প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়েছে ৬টি দেশ?

Published on: December 23, 2023

৬টি দেশ প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়েছে তাই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন – এমন ক্যাপশনে ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট পাওয়া যাচ্ছে। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, পোস্টের ক্যাপশনের সাথে অপ্রাসঙ্গিক কালবেলা ও দেশ টিভির দুটি ভিডিও প্রতিবেদন জোড়া দিয়ে ভিডিওটি বানানো হয়েছে। ক্যাপশনের দাবির সপক্ষে মূলধারার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে কিছু পাওয়া যায় না। তাই ভিত্তিহীন ক্যাপশনের জন্য ফ্যাক্টওয়াচ এ পোস্টকে “বিভ্রান্তিকর” আখ্যা দিচ্ছে।

বিভ্রান্তির উৎস

ডিসেম্বরের ১৩ তারিখ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে News Report, 24 Top News ও চকরিয়া মিডিয়া টিভি নামক তিনটি পেইজ থেকে পোস্টটি শেয়ার করা হয়েছে। দেখুন এখানে, এখানে, এখানে


ফ্যাক্টওয়াচ অনুসন্ধান

প্রথমত, “প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইলো ৬টি দেশ, নির্বাচন বন্ধ ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর” – পোস্টের ক্যাপশনের এমন দাবি্র সত্যতা যাচাই করতে নির্ভরযোগ্য গণমাধ্যমে সন্ধান চালানো হয়। ৬টি দেশ প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়েছে, অথবা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন – দুটির একটি দাবির সপক্ষেও কোনো সংবাদ বা প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায় নি। কয়েকটি সংবাদপত্রের ১৩ ডিসেম্বরের রিপোর্ট থেকে জানা যায়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্বের ৬টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন। এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিবের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয় যে বাংলাদেশে ভোটাধিকার রক্ষায় যুক্ত থাকবে জাতিসংঘ। যুগান্তরের রিপোর্ট দেখুন এখানে, ইত্তেফাকের রিপোর্ট দেখুন এখানে, বণিকবার্তার রিপোর্ট দেখুন এখানে

উল্লেখ্য, ভাইরাল ভিডিওটি প্রথম পোস্ট করা হয় প্রতিবেদনগুলো প্রকাশিত হবার দিন।

এদিকে ভিডিওটি পরীক্ষা করে দেখা যাচ্ছে কালবেলা নিউজ এবং দেশ টিভির দুটি ভিডিও প্রতিবেদন  জোড়া দিয়ে ভিডিওটি বানানো হয়েছে। ইউটিউবে সন্ধান করে দেখা যাচ্ছে কালবেলা নিউজের প্রতিবেদনটি “বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে ৬ সংস্থার বিবৃতি প্রসঙ্গে জাতিসংঘে” শিরোনামে ১৩ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয়েছে। ইউটিউবে দেশ টিভির প্রতিবেদনটি “নায়ক-গায়কদের এমপি হতে চাওয়ার কারণ জানালেন নুর” শিরোনামে একই দিনে প্রকাশিত হয়েছে।

৬টি দেশ প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়েছে, অথবা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন – ক্যাপশনের এ দাবিগুলোর সাথে প্রাসঙ্গিক কোনো সংবাদ পরিবেশন করা হয় নি ভাইরাল ভিডিওতে। মূলত একটি মিথ্যা চটকদার ক্যাপশনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে। তাই সার্বিক বিবেচনায় ফ্যাক্টওয়াচ এ পোস্টকে বিভ্রান্তিকর সাব্যস্ত করছে।

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh