Published on: February 25, 2024
সম্প্রতি ফেসবুকে তাঁবুর ভেতর কাদামাটিতে দুজন ঘুমন্ত শিশুর ছবি ভাইরাল হয়েছে যেখানে দাবি করা হচ্ছে ছবিটি ফিলিস্তিনের শিশুদের ছবি। কিন্তু জার্মানিভিত্তিক ডয়চে ভেল তাদের অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদনে নিরীক্ষা করে ছবিটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি বলে নিশ্চিত করেছে। এছাড়াও একাধিক কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা কনটেন্ট শনাক্তকারী ওয়েবসাইট এ ছবিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি বলছে। সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ এ পোস্টকে “বিভ্রান্তিকর” আখ্যা দিচ্ছে। |
বিভ্রান্তির উৎস
এ বছর জানুয়ারি মাসের শেষ দিক থেকে ফেসবুকে পোস্টটি ভাইরাল হতে থাকে। কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে।
ফ্যাক্টওয়াচ অনুসন্ধান
ভাইরাল ছবিটি সম্পর্কে জানতে অনলাইনে সন্ধান করে ডয়চে ভেলের একটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন পাওয়া যায়। সেখানে ছবিটি নিরীক্ষা করে এটি কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি বলে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। তারা ছবিটি পরীক্ষা করে শিশুদের শারীরিক গঠনে অসামঞ্জস্যতা (উভয় শিশুর বাম পা অস্বাভাবিকরকম সোজা, ডানদিকের শিশুটির পায়ের দ্বিতীয় আঙ্গুল অস্বাভাবিক বড়, নিখুঁত চামড়া ইত্যাদি) খুঁজে পেয়েছে যা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার বৈশিষ্ট্যগত ভুল। এছাড়াও স্বাভাবিক আলোতে এ ছবির লাইটিং এমন আসা সম্ভব নয় বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
কয়েকটি কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা কনটেন্ট শনাক্তকারী ওয়েবসাইটে (AI or Not, Is It AI) ছবিটি যাচাই করে সিদ্ধান্ত পাওয়া যাচ্ছে যে, ছবিটি কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি।
ভাইরাল পোস্টে ছবিগুলো কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি বলে উল্লেখ না করায় ফেসবুক ব্যবহারকারীগণ একে সত্যি বলে মনে করছেন। তাই সার্বিক বিবেচনায় ফ্যাক্টওয়াচ এ পোস্টকে বিভ্রান্তিকর সাব্যস্ত করছে।
আগেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি গাজার শিশুদের আরেকটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছিলো। এ বিষয়ে ফ্যাক্টওয়াচের প্রতিবেদন দেখুন এখানে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ |