সাই পল্লবীর ইসলাম গ্রহণ করার দাবিটি মিথ্যা

Published on: January 6, 2022

সম্প্রতি ‘নিজ ধর্ম পরিবর্তন করে মুসলমান হয়েছেন সাই পল্লবী’ এমন দাবি করে একটি খবরের স্ক্রিনশটসহ কিছু ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হতে দেখা যায়। সেখানে একটি সাই পল্লবীর বোরকা-পরা একটি ছবিও রয়েছে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, কিছুদিন আগে সাই পল্লবী নিজের একটি সিনেমা দেখতে বোরকা পরে থিয়েটারে গিয়েছিলেন। ছবিটি সেইদিন তোলা হয়েছে। এর সাথে তার ধর্ম পরিবর্তনের কোনো সম্পর্ক নেই। এছাড়া তার মুসলমান হওয়ার কোনো তথ্য মূলধারার গণমাধ্যম কিংবা অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই ফ্যাক্টওয়াচ এমন পোস্টগুলোকে “মিথ্যা” চিহ্নিত করছে।

এমন কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে


উক্ত স্ক্রিনশটগুলোতে দেখা যায়, “DAILYBDLIVE24.COM” নামের একটি ওয়েব পোর্টালের নাম দেখা যায়। পরবর্তীতে লিংকটি খুঁজে পাওয়া গেলেও সেখানে কোনো খবর দেখতে পাওয়া যায়নি। এই স্ক্রিনশটগুলোতে দাবি করা হয়, সিনেমা জগৎ থেকে বিদায় নিয়েছেন সাই পল্লবী এবং নিজ ধর্ম পরিবর্তন করে মুসলমান হয়েছেন তিনি।

 

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান

ভাইরাল ছবিগুলো দিয়ে গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হলে, টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন সামনে আসে। “Shyam Singha Roy’ actress pays surprise visit in burqa to a movie theatre in Hyderabad” শিরোনামে প্রকাশিত এই খবরে সাই পল্লবীর বোরকা পরা ওই ছবিটি দেখতে পাওয়া যায়।

‘শ্যাম সিংহ রায়’ নামক সাই পল্লবীর একটি সিনেমার প্রদর্শনীতে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া দেখতেই গত ২৯ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে বোরকা পরে থিয়েটারে গিয়েছিলেন তিনি। এর সাথে তার ধর্ম পরিবর্তনের কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে, প্রাসঙ্গিক কিছু কি-ওয়ার্ডের মাধ্যমে অনুসন্ধান করা হলেও, অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সংবাদমাধ্যম থেকে সাই পল্লবীর ধর্ম পরিবর্তনের কোনো খবর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়া ভাইরাল ছবিগুলোতে উল্লেখিত ওয়েবপোর্টালের লিংক না পাওয়ায় বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

‘স্টারস আনফোল্ডেড’ সহ বেশ কিছু ওয়েবসাইট থেকে জানা যায় সাই পল্লবী হিন্দু ধর্মের অনুসারী। যদিও এই বিষয়ে তার অফিসিয়াল কোনো মাধ্যম থেকে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এছাড়াও সাই পল্লবী সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে

অতএব, বুঝাই যাচ্ছে সাই পল্লবীর বোরকা পরে সিনেমা হলে যাওয়ার ছবিটিকে তার ধর্ম পরিবর্তনের স্মারক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। মূলত এমন কোনো ঘটনার প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই ফাক্টওয়াচ এমন দাবিকে “বিভ্রান্তিকর” চিহ্নিত করছে।

আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন?
নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?

এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান।
আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

Leave a Reply