Published on: November 2, 2023
![]() |
গুজবের উৎস
গত ৩১ অক্টোবর থেকে ফেসবুকে এ পোস্ট পাওয়া যাচ্ছে। কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে , এখানে , এখানে ।
ফ্যাক্টওয়াচ অনুসন্ধান
ছবিটির মূল উৎস সন্ধান করতে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে এ বছর ১৭ আগস্ট V PALESTINE নামক একটি ভেরিফায়েড টুইটার প্রোফাইলের পোস্ট পাওয়া যায় যেখানে এই ছবিটি শেয়ার করে বলা হয়েছে – গাজায় পেপসি তাদের কোলার ক্যানে ফিলিস্তিনের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য প্রদর্শনীমূলক বিশেষ নকশা উপস্থাপন করেছে।
ফেসবুকে Dragon Studio নামক একটি পেইজ থেকে ১৬ আগস্ট প্রকাশিত একটি রিলে দেখা যাচ্ছে তারা কম্পিউটারে ফিলিস্তিন নকশার নতুন পেপসি ক্যানটি ডিজাইন করেছে। তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যাচ্ছে তারা ফিলিস্তিনভিত্তিক একটি ডিজাইন কোম্পানি যাদের ক্লায়েন্ট লিস্টে পেপসিকোলা পণ্যটি রয়েছে।
পরবর্তীতে অনলাইনে সন্ধান করে ফিলিস্তিনি একটি সংবাদসংস্থা থেকে ১৪ আগস্ট প্রকাশিত একটি রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে বলা হয়েছে পেপসিকো কোম্পানি ফিলিস্তিনে একটি ক্যাম্পেইন শেষে ফিলিস্তিনিদের প্রতি কৃতজ্ঞতাস্বরূপ স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে সম্মান জানিয়ে সেখানকার বাজারে এই নতুন নকশার পেপসি ক্যান ছেড়েছে।
উল্লেখ্য, ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধের সূত্রপাত হয় এ বছর ৭ অক্টোবর। এদিকে ফিলিস্তিনি নকশার পেপসি ক্যান সেখানকার বাজারে ছাড়া হয়েছিলো আগস্ট মাসে, অর্থাৎ যুদ্ধ শুরু হবার দেড় থেকে দু মাস আগে।
পেপসির মুল উৎপাদনকারী কোম্পানি পেপসিকো তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ২৭ অক্টোবরের একটি প্রেস রিলিজে ইসরায়েল এবং গাজা, উভয় স্থানে নিজস্ব কোম্পানির কর্মরত সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।
লক্ষ্যনীয় যে, পোস্টে পেপসিকে ইসরায়েলি পণ্য বলে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু পেপসি উৎপাদনকারী কোম্পানি পেপসিকোর মালিকানা ইসরায়েলের নয়, বরং আমেরিকার। এ প্রসঙ্গে ফ্যাক্টওয়াচের বিস্তারিত প্রতিবেদন পড়ুন এখানে।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে, ফিলিস্তিনের নকশায় পেপসির ক্যান বাজারে ছাড়ার দাবিটি সত্য হলেও এটি সাম্প্রতিক হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের প্রেক্ষিতে করা হয় নি। এই যুদ্ধের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন পণ্য বয়কটের যে ডাক উঠেছে, তার সাথে সময়গত কারণেই পেপসির ক্যানের নকশা বদলের সম্পর্ক নেই। তাই সার্বিক বিবেচনায় ফ্যাক্টওয়াচ এ পোস্টকে “বিভ্রান্তিকর” সাব্যস্ত করছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
|