সম্প্রতি এক তরুণীর মরদেহের তিনটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দাবি করা হচ্ছে, মরদেহটি মাদারীপুরের সদর উপজেলার ঘনিয়ার বিল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তরুণীটিকে ধর্ষণ করে এখানে ফেলে যাওয়া হয়। কোথাও দাবি করা হয়েছে, ঘটনাটি বরিশালের। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যায়, তরুণীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনাটি বাংলাদেশের নয়। এটি ভারতের পাঞ্জাবের ঘটনা।
ছবিগুলো সাহায্যে রিভার্স ইমেজ সার্চে ‘কাজল কুশাওয়া (Kajal Kushwaha)’ নামের একটি ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টে পাওয়া যায়। গত বুধবার (২২ জানুয়ারি) ছবিগুলো পোস্ট করা হয়। হিন্দি ভাষায় দেওয়া এই পোস্টে ছবিগুলো সম্পর্কে বলা হয়, মরদেহটি ভাখরা নামে একটি খাল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। অনুসন্ধানে ভাখরা নামে ভারতে একটি খাল পাওয়া যায়।
এ তথ্যের সূত্রে কি-ওয়ার্ড সার্চে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮-এ গত বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটিতে ব্যবহৃত তরুণীর ছবির সঙ্গে বাংলাদেশে ভাইরাল ছবিটির মিল রয়েছে।
প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, এই তরুণীর নাম নিশা। তিনি ভারতের হিমাচল প্রদেশের মান্দি জেলার বাসিন্দা ছিলেন। পাঞ্জাবের পাতিয়ালার ভাখরা খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিশার বন্ধু যুবরাজ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
হিমাচল প্রদেশের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম হিমলাইভ টিভির ওয়েবসাইটেও প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের ঘটনা দাবিতে ভাইরাল হওয়া তরুণীর ছবিটি পাওয়া যায়।
ঘটনাটি সম্পর্কে হিমলাইভ জানায়, নিশা (২২) ভারতের চন্দ্রিগড়ে বিমানবালার প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। তার সঙ্গে যুবরাজ নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের সম্পর্ক ছিল। নিশার মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় যুবরাজকে পুলিশ আটক করেছে।
এসব তথ্যের সূত্রে ফ্যাক্টওয়াচ নিশ্চিত হয় যে, নিশা নামের এই তরুণীর মৃত্যুর ঘটনাটি ভারতের, বাংলাদেশের নয়। তাই ফ্যাক্টওয়াচ ফেসবুকে প্রচারিত দাবিগুলোকে মিথ্যা হিসেবে সাব্যস্ত করছে।
Claim: সম্প্রতি এক তরুণীর মরদেহের তিনটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দাবি করা হচ্ছে, মরদেহটি মাদারীপুরের সদর উপজেলার ঘনিয়ার বিল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তরুণীটিকে ধর্ষণ করে এখানে ফেলে যাওয়া হয়। কোথাও দাবি করা হয়েছে, ঘটনাটি বরিশালের।
Claimed By: Facebook
Rating: False
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের
নীতি মেনে লেখা হয়েছে। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে।
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।
কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@fact-watch.org অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh