Published on: March 25, 2023
![]() |
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
ফেসবুকে ভাইরাল দাবিটির বিস্তারিত জানতে গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চের সাহায্য নেওয়া হয়। সেখানে দেখা যায়, ২০১৯ সাল থেকে ছবিটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার হয়েছে। ছবির এই প্রবীণ ব্যক্তি, যাকে অত্যন্ত দুর্বল দেখাচ্ছে সে তুরকানা কাউন্টিতে খরার সময় খাদ্য সহায়তা পেয়েছিলেন এবং বিবিসির সংবাদদাতা রনক্লিফ ওডিট তার সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। এ বিষয়ে আরও তথ্য পেতে বিভিন্ন কিওয়ার্ডের মাধ্যমে সন্ধান করে France Observer 24 থেকে প্রকাশিত একটি ফ্যাক্টচেকিং প্রতিবেদন পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য যে, ২০১৯ সালে সামাজিক মাধ্যমে হুবহু এই ছবিটি প্রকাশ করে একই দাবি করা হয়, অর্থাৎ ছবির ব্যক্তিটিকে সুদানের সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে প্রচার করা হয়। সে সময়ে France Observer 24 বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধানে নামে। মূলত তাঁরা এই ছবিটির ফটোগ্রাফার রনক্লিফ অডিটকে তাঁকে সামনে নিয়ে আসে। পেশায় যিনি বিবিসির সাংবাদিক। সে সময়ে তিনি France Observer 24 কে একটি সাক্ষাৎকার দেন। সাক্ষাৎকারটির বাংলা অনুবাদ দেখুন নিচে-
“আমি যখন তার সাথে দেখা করি, সে চার দিন ধরে কিছুই গিলেনি। শেষবার যখন আমি তার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তাকে অবশেষে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তিনি এখনও বেঁচে আছেন কিনা জানি না।”
প্রসঙ্গত, এ বিষয়ে ১৯ মার্চ ২০১৯ তারিখে টুইটারে তিনি একটি টুইট করেন। টুইটটি দেখুন এখানে।
অর্থাৎ, কেনিয়ায় দূর্ভিক্ষের সময় বিবিসি সাংবাদিক এই ছবিগুলো তোলেন। সুতরাং ছবির ব্যক্তিটি যে কেনিয়ার নাগরিক এ বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে। এছাড়া ছবির এই ব্যক্তি ২৪ বছর ধরে কারাগারে বন্দী এ দাবির কোনো ভিত্তি নেই। যে কারণে ছবির এই ব্যক্তিকে সুদানের সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলারও সুযোগ নেই।
তবে সুদানের সাবেক উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর ক্ষেত্রে কি ঘটেছিল তা অনুসন্ধান করে জেনে নেওয়া হয়েছে।
United press International (UPI) তাদের একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে,
দক্ষিণ সুদানে বুধবার একটি বিমান দুর্ঘটনায় সুদানের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং দেশটির সামরিক নেতৃত্বের 14 জনেরও বেশি সদস্য নিহত হয়েছেন। উল্লেখ্য, তৎকালীনে বা ২০০১ তারিখে কর্নেল শামসেদ্দীন উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার তথ্যমতে সুদানের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী কর্নেল ইব্রাহিম শামসেদ্দীন সেদিন একাধিক সামরিক অফিসার সহ নিহত হয়েছিলেন। অর্থাৎ এ বিষয়টিও পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে যে, কর্নেল ইব্রাহিম শামসেদ্দীন ২৪ বছর ধরে গোপন কারাগারে বন্দী আছেন এ দাবিটিও ভিত্তিহীন।
সুতরাং ভাইরাল ভিডিওগুলোর কোনো দাবিরই সত্যতা নেই। যে কারণে এমন দাবিগুলোকে ফ্যাক্টওয়াচ “মিথ্যা” সাব্যস্ত করেছে।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
|