পবিত্র ক্বাবা শরীফ নিয়ে ৭টা ভুল দাবি

Published on: September 16, 2022

‘‘আপনি কি জানেন কেন কাবার উপর দিয়ে উড়তে নিষেধ এবং মক্কায় কোন বিমানবন্দর নেই’’-এই মর্মে একটি পোস্ট ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, কমপক্ষে ৭ টা ভুল তথ্য় রয়েছে এই পোস্টে ।

গুজবের উৎস

গত কয়েক বছর ধরেই ফেসবুকে বিভিন্ন সময়ে এই পোস্ট দেখা গিয়েছে । সাম্প্রতিককালে এইটি নতুন করে ভাইরাল হয়েছে। সাম্প্রতিক কয়েকটা পোস্ট দেখুন এখানে , এখানে , এখানে , এখানে , এখানে , এখানে

কি বলছে এসব পোস্টে ?

গত ১৩ই সেপ্টেম্বর এমনই এক পোস্টে চিত্রনায়ক ওমর সানি লেখেন,

আপনি কি জানেন কেন কাবার উপর দিয়ে উড়তে নিষেধ এবং মক্কায় কোন বিমানবন্দর নেই

 তথ্য আপনাকে চমকে দেবে

 এই তথ্যই অনেক মানুষকে ইসলামে নিয়ে এসেছে

 সূত্র: সাফা

 কাবা হল পৃথিবীর কেন্দ্র

 এটি কোনো বিচ্যুতি বা বিকৃতি ছাড়াই পৃথিবীর মাঝখানে অবস্থিত

 এবং কারণ এটি মাধ্যাকর্ষণ কেন্দ্র, এটি স্বাভাবিকভাবেই এই স্থানে চৌম্বকীয় চার্জ আকর্ষণ করে

 এটি সূর্যোদয়কে স্বাগত জানানোর প্রথম পয়েন্ট

 এই কারণে এবং সত্য যে কাবা পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ কেন্দ্র, পৃথিবীর পৃষ্ঠে মহাকর্ষের মহাজাগতিক রশ্মির আকর্ষণ এবং সঙ্গমের কেন্দ্রস্থল, বাতাসের স্তরগুলির মধ্যে অকার্যকর অঞ্চল।

 তাই কাবাঘরের উপর দিয়ে উড়ে যাওয়া সম্ভব নয় পাখি বা এমনকি বিমান দ্বারা, কারণ এটি একটি চৌম্বকীয় আকর্ষণ কেন্দ্র।

 এটি প্রকৃতপক্ষে বিজ্ঞান দ্বারা নিশ্চিত করা হয়েছে যে চৌম্বকীয় আকর্ষণের কারণে বিমান এবং পাখি কাবার উপর দিয়ে উড়তে পারে না।

 আর এ কারণে সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে কোনো বিমানবন্দর নেই

 এটি আরও ব্যাখ্যা করে যে কেন কাবার চারপাশে প্রচুর সংখ্যক পাখি থাকা সত্ত্বেও তারা কেবল কাবার চারপাশে উড়ে বেড়ায় না!

 সকল প্রশংসার মালিক আল্লাহ.  সকল প্রশংসার মালিক আল্লাহ

 আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ

 উল্লেখ্য, কাবা হল পৃথিবীর আলো

 কাবা থেকে আসা আলো মহাকাশ অতিক্রম করে এবং আকাশের মধ্য দিয়ে আসমানে আল্লাহর ঘরের আলোতে (অর্থাৎ বায়তিল মামুর) যা পৃথিবীতে আল্লাহর ঘরের (অর্থাৎ পৃথিবীতে কাবা) লম্ব।  # আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ

 যেমন আল্লাহ কুরআনকে কিতাবের মধ্যে, কাবাকে মসজিদের মধ্যে, নবীকে মানুষের মধ্যে, জমজমকে পানির মধ্যে, পৃথিবীকে গ্রহের মধ্যে বরকতময় করেছেন।

