ছবিগুলো ত্রিপুরার সাম্প্রদায়িক সহিংসতার নয়

Published on: November 2, 2021

সম্প্রতি ফেসবুকে “ত্রিপুরায় জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে মুসলিমদের মসজিদ ও কোরআন শরিফ!” ক্যাপশনে কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছে। গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, ভাইরাল পোস্টগুলোতে ব্যবহৃত ৩টি ছবি পুরনো। এই ছবিগুলোর সাথে সম্প্রতি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক সহিংসতার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। পুরনো ছবি ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ব্যবহার করার কারণে ফ্যাক্টওয়াচ ছবিগুলো মিথ্যা সাব্যস্ত করেছে।

সম্প্রতি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।

গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে অনুসন্ধান করে দেখা গেছে এই ছবিটি দিল্লির মদনপুর খাদার এলাকায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, দমকলকর্মীরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন নেভাচ্ছে। ১৩ জুন ২০২১ তারিখে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার একটি প্রতিবেদনে ছবিটি দেখুন এখানে।

গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে অনুসন্ধান করে এই ছবিটি ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে প্রকাশিত ইন্ডিয়া টুডে’র একটি প্রতিবেদনে পাওয়া গেছে। ছবিটি রাজ্যসভায় পাস হওয়া নাগরিকত্ব (সংশোধন) বিলের বিরুদ্ধে মিছিল চলাকালীন গুয়াহাটিতে বিক্ষোভকারীদের হোর্ডিং পোড়ানোর।

এদিকে টুইটারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ছবি খুঁজতে গিয়ে এই ছবিটি পাওয়া গেছে।  ১৪ জুন ২০২১ তারিখে On the Ground News নামের একটু টুইটার একাউন্ট থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের বেশ কিছু ছবি টুইট করা হয়। তার মধ্যে এই ছবিটিও ছিল।

উল্লেখ্য যে, এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, দোকানপাট, মসজিদে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে।

আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন?
নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?

এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান।
আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

 

Leave a Reply