুনামগঞ্জে মামলার আবেদন করা হয়েছে।“।
সমকালের এই প্রতিবেদনটি লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, বর্তমানে ভাইরাল ওই খবরের সাথে এর প্রায় শতভাগ মিল রয়েছে। পার্থক্য শুধু, ভাইরাল খবরটি দাবি করছে ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে কিন্তু সমকালের প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে মামলা করা হয়নি বরং মামলার জন্য আবেদন করা হয়েছিলো। বাকি প্রায় সবগুলো বাক্যই একই রকম।
আবার “News 24” এর ১৯ ডিসেম্বর ২০২১ এর প্রতিবেদনের সাথে বর্তমান খবরটি সম্পূর্ণই মিলে যাচ্ছে।
বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত ধারণা পেতে পুনরায় গুগল সার্চ করা হয়। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের মূলধারার আরোও কিছু গণমাধ্যমের ঐ একই দিনে এই বিষয় সম্পর্কে প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদন পাওয়া যায়। দৈনিক সমকালের মত দৈনিক যুগান্তর এবং এনটিভির প্রতিবেদনেও বলা হচ্ছে যে, ১৯ ডিসেম্বর ডা. মুরাদসহ দুইজনের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জের আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছিলো।
প্রতিবেদনগুলো দেখুন এখানে এবং এখানে।
এ থেকে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায় যে, গত ১৯ ডিসেম্বর (রোববার) ডা. মুরাদসহ দুইজনের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ আদালতে মামলা করার জন্য আবেদন করা হয়েছিলো, মামলা করা হয়নি।
উল্লেখ্য, কালেরকন্ঠ এবং আরটিভির তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, পরব্ররতীতে সুনামগঞ্জের উক্ত মামলার আবেদনটি আদালত খারিজ করে দিয়েছেন।
প্রতিবেদন দুইটি দেখুন এখানে এবং এখানে।
সুতরাং, দেখা যাচ্ছে বর্তমানে ভাইরাল খবরের দাবিটি সম্পূর্ণ সঠিক নয়। ডা. মুরাদসহ দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়নি বরং মামলা করার জন্য আবেদন করা হয়েছিলো। তাই ফ্যাক্টওয়াচ দাবিটিকে “আংশিক মিথ্যা” চিহ্নিত করছে।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন? এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান। |