Published on: February 17, 2022
সম্প্রতি “আগামী মাস থেকে দেশের প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য নামাজ বাধ্যতামূলক করা হবে। – শিক্ষামন্ত্রী” ক্যাপশনে একটি পোস্ট ফেসবুকে প্রচুর শেয়ার হয়েছে। মূলত এটি একটি পুরনো গুজব যা ২০১৯ সাল থেকে প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ফেসবুকে ছড়িয়েছে। এ বিষয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ২০১৯ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্ট থেকে একটি পোস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি গুজব। |
সম্প্রতি পুরনো গুজবটি নতুন করে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এবং এখানে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, উক্ত ক্যাপশনে ফেসবুক পোস্টটি সর্বপ্রথম ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভাইরাল হয়েছিল। এর পর ২০২০, ২০২১ ও সর্বশেষ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সেই একই ক্যাপশনে ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। এমন কিছু পোস্টের নমুনা নিচে দেয়া হলো:
উক্ত ক্যাপশন ধরে গুগলে অনুসন্ধান করে কোনো সংবাদ খুঁজে পায়নি ফ্যাক্টওয়াচ টিম। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির ভ্যারিফাইড ফেসবুক একাউন্টেও এমন কিছু পাওয়া যায় নি। অনুসন্ধানে ২০১৯ সালে প্রকাশিত দুটি সংবাদ প্রতিবেদন পাওয়া গিয়েছে, যেখানে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির উদ্বৃতি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া উক্ত গুজবটি সম্পর্কে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এর একটি স্ট্যাটাসকে তুলে ধরে ধরেছে।
এ বিষয়ে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস এবং ক্যাম্পাস টাইমস এর দুটি প্রতিবেদন পড়ুন এখানে এবং এখানে।
শিক্ষা উপমন্ত্রী ২০১৯ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্ট থেকে একটি পোস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি গুজব। তার ফেসবুক পোস্টটি হুবহু নিচে তুলে ধরা হল:
“মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বা আমি ধর্মীয় কোনো বাধ্যবাধকতা বা ধুমপান এই সমস্ত বিষয় নিয়ে কোনো আদেশ জারি করি নাই। প্রয়োজনবোধে আমরা এখতিয়ারাধীন যেকোনো বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় দ্বারা লিখিত আদেশ জারী করবো। উড়ো খবর দিয়ে ফেইক আইডি থেকে ছড়ানো তথ্য, ভালো হোক বা মন্দ হোক, সবসময়ই গুজব। গুজব থেকে সাবধান থাকুন।“
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন? এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান। |