 আল্লাহ আপনাকে একইভাবে বরকত দান করুন এবং আপনি যা চান তার সুবিধা দিন।

ফ্যাক্টওয়াচ অনুসন্ধান

এসব পোস্টে দাবির মূল উৎস হিসেবে ‘সাফা’ নামটা ব্যবহার করা হয়েছে। এই সাফা হল প্যালেস্টাইনিয়ান প্রেস এজেন্সি । তারাই গুজবের মূল উৎস কিনা, সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বাংলা পোস্টগুলোয় দেখা যাচ্ছে, এসব পোস্টে মূল দাবি ৭ টা।

১। ক্বাবা হল পৃথিবীর কেন্দ্র, এটি কোনো বিচ্যুতি বা বিকৃতি ছাড়াই পৃথিবীর মাঝখানে অবস্থিত.

২। যেহেতু এটি মাধ্যাকর্ষণ কেন্দ্র, এটি স্বাভাবিকভাবেই এই স্থানে চৌম্বকীয় চার্জ আকর্ষণ করে

৩। এটি সূর্যোদয়কে স্বাগত জানানোর প্রথম পয়েন্ট

৪। ক্বাবা পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ কেন্দ্র, পৃথিবীর পৃষ্ঠে মহাকর্ষের মহাজাগতিক রশ্মির আকর্ষণ এবং সঙ্গমের কেন্দ্রস্থল, বাতাসের স্তরগুলির মধ্যে অকার্যকর অঞ্চল।

৫। ক্বাবাঘরের উপর দিয়ে উড়ে যাওয়া সম্ভব নয় পাখি বা এমনকি বিমান দ্বারা, কারণ এটি একটি চৌম্বকীয় আকর্ষণ কেন্দ্র।

৬। এ কারণে ( অর্থাৎ চৌম্বকীয় আকর্ষণ এর কারণে) সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে কোনো বিমানবন্দর নেই

৭। ক্বাবার চারপাশে প্রচুর পাখি থাকা সত্ত্বেও তারা কেবল কাবার চারপাশে উড়ে বেড়ায় না!

এবার একে একে এই দাবিগুলোর সত্যতা যাচাই করা যাক।


১। ক্বাবা কি পৃথিবীর কেন্দ্র ?

পৃথিবী একটি প্রায় সুষম গোলক। কাজেই এর কেন্দ্র থাকবে মাটির গভীরে, ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬৪০০ কিলোমিটার গভীরে।

মক্কা শহর ,কিংবা ক্বাবা হল পৃথিবীর পরিধি (circumference) এর উপর অবস্থিত একটি বিন্দু। যেহেতু এটা পরিধির উপর অবস্থিত, তাই একে কেন্দ্র বলা যায় না কোনো ভাবে।

পৃথিবীকে যদি সমতল হিসেবে চিন্তা করা যেত ,তাহলে সেই সমতল পৃথিবীর একটি কেন্দ্র থাকত পরিধির উপরে। যেমন, লাইভ সায়েন্সে প্রকাশিত সম্ভাব্য সমতল পৃথিবীর এই ম্যাপে উত্তর মেরুবিন্দুকে সমতল পৃথিবীর কেন্দ্র দেখানো হয়েছে। এটিই ফ্লাট আর্থারদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় মানচিত্র।

তবে যেহেতু পৃথিবী সমতল নয়, তাই এসব মানচিত্রের কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই, এবং এসবের মাধ্যমে পৃথিবীর কেন্দ্র বের করাও সম্ভব নয়।


২। ক্বাবায় চৌম্বকীয় আকর্ষণ অনেক বেশি

একটি দন্ড-চুম্বকের উত্তর এবং দক্ষিণ প্রান্তে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ কাজ করে।

পৃথিবী একটি দন্ড-চুম্বকের ন্যায় আচরণ করে। এর আকর্ষণ বলও উত্তর এবং দক্ষিণ মেরুতে একটু বেশি। তবে সেটি এত বেশি নয় যে কোনো উড়োজাহাজের উড়াউড়ি থামিয়ে দিবে।



