Published on: April 21, 2022
![]() |
যথার্থ কারণে ফ্যাক্টওয়াচ এমন সংবাদগুলোকে “মিথ্যা” সাব্যস্ত করছে।
ভাইরাল হওয়া এমনকিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে। স্ক্রিনশট দেখুন নিচে
যেসব ওয়েবপোর্টালের মাধ্যমে খবরটি ভাইরাল হচ্ছে সেগুলোর আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
বিভ্রান্তিকর কিছু কমেন্টের স্ক্রিনশট দেখুন নিচে
ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান:
সংবাদটির বিস্তারিত অংশে বলা হয়েছে, “রাজধানীর গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। সেখানে ফিল্ম-টেলিভিশন ও ডিজিটাল মিডিয়া বিভাগে অভিনয় বিষয়ে ক্লাস নেবেন তিনি। সোমবার এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সাক্ষর করেছেন পূর্ণিমা। পূর্ণিমা ছাড়াও সেখানে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছেন, অভিনেতা ফেরদৌস, গাজী রাকায়েত, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, নাট্যকার আনন জামান”।
ফ্যাক্টওয়াচ বিভিন্ন কী-ওয়ার্ড সার্চ করে রাইজিং বিডি ডটকম নামের একটি অনলাইন পোর্টালে ১ আগস্ট, ২০১৭ তারিখে “গ্রিন ইউনিভার্সিটির শিক্ষক হলেন ফেরদৌস, পূর্ণিমা শিরোনামে”প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পায়। আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে। সম্প্রতি শেয়ার হওয়া প্রতিবেদনগুলোর সাথে ১ আগস্ট ২০১৭ তারিখে প্রকাশিত প্রতিবেদনটির হুবুহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানতে গ্রিন ইউনিভার্সিটির শিক্ষক প্রফেসর ড. আফজাল হোসেন খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি জানান, “২০১৭ সালে ফিল্ম টেলিভিশন এন্ড ডিজিটাল মিডিয়া ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল ক্রিয়াকলাপের সাথে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত করতে চলচ্চিত্র অঙ্গনের বিভিন্ন তারকা অভিনেতা, অভিনেত্রীদের গ্রীন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য রাখার জন্য আমন্ত্রণ জানাতেন। চলচ্চিত্র পরিচালক জাকির হোসেন রাজু একাজে তাকে সহযোগিতা করতেন। সে সময়ে তার আমন্ত্রণে অন্যান্য অভিনেতা, অভিনেত্রী এবং পরিচালকদের পাশাপাশি অভিনেত্রী পূর্ণিমাও একদিন গ্রিন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে শুভেচ্ছা বক্তব্য রেখেছিলেন।তিনি আরও জানান, ২০১৭ সালে সেদিনের পরে পূর্ণিমা আর কখনো গ্রিন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে আসেন নি। তাছাড়া ২০১৭ সালেই বিভাগটি চলচ্চিত্র অধ্যয়ন থেকে সরে এসে “জার্নালিজম ও মিডিয়া কম্যুনিকেশন” বিভাগ নাম ধারণ করে।
গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া কম্যুনিকেশন বিভাগের শিক্ষক তালিকা
সুতরাং ২০১৭ সালেবিভ্রান্তিকর শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি ২০২২ সালেও বিকৃতভাবে নতুন করে ভাইরাল হয়েছে। প্রতিবেদনগুলোতে উল্লেখিত ডিপার্টমেন্টটির নাম পরিবর্তন হয়ে অনেক আগে নতুন নামকরণ হয়েছে এবং ডিপার্টমেন্ট চেয়ারম্যান পরিবর্তন হয়ে নতুন চেয়ারম্যান এসেছে। অভিনেত্রী পূর্ণিমা ২০২২ সালে নয়২০১৭ সালে তৎকালীন চেয়ারম্যান প্রফেসর আফজাল খানের আমন্ত্রণে অতিথি হিসেবে শিক্ষার্থীদের সামনে বক্তব্য রেখেছিলেন।
একাধিক অসঙ্গতিপূর্ণ বিভ্রান্তিকর সংবাদগুলোকে ফ্যাক্টওয়াচ সঙ্গত কারণে “মিথ্যা” চিহ্নিত করছে।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
|