Published on: April 30, 2023
![]() |
ফেসবুকে ভাইরাল এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এবং এখানে।
ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান:
গুড ফ্রাইডে শান্তি চুক্তির ২৫তম বার্ষিকীতে যোগ দিতে গত ১১ এপ্রিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়ারল্যান্ড সফর করেন। বেলফাস্ট বিমানবন্দরে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বাইডেনকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য উপস্থিত ছিলেন। অনেক সংবাদমাধ্যম বাইডেনের বেলফাস্টে অবতরণের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভিডিও ধারণ করে প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যায় যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সাথে বিধিমোতাবেক কথোপকথন এবং করমর্দন করছেন।
কিন্তু, ভাইরাল পোস্টের ক্যাপশনে দাবি করা হচ্ছে বাইডেন ঋষি সুনাককে চিনতে না পেরে সরিয়ে দিয়েছেন। ক্যাপশনের সাথে যুক্ত ভিডিওতেও দেখা যাচ্ছে যে, বাইডেন ঋষি সুনাককে সরিয়ে দিয়ে অন্য এক সামরিক ব্যাক্তিকে স্যালুট দিয়েছেন। তাই এই ভিডিওটির উৎস খুঁজে পাওয়ার জন্য ইউটিউবে প্রাসঙ্গিক কিছু কী-ওয়ার্ড ধরে অনুসন্ধান করা হয়। অনুসন্ধানে The Sun এর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে গত ১২ এপ্রিল প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটির ১৭ সেকেন্ড থেকে ২১ সেকেন্ড পর্যন্ত অংশে বাইডেনকে ঋষি সুনাকের হাত ধরে রেখে প্রাথমিক কথোপকথন করতে দেখা যায়। ২১ সেকেন্ড থেকে বাইডেন ঋষি সুনাকের থেকে হাত সরিয়ে নিয়ে অন্য এক সামরিক ব্যাক্তিকে স্যালুট করেন। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি মূলত এই অংশ থেকেই শুরু হয়েছে। এরপর ভিডিওর ৪১ সেকেন্ডের সময় এবং এর পরেও এই দুই নেতাকে কথোপকথন করতে দেখা যায়।
এছাড়াও অন্যান্য অনেকগুলো সংবাদমাধ্যমে বাইডেনের বেলফাস্ট বিমানবন্দরে অবতরণের ভিডিও প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। তাতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, জো বাইডেনের ঋষি সুনাককে চিনতে না পারা বা উপেক্ষা করার মত কোনো ঘটনা বাস্তবে ঘটেনি। এমন কিছু ভিডিও দেখুন এখানে এবং এখানে।
তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান AFP Fact Chek এর একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি অ্যান্ড্রু বেটস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার হওয়া ফুটেজটি অসাধুভাবে ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য গত ১৪ মার্চ সান দিয়েগোতে ঋষি সুনাক অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এবং জো বাইডেনের সাথে AUKUS Partnership এর উপর যৌথ বিবৃতি দিয়েছিলেন। এই দুই নেতাদের পূর্বেও দেখা হয়েছিল এবং দুজনেই বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর দুইটি দেশের প্রধান। সুতরাং, বাইডেনের ঋষি সুনাককে চিনতে না পারা নিতান্তই অবাস্তব এবং অবান্তর দাবি।
সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ ভিত্তিহীন এই দাবিকে মিথ্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
|