Published on: March 9, 2022
![]() |
এমন কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
১ মিনিট ৫৪ সেকেন্ড দীর্ঘ এই ভিডিওতে কয়েকটি যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি অবস্থান দেখতে পাওয়া যায়। ভিডিওতে সময় নিউজের একটি লোগোসহ প্রতিবেদন শুনতে পাওয়া যায়। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং রাশিয়ান রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম আরটি’র বরাত দিয়ে তৈরি এই প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া অধিকৃত ক্রিমিয়ার আকাশসীমায় প্রবেশের চেষ্টা করলেযুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু বম্বার বহরকে ধাওয়া দেয় রুশ যুদ্ধবিমান।
ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান
প্রায় দুই মিনিট দীর্ঘ এই ভিডিওতে সময় নিউজের লোগো দেখে,খবরটির মূল উৎস খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করে ফ্যাক্টওয়াচ। বিভিন্ন কি-ওয়ার্ডের মাধ্যমে ইউটিউবে অনুসন্ধান করা হলে৬ সেপ্টেম্বর২০২০ তারিখে সময় টিভির অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল থেকে “রাশিয়ার সুখোই দেখে পালালো আমেরিকার বম্বার!” শিরোনামে প্রকাশিত খবরটি খুঁজে পাওয়া যায়।
গতবছরে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনের সাথে বর্তমানে ভাইরাল প্রতিবেদনের শতভাগ মিল দেখা যাচ্ছে। সময় টিভির এই প্রতিবেদনেও একই দাবিকরা হচ্ছে।
পরবর্তীতে, বিস্তারিত জানতে ভিডিওটি থেকে স্থিরচিত্র নিয়ে গুগলে অনুসন্ধান করা হয়। এতে করেযুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম ডেইলিমেইলসহ বেশ কয়টি গণমাধ্যমে এমন একটি খবর খুঁজে পাওয়া যায়। ৩০ আগস্ট ২০২০ ডেইলিমেইল পেন্টাগনের বরাত দিয়েএকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।তাদের দাবি, পেন্টাগন রাশিয়ার এই আচরণকে “অনিরাপদ এবং অপেশাদারি” আখ্যা দিয়ে উক্ত ভিডিওটি প্রকাশ করে।
ডেইলিমেইল অনুযায়ী, কৃষ্ণ সাগরে আমেরিকার বি-৫২ বোম্বার বিমানটির “নিয়মিত অপারেশনের” অংশ হিসেবে অবস্থান করার সময় রাশিয়ার সু-২৭ নামক দুইটি যুদ্ধবিমান গতিপরিবর্তন করে তাদের রাস্তায় চলে এলে একটি “ইন্টারসেপশন” ঘটে। এটিকেই মূলত পেন্টাগন “অনিরাপদ ও অপেশাদারিত্ব” বলে দাবি করে।
তবে সময় টিভির এই প্রতিবেদনে তারিখ উল্লেখ না থাকায় আরটিতে এই ভিডিওসহ খবরটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে ২০১৯ সালে প্রকাশিত এই সম্পর্কিত কয়েকটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়৷
রাশিয়া এবং আমেরিকার মধ্যে এমন পাল্টাপাল্টি অভিযোগের অনেক নজির পাওয়া যায়। তাই নিশ্চিতভাবে বলা কঠিন যে কোন দাবিটি শতভাগ সত্যি।
ভিন্নসময়ে প্রকাশিত এমন কিছু পাল্টাপাল্টি খবর দেখুন এখানে এবং এখানে।
তবে এইটুকু নিশ্চিত যে, ভিডিওটি সাম্প্রতিক নয় এবং ইউক্রেন-রাশিয়া সংকটের কোনো ভিডিও নয়।
সুতরাং, বিভ্রান্তিকর শিরোনামে প্রকাশিত পুরনো এই প্রতিবেদনটিকে ফ্যাক্টওয়াচ “বিভ্রান্তিকর” চিহ্নিত করছে।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
|