“ইউক্রেনের সেনা কর্তৃক বসনিয়ার মুসলমান হত্যা” শিরোনামে ভাইরাল ভিডিওটি চলচ্চিত্রের অংশ  

Published on: March 16, 2022

সম্প্রতি “১৯৯৯ সালে ইউক্রেনের সেনা কর্তৃক বসনিয়ার মুসলমানদের হত্যার দৃশ্য” ক্যাপশনে একটি ভিডিও ফেসবুকে প্রচুর শেয়ার হয়েছে। মূলত উক্ত ভিডিওটির ক্যাপশনটি মিথ্যা। ভিডিওটিতে দৃশ্যমান ফুটেজটি ইউক্রেনের সেনা কর্তৃক বসনিয়ার মুসলমান হত্যার নয়, বরং চেচনিয়া যুদ্ধের উপর নির্মিত “দ্য সার্চ” চলচ্চিত্রের অংশবিশেষ।  অস্কারজয়ী পরিচালক Michel Hazanavicious সিনেমাটি নির্মাণ করেন।   

ফেসবুকে বিভিন্ন পেজ এবং গ্রুপে উক্ত ক্যাপশনে শেয়ার হওয়া ভিডিওগুলো দেখুন এখানে, এখান,  এখান, এবং এখানে।  আহতাসাম নোমানী নামের একটি ফেসবুক একাউন্ট থেকে ভিডিওটি উক্ত ক্যাপশনে প্রথমে পোস্ট করা হয়। পরবর্তীতে ভিডিওটি বিভিন্ন পেজ, গ্রুপ, একাউন্ট থেকে শেয়ার হতে থাকে।

শেয়ারকৃত ভিডিও থেকে নেওয়া কিছু স্ক্রিনশট দেখুন নিচে:

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান

রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে অনুসন্ধান করে “altnews” এর একটি প্রতিবেদন খুঁজে পেয়েছে ফ্যাক্টওয়াচ টিম। উক্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে ভিডিওটি ১৯৯৯ সালে ইউক্রেনের সেনা কর্তৃক বসনিয়ার মুসলমানদের হত্যার দৃশ্য নয়। মূলত এটি “দ্য সার্চ” নামক চলচ্চিত্রের অংশ যা চেচনিয়া যুদ্ধের উপর নির্মিত হয়েছে।

উক্ত প্রতিবেদনে ১৪ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে প্রকাশিত একটি আর্টিকেলের উল্লেখ রয়েছে যা অনুবাদ করে পাওয়া যায়, “ইতিপূর্বেও এই ভিডিও ক্লিপটি নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছিল। ভাইরাল ভিডিওটিতে হত্যাকারী সৈন্যের চরিত্রে অভিনয় করা ব্যক্তির  নাম “Maksim Emelyanov” যিনি একজন রাশিয়ান অভিনেতা। এই ভিডিও ক্লিপটি ভাইরাল হবার পর তিনি জীবনাশঙ্কায় আত্মগোপনে যেতে বাধ্য হন। কেননা প্রতিনিয়ত তিনি বিভিন্ন হুমকির সম্মুখীন হচ্ছিলেন। পরবর্তীতে আর্টিক্যাল লিখে প্রমাণ করতে হয়েছে এটি একটি সিনেমার দৃশ্য। আগামী প্রজন্মের কাছে যুদ্ধের ভয়াবহতা তুলে ধরতেই মুভিটি নির্মাণ করা হয়েছিল। উক্ত প্রমাণাদি সাপেক্ষে পরবর্তীতে এই অভিনেতার ওপর হুমকি বন্ধ হয়”।

রাশিয়ান ভাষায় প্রকাশিত উক্ত লেখাটির ইংরেজি অনুবাদ পড়ুন নিচে:

কী-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে দেখা যায়, তুর্কি তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান teyit ভাইরাল ভিডিওটি নিয়ে ইতিমধ্যে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।  প্রতিবেদনটি সূত্রে জানা যায়, “ভাইরাল ভিডিও   ফুটেজটি “দ্য সার্চ” চলচ্চিত্রের একটি অংশ। ২৯ মার্চ ২০২১ তারিখে মুভিটি ইউটিউবে  প্রকাশিত হয়। ভিডিওটি দেখুন এখানে

ভুল ক্যাপশনে ভাইরাল এই ভিডিওটিকে সঙ্গত কারণেই ফ্যাক্টওয়াচ “মিথ্যা” হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

 

আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন?
নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?

এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান।
আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

Leave a Reply