৩। ক্বাবা সূর্যোদয়কে স্বাগত জানানোর প্রথম পয়েন্ট

আন্তর্জাতিক তারিখ রেখার বাম পাশের কোনো বিন্দু থেকে সূর্যকে দেখা গেলেই দিনের জন্য ওটাকে প্রথম সূর্যোদয় ধরা হয়। আন্তর্জাতিক তারিখ রেখাটা স্থলভূমি এড়িয়ে প্রশান্ত মহাসাগরের জলসীমায় স্থাপন করা হয়েছে। স্থলভাগ এড়ানোর জন্য কিছু কিছু জায়গায় এই তারিখ রেখাটি বাঁকানোও হয়েছে।

সূর্যের অবস্থান এর উপর নির্ভর করে বছরের বিভিন্ন সময়ে প্রথম সূর্যোদয় একেক স্থানে হয়।  ১লা জানুয়ারি , অর্থাৎ বছরের প্রথম সূর্যোদয় টা হয় নিউজিল্যান্ডের ইস্ট কেপ এ। শীতকালে, সূর্য যখন দক্ষিণ গোলার্ধে থাকে তখন নিউজিল্যান্ডে নিয়মতভাবেই প্রথম সূর্যোদয় ঘটে।

উত্তর গোলার্ধের গ্রীষ্মকালে, সূর্য যখন উত্তর গোলার্ধে অবস্থান করে, তখন রাশিয়ার কামস্কাটকায় প্রথম সূর্যোদয় ঘটে।

এছাড়া বছরের মাঝামাঝি সময় প্রথম সূর্যোদয় ঘটে প্রশান্ত মহাসাগরের কিরিবাতি দ্বীপে

স্থলবেষ্টিত মক্কা বা ক্বাবায় কোনো অবস্থাতেই প্রথম সূর্যোদয় ঘটে না।


৪।
ক্বাবা পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ কেন্দ্র, পৃথিবীর পৃষ্ঠে মহাকর্ষের মহাজাগতিক রশ্মির আকর্ষণ এবং সঙ্গমের কেন্দ্রস্থল, বাতাসের স্তরগুলির মধ্যে অকার্যকর অঞ্চল

পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ কেন্দ্র হল পৃথিবীর ভৌগোলিক কেন্দ্র , যা মাটির ৬৪০০ কিলোমিটার গভীরে অবস্থিত।

দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে দেখানো হয়েছে পৃথিবীর দুই মেরুতে চৌম্বক মেরুর আকর্ষণ বল বেশি। এই আকর্ষণ বলের কারণে সূর্য থেকে আসা চার্জিত কণাগুলো দুই মেরুতে জমা হয়।  যখন সূর্যের চার্জিত কণাগুলো আমাদের পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের অণু-পরমাণুকে আঘাত করে তখন সেই চার্জিত কণাগুলো বায়ুমন্ডলের অণু-পরমাণুগুলোকে আন্দোলিত করে এবং উজ্জ্বল করে তোলে। এসময় আকশ বিচিত্র রঙে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। এই ঘটনাকে মেরুজ্যোতি বা মেরুপ্রভা বা অরোরা বলে।

উত্তর এবং দক্ষিণ মেরু সংলগ্ন এলাকা থেকে এই অরোরা দেখা যায়। মক্কা যেহেতু নিরক্ষীয় অঞ্চলে অবস্থিত, তাই সেখান থেকে অরোরা দেখা যায়না। তাই মক্কাকে ‘’পৃথিবীর পৃষ্ঠে মহাকর্ষের মহাজাগতিক রশ্মির আকর্ষণ এবং সঙ্গমের কেন্দ্রস্থল’’ বলা যায়না।

বাতাসের স্তর বলতে ঠিক কি বোঝানো হয়েছে, সেটা পরিষ্কার নয়। ভূ-পৃষ্ঠের উপরে প্রায় ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বায়মন্ডল রয়েছে। এই বায়ুমন্ডল বিভিন্ন ধাপে (তাপমন্ডল ,মেসোমন্ডল, আয়নমন্ডল ইত্যাদি) বিভক্ত। এদেরকে Layers of Atmosphere  (বাংলায় –বায়ুমন্ডলের স্তর)  বলে ।

মক্কা বরাবর এদের মধ্যে কোনো অকার্যকর অঞ্চল নেই।

তবে পৃথিবী পৃষ্ঠের উত্তর-দক্ষিণ দিক বরাবর বিভিন্ন স্থানে বাতাসের চাপ ভৌগোলিক কারণে বিভিন্ন হয় এবং নির্দিষ্ট এলাকায় এই চাপ একই রকম থাকে। এই এলাকাগুলোকে বায়ুচাপ-বলয় (Pressure Zone) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

মক্কা শহরের অবস্থান ২১ ডিগ্রি অক্ষাংশে । এখানে ভৌগোলিকভাবে কোনো উচ্চচাপ বলয় বা নিম্নচাপ বলয় নাই। মক্কার উত্তরে রয়েছে কর্কটীয় উচ্চচাপ বলয় (২৫ থেকে ৩৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ) এবং মক্কার দক্ষিণে আছে নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয় ( ১০ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ থেকে ১০ ডিগ্রি দক্ষিণ অক্ষাংশ)। অর্থাৎ, মক্কা কোনো চাপবলয়ের অন্তর্ভুক্ত  না হলেও এর উপর দিয়ে উত্তর পূর্ব অয়ন বায়ু প্রবাহিত হয়।

৫। ক্বাবাঘরের উপর দিয়ে উড়ে যাওয়া সম্ভব নয় পাখি বা এমনকি বিমান দ্বারা, কারণ এটি একটি চৌম্বকীয় আকর্ষণ কেন্দ্র

পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি যেখানে চৌম্বকীয় আকর্ষণ, সেই মেরু অঞ্চলেও বিভিন্ন সামরিক বা বেসামরিক বিমান চলাচল করতে দেখা যায়। যেমন –এখানে , এখানে

সেখানে, মক্কা কোনো বিশেষ চৌম্বকীয় আকর্ষণ কেন্দ্রই নয়। তাই তার উপর দিয়ে বিমান ওড়ার জন্য কোনো কারিগরি সমস্যা নেই।

এছাড়া সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ মক্কা নগরীকে একটি “নো ফ্লাই জোন” ঘোষণা করেছিল। যার ফলে কোনো বাণিজ্যিক বিমান এই শহরের উপর দিয়ে ওড়ে না। তবে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার উড়তে দেখা যায় মক্কার আকাশে (যেমন –২০০৬ এর হজ্বে )

এছাড়া হজ্ব এবং রমজানে নিয়মিতভাবে সিকিউরিটি হেলিকপ্টার টহল দিতে দেখা যায় মক্কার আকাশে।

এছাড়া সাংবাদিকরা ড্রোন উড়িয়েও মক্কা বা ক্বাবা শরীফের ঠিক উপরের ছবি তুলতে পারেন। চৌম্বকীয় আকর্ষণ বা অন্য কোনো কারণে তাদের ড্রোন-এ সমস্যা হয় না । যেমন দেখুন এখানে , এখানে , এখানে

৬। চৌম্বকীয় আকর্ষণ এর কারণে সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে কোনো বিমানবন্দর নেই

মক্কা শহরের মাত্র ৯০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে জেদ্দা বিমানবন্দর। হজ্বযাত্রীসহ সকল পর্যটক এই জেদ্দা বিমানবন্দরই ব্যবহার করেন।

কারিগরি কোনো সমস্যার কারণে মক্কায় বিমানবন্দর নিষিদ্ধ নয়, বরং রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের কারণেই এখানে কোনো বিমানবন্দর গড়ে ওঠেনি।

এছাড়া মক্কাতে যদি বিশেষ কোনো চৌম্বকীয় আকর্ষণ বল থাকত, তাহলে স্থলে চলাচল করা গাড়িও আটকে যাওয়ার কথা। আকাশচারী পাখি শুধু নয়, স্থলচর পশুদের ও সমস্যা হওয়ার কথা। সেগুলো যেহেতু ঠিকমত চলাচল করতে পারে, তাহলে বিমান এবং পাখি চলাচলেও কোনো সমস্যা হবে না।

৭। ক্বাবার চারপাশে প্রচুর সংখ্যক পাখি থাকা সত্ত্বেও তারা কেবল কাবার চারপাশে উড়ে বেড়ায় না!

ক্বাবার আশেপাশে এমন কোনো দেয়াল বা প্রতিবন্ধক নেই, যা পাখিকে উড়তে বাধা দিতে পারে। এমনকি, সীমান্ত সমস্যার কারণে যেখানে বিমান সহজে সীমানা পেরিয়ে অন্য দেশে সহজে ঢুকতে পারে না, সেখানেও পাখি স্বচ্ছন্দে চলে যেতে পারে।

এছাড়া, বিমান এর মত পাখির শরীর লোহার তৈরি নয়। তাই কোনো চৌম্বকীয় বল তাদেরকে টেনে রাখতে পারবে না।

ইউটিউবে প্রচুর ভিডিও দেখা যায় ,যেখানে ক্বাবার চারপাশে পাখিরা উড়ে বেড়াচ্ছে। এমনকি কোনো কোনো মুহুর্তে পাখির ঝাঁককে ক্বাবা ঘরের একেবারে সোজা উপরেও দেখা গিয়েছে।  যেমন দেখুন এখানে , এখানে , এখানে

এমনকি ক্বাবা ঘরের উপরে কবুতর বসা অবস্থায় ধরে পড়েছে সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ।

অর্থাৎ, আলোচ্য ৭ টি দাবির মধ্যে প্রতিটি দাবিই মিথ্যা প্রমাণিত হল।

অন্যান্য ফ্যাক্ট চেকারদের অনুসন্ধান

এই গুজবটি ইংরেজি, আরবি সহ বিভিন্ন ভাষায় ছড়িয়ে পড়েছিল। অন্যান্য দেশেও একাধিক ফ্যাক্ট চেকিং সংস্থা এই গুজবটি অনুসন্ধান করেছে এবং সবাই একে মিথ্যা হিসেবে সনাক্ত করেছে।

এ এফ পি ফ্যাক্ট চেক এর এই প্রতিবেদনে Institute of Physics of the Globe of Paris (IPGP) এর বিজ্ঞানী Vincent Lesur বলেছেন, মক্কায় বিশেষ কোনো চৌম্বকীয় আকর্ষণ কেন্দ্র নাই। যদি কোনো শক্তিশালী চুম্বকীয় আকর্ষণ থেকেও থাকে, সেটা প্লেন উড়তে কোনো বাধা দিতে পারবে না। এই আকর্শণের ফলে সর্বোচ্চ কোনো বিমানের কম্পাস অচল হয়ে যেতে পারে, কিন্তু এর চেয়েও অনেক আধুনিক যন্ত্রপাতি বর্তমানে বিমানে ব্যবহৃত হয়।

একইভাবে ভারতভিত্তিক ফ্যাক্টচেকিং সাইট  Factly এবং বাংলাদেশের Rumor scanner  ও এই গুজবের কোনো সত্যতা খুজে পায়নি।

uaemoments , thenakedscientists  সহ আরো বেশ কিছু সংস্থা এই গুজবকে যাচাই করেছে ।

সার্বিক বিবেচনায় ফ্যাক্টওয়াচও বাংলা ভাষায় ছড়িয়ে পড়া ক্বাবা সংক্রান্ত এই গুজবকে ‘মিথ্যা’ সাব্যস্ত করছে।

 

আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন?
নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?

এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান।
আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh