Published on: September 19, 2023
![]() |
এমন কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এবং এখানে।
ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান:
সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত পোস্টটির সাথে সংযুক্ত ছবিতে বিয়ের পোশাক পরিহিত যে নারীকে দেখা যাচ্ছে তার পরিচয় জানতে উক্ত ছবিটি নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে কাঙ্খিত ফলাফল পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে প্রাসঙ্গিক কিছু কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করে গুগল সার্চ এর মাধ্যমে ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা রিউমার স্ক্যানার এর একটি প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। উক্ত প্রতিবেদনটি পড়ে দেখা গেছে যে, এডিসি হারুন এবং তার পাশে দাঁড়ানো একজন নারীর ছবিটি ১০ জুলাই ২০২০ এ একাধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট (১ ২ ৩) থেকে শেয়ার করা হয়েছিলো। রিউমার স্ক্যানার ঐ ফেসবুক অ্যাকাউন্টগুলোর মাঝ থেকে এডিসি হারুনের ছোট ভাই শরিফুল ইসলামের অ্যাকাউন্টটি চিহ্নিত করে এবং তার সাথে যোগাযোগ করতে সমর্থ হয়। শরিফুল ইসলাম রিউমার স্ক্যানারকে জানায়, তিনি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ জুলাই ২০২০ এ “ভাই ও ভাবী। অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশীদ ও ডাক্তার ফারিয়া তাসনিম। তোমাদের নতুন জীবনে শুরুতে রইল অভিনন্দন ও শুভ কামনা।” – শীর্ষক ক্যাপশন সংবলিত একটি ছবি শেয়ার করেছিলেন।
তাছাড়া, গত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ এ আজকের পত্রিকায় ‘এডিসি হারুনের সঙ্গে সানজিদার বিয়ে হয়নি, তাই ছাড়াছাড়িরও প্রশ্ন নেই’ – শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি সংবাদে এডিসি সানজিদা আফরিনের বড় বোন হোসনে আরা কামনা জানান, এডিসি হারুনের সঙ্গে এডিসি সানজিদার বিয়ে হয়নি। তাই, ছাড়াছাড়ির প্রশ্নও নেই। তিনি আরও জানান, সামাজিক মাধ্যমে তার বোনের নামে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে এবং এতে তার পরিবার বিব্রতবোধ করছেন।
উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ এ রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নির্যাতনের অভিযোগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার হারুন-অর-রশীদকে চাকুরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয় এবং পরবর্তীতে তাকে রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি এর কার্যালয়ে বদলি করা হয়। এডিসি হারুনকে রংপুরে বদলি করার পাশাপাশি এডিসি সানজিদাকেও রংপুরে বদলি করা হয়েছে – এই দাবিটিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিলো, যা ফ্যাক্টওয়াচ মিথ্যা বলে রায় দিয়েছিলো।
অতএব, এই বিষয়টি স্পষ্ট যে, সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত পোস্টের সাথে সংযুক্ত ছবিটি এডিসি হারুন-অর-রশীদ এবং তার স্ত্রী ডাক্তার ফারিয়া তাসনিম এর।
সুতরাং, সবকিছু বিবেচনা করে ফ্যাক্টওয়াচ সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত পোস্টটিকে “বিভ্রান্তিকর” সাব্যস্ত করছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
|