র‍্যাবের অভিযানের পুরনো ভিডিওতে মেয়র তাপসের নামে ভিত্তিহীন দাবি

Published on: December 21, 2023

যা দাবি করা হচ্ছে: ​​আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে র‍্যাবের অভিযানে ৬০০কোটি টাকা উদ্ধার এবং এই ঘটনায় ফেঁসে গেলেন মেয়র তাপস – এমন দাবিতে একটি ভিডিও সম্প্রতি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। 

ফ্যাক্টওয়াচের সিদ্ধান্ত: দাবিগুলো বিভ্রান্তিকর।  আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে  র‍্যাবের অভিযানের ঘটনাটি ২০২০ সালে ঘটেছিল এবং সেই অভিযানে প্রায় ২০ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ব্যারিস্টার সুমনের ব্যবহৃত মন্তব্যটিও আগের এবং ভিন্ন প্রসঙ্গের। তবে এ ঘটনায় মেয়র তাপসের জড়িত থাকার কিংবা ফেঁসে যাওয়ার কোনো ধরনের তথ্য বা প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায় নি। 

গুজবের উৎস:

ফেসবুকে শেয়ারকৃত ভিডিওগুলো দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

 

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান:

সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত ভিডিওতে উত্থাপিত দাবিগুলো  সঠিক কি না তা যাচাই করতে প্রাসঙ্গিক কিছু কী-ওয়ার্ড ধরে অনুসন্ধান করে ফ্যাক্টওয়াচ টিম। প্রাথমিক অনুসন্ধানে উক্ত দাবির পক্ষে কোনো ধরণের তথ্য-প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায় নি।

ভিডিওতে র‍্যাবের অভিযানের যে অংশটুকু ব্যবহার করা হয়েছে সেটি গত ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ এ নিউজ ২৪ প্রকাশিত একটি ভিডিও থেকে নেয়া হয়েছে। সেখানে রাজধানীর  দুই আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ি থেকে র‍্যাবের অভিযানে ২০ কোটি নগদ টাকা উদ্ধারের কথা বলা হয়েছে।

ভিডিওর দাবিগুলো নিয়ে মূলধারার গণমাধ্যমগুলোতে অনুসন্ধান করা হলে, সেখানে সাম্প্রতিক সময়ে  র‍্যাবের অভিযানে আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ি থেকে ৬০০ কোটি টাকা উদ্ধার হওয়ার কোনো ধরণের সুনির্দিষ্ট তথ্য ও প্রতিবেদন  খুঁজে পাওয়া যায় নি। 

অন্যদিকে, টাকা উদ্ধারের ঘটনায় মেয়র তাপসের জড়িত থাকার কোনো তথ্য-প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায় নি। এছাড়া মূলধারার গণমাধ্যমেও এর কোনো সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায় নি। 

উল্লেখ্য ভিডিওটিতে, ব্যারিস্টার সুমনের একটি বক্তব্য দেখতে পাওