২০২৪ ব্যাচ থেকে আবার পিইসি-জেএসসি পরীক্ষা চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে?

Published on: January 18, 2024

নতুন শিক্ষাক্রম আগের পরীক্ষা পদ্ধতিতে ফিরে যাচ্ছে এবং ২০২৪ ব্যাচ থেকে পিইসি এবং জেএসসি পরীক্ষা নেওয়ার চূড়ান্ত ঘোষণা দেয়া হয়েছে – এমন দাবিতে ফেসবুকে একটি পোস্ট ঘুরে বেড়াচ্ছে। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, “প্রয়োজনে নতুন কারিকুলামের মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আসবে”,নতুন শিক্ষামন্ত্রীর এ বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এমন গুজব ছড়ানো হয় ফেসবুকে। বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে ইতোমধ্যে এ তথ্যকে মিথ্যা ও বানোয়াট বলে সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। তাই ফ্যাক্টওয়াচ এ পোস্টকে “মিথ্যা” আখ্যা দিচ্ছে।

গুজবের উৎস

১৫ জানুয়ারি থেকে পোস্টটি ফেসবুকে পাওয়া যাচ্ছে। কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে। বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড নামক একটি পেইজ থেকে এটি সর্বপ্রথম পোস্ট করা হয়, যা পরবর্তীতে তারা এডিট করে পরিবর্তন করে। এই পেইজকে সূত্র উল্লেখ করে পরবর্তীতে বিভিন্ন পেইজ ও শিক্ষা সংক্রান্ত গ্রুপে পোস্টটি শেয়ার করা হয়। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড পেইজটি থেকে পূর্বেও একাধিকবার গুজব ছড়ানো হয়েছিলো।

 

ফ্যাক্টওয়াচ অনুসন্ধান

বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটসমূহ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ এবং গণমাধ্যমে সন্ধান করে এমন কোনো সিদ্ধান্ত বা ঘোষণার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় নি। ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে ১৬ জানুয়ারি পোস্ট আকারে একটি সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে – সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু ব্যক্তি প্রচার করছেন যে প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতিতে ফিরে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০২৪ সালে জেএসসি এবং পিএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই তথ্যটি মিথ্যা বানোয়াট। ধরনের তথ্যে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ করা হল।

গণমাধ্যম থেকে জানা যাচ্ছে, সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত নতুন শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল গত ১৪ জানুয়ারি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, প্রয়োজনে নতুন কারিকুলামের মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আসবে। কিন্তু আগের পরীক্ষা পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়া অথবা ২০২৪ ব্যাচ থেকে পিইসি-জেএসসি পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেন নি তিনি। এ বিষয়ে বাংলা ট্রিবিউনের রিপোর্ট দেখুন এখানে, মানবজমিনের রিপোর্ট দেখুন এখানে

গণমাধ্যমে এমন প্রতিবেদন প্রকাশিত হবার পরপরই ফেসবুকে পোস্টটি ভাইরাল হবার ঘটনা থেকে অনুমেয় যে, “প্রয়োজনে নতুন কারিকুলামের মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আসবে”,শিক্ষামন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ফেসবুকে উক্ত গুজব ছড়িয়েছে। তাই সার্বিক বিবেচনায় ফ্যাক্টওয়াচ এ পোস্টকে “মিথ্যা” সাব্যস্ত করছে।

 

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh