Published on: March 31, 2024
সম্প্রতি ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দাবি করা হচ্ছে, হাতে করে বোতলে ভরে তৈরি করা হচ্ছে নকল কোকাকোলা। আরো দাবি করা হচ্ছে ঘটনাটি বাংলাদেশের। তবে ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যায়, একাধিক পাকিস্তানভিত্তিক ফেসবুক পেইজ থেকে পাকিস্তানে নকল কোকাকোলা তৈরির ঘটনা হিসেবে সর্বপ্রথম ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন বাংলাদেশি পেইজ এবং গ্রুপে একে বাংলাদেশের ঘটনা বলে ছড়ানো হয়। তাই পাকিস্তানের ভিডিওকে বাংলাদেশের বলে দাবি করায় ফ্যাক্টওয়াচ এ পোস্টকে “বিভ্রান্তিকর” আখ্যা দিচ্ছে। |
গুজবের উৎস
২৮ মার্চ থেকে ফেসবুকে “CocaCola made in Bangladesh” এমন ক্যাপশনে ভিডিওটি ভাইরাল হতে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে কোকাকোলা বয়কট কর্মসূচীর প্রণোদনা এই ভাইরালিটির কারণ বলে অনুমান করা যাচ্ছে। কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে।
ফ্যাক্টওয়াচ অনুসন্ধান
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, নোংরা মেঝেতে রাখা বালতি থেকে মগে করে কালো রঙের তরল পদার্থ ফানেলে করে কোকাকোলার প্লাস্টিকের বোতলে ঢুকিয়ে নকল কোকাকোলা তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কথা অস্পষ্ট হলেও সেটি বাংলা ভাষা নয় বলে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে।
ভিডিওটির মূল উৎস সন্ধান করে পাওয়া যাচ্ছে যে, ২৭ মার্চ Karachi Update নামক একটি পাকিস্তানভিত্তিক ফেসবুক পেইজ থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছিলো। সেখানে উর্দু ক্যাপশনে এভাবে পাকিস্তানে নকল কোকাকোলা তৈরি করা হচ্ছে লেখা রয়েছে।
এছাড়াও 65 News Alert এবং Pakistan Current Affairs নামক দুটো পাকিস্তানভিত্তিক পেইজ থেকে ভিডিওটি পোস্ট করে একে পাকিস্তানের ঘটনা বলা হয়েছে।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সময় নিউজ ২৯ মার্চ তাদের ফেসবুক পেইজ থেকে “পাকিস্তানে হাত চুবিয়েই বোতলে ভরা হচ্ছে কোকাকোলা!” শিরোনামে এ ভাইরাল ভিডিওটি পোস্ট করেছে।
ইউটিউবে একাধিক পাকিস্তানি চ্যানেল থেকে একে পাঞ্জাবের ঘটনা বলে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে (দেখুন এখানে, এখানে)। তাহির ওয়াহিদ নামক একজন পাকিস্তানি ইউটিউবারকে উক্ত ভিডিও নিয়ে পাকিস্তানের নাগরিকদের জন্য একটি সচেতনতামূলক ভিডিও পোস্ট করতে দেখা যায়।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে পাকিস্তানের গুজরানওয়ালা বিভাগে নকল কোকাকোলা তৈরির একটি কারখানা এবং ২০২২ সালে লাহোরে একাধিক নকল কোমল পানীয় তৈরির কারখানা আবিষ্কৃত হয়েছিলো।
সুতরাং পাকিস্তানের নকল কোকাকোলা তৈরির ভিডিওকে বাংলাদেশের বলে দাবি করায় সার্বিক বিবেচনায় ফ্যাক্টওয়াচ এ পোস্টকে বিভ্রান্তিকর সাব্যস্ত করছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ |