ময়মনসিংহে ধর্ষণের পর হত্যার দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি ভারতের

23
ময়মনসিংহে ধর্ষণের পর হত্যার দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি ভারতের
ময়মনসিংহে ধর্ষণের পর হত্যার দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি ভারতের

সম্প্রতি ময়মনসিংহে ধর্ষণের পর এক নারীকে হত্যা করা হয়েছে দাবিতে ফেসবুকে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তবে ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে জানা যাচ্ছে, ভিডিওটি বাংলাদেশের নয়। এটি ভারতের বিহার রাজ্যে চলতি বছর মার্চ মাসে এক নিখোঁজ নারীর মৃতদেহ উদ্ধারের দৃশ্য।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ভুট্টাক্ষেতে হলুদ পোশাক পরা একজন নারীর মরদেহ পড়ে রয়েছে। চারপাশ থেকে একাধিক ব্যক্তিকে এই ঘটনা মোবাইলে ভিডিও করতে দেখা যায়।

কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান

ভিডিওটি রিভার্স ইমেজ সার্চ করে “INDIA TV NEWS Bihar Jharkhand” নামক চ্যানেল থেকে ১৫ মার্চ,২০২৫ তারিখে প্রকাশিত একটি ইউটিউব ভিডিও পাওয়া যাচ্ছে। আলোচ্য ভিডিওর সাথে এই ইউটিউব ভিডিও পুরোপুরি মিলে যাচ্ছে। ভিডিওর বর্ণনায় হিন্দিতে লেখা রয়েছে – ‘ভারতের পূর্ণিয়া জেলার ডাগরুয়া থানা এলাকায় ভুট্টা ক্ষেতে মৃতদেহ পাওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয়দের তথ্য অনুযায়ী, ১৩ মার্চ সেলাই শেখার জন্য বের হওয়া এই নারী সেদিন রাত ১১টা থেকে নিখোঁজ ছিলেন। পুলিশ অপরাধীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে।’

এসব তথ্য থেকে প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড সার্চ করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দৈনিক ভাস্কর থেকে ১৫ মার্চ, ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিবেদনে যুক্ত ভিডিও এবং দাবিকৃত ভিডিও একই।

জানা যাচ্ছে, ভারতের বিহারের পূর্ণিয়া জেলার ডাগরুয়া থানার হরখেলি পঞ্চায়েতের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সোনপুর তোলা টাওয়ারের কাছে একটি ভুট্টাখেত থেকে রেশমা নামক এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ১৩ মার্চ প্রতিদিনের মতো তিনি সেলাই শেখার জন্য বাড়ি থেকে বের হলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত আর ফেরেননি। পরদিন ১৪ মার্চ তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।

অপর একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম লাইভ হিন্দুস্তানের প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যাচ্ছে। তবে এই নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কি না এমন কোনো তথ্য প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।

সুতরাং ভারতের নারীর মরদেহ উদ্ধারের ভিডিওকে বাংলাদেশের ঘটনা বলে অপপ্রচার চালানোয় ফ্যাক্টওয়াচ এসব পোস্টকে “মিথ্যা” হিসেবে চিহ্নিত করছে।

No Factcheck schema data available.

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে

এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে
ইমেইল করুনঃ contact@fact-watch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh