মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরু মুক্তির পর গণধোলাই সংক্রান্ত ভুয়া দাবি

Published on: February 27, 2024

যা দাবি করা হচ্ছে: ফেসবুকে ভাইরাল এই ভিডিওতে দাবি করা হচ্ছে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমীর খসরু মাহমুদকে মুক্তির পরেই গণধোলাই দেয়া হয়েছে।

ফ্যাক্টওয়াচের সিদ্ধান্ত: দাবিটি মিথ্যা। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমীর খসরু মাহমুদ এর মুক্তির পর এমন কোনো ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যায় নি। এরকম কোন তথ্য বা খবর বিএনপির ফেসবুক পেইজ কিংবা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে খুঁজে পাওয়া যায় নি। এছাড়া ভাইরাল ভিডিওতে ব্যবহৃত ফুটেজগুলো পুরনো বিভিন্ন সংবাদ থেকে নেয়া হয়েছে।

গুজবের উৎস:

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এমন কিছু ভিডিও দেখুন এখানে এবং এখানে

 

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান:

ফেসবুকে ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, সময় টিভি ও যমুনা টিভির খবরের ফুটেজ ব্যাবহার করে বলা হচ্ছে, “বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমীর খসরু মাহমুদ মুক্তির পর যখন নেতাকর্মীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করছেন এবং বিএনপির কার্যালয়ে যাওয়ার পথে তাদের গাড়িতে হামলা করা হয়েছে এবং হামলার পরে তাদের রক্তাক্ত করা হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে অনুসন্ধান করার জন্য প্রথমে নির্দিষ্ট কিছু কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করে গুগলে অনুসন্ধান করা হয়। অনুসন্ধানে, জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক মূলধারার গণমাধ্যমে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমীর খসরু মাহমুদ মুক্তির পর তাদের উপর হামলার সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যায় নি। কিন্তু তাদের জামিনে মুক্তির বিষয়ে প্রথম আলো, সমকালদ্যা ডেইলি স্টারের ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ এ প্রকাশিত একাধিক প্রতিবেদন পাওয়া যাচ্ছে।

তাছাড়া ভাইরাল ভিডিও তে ব্যবহৃত সময় টিভি ও যমুনা টিভির ফুটেজ অনুসন্ধান করার জন্য কিছু কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করা হলে সময় টিভিযমুনা টিভির মূল প্রতিবেদন দুটি খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদন দুটি যথাক্রমে ৬ বছর ও ১ বছর পুরনো। সময় টিভির মুল প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, চট্টগ্রাম থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির একটি দল রাঙ্গামাটি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের জন্য রওনা হয়, তখন এক দল লোক তাদের গাড়িতে লাঠি সোটা নিয়ে হামলা চালায়। অন্যদিকে, এক বছর আগে প্রকাশিত যমুনা টিভির প্রতিবেদনটি ছিলো সেসময় বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ঘিরে কয়েক জেলায় পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ নিয়ে।

দুটি প্রতিবেদনে চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জে, সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও নেত্রকোণার কথা বলা হলেও তারা মুক্তি পান কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে। গুগলে ম্যাপে অনুসন্ধান করে দেখা যায় কেন্দ্রীয় কারাগার ঢাকার কেরানীগঞ্জে অবস্থিত।

সুতরাং, সকল দিক বিবেচনা করে ফ্যাক্টওয়াচ ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিকে “মিথ্যা” হিসেবে চিহ্নিত করছে।

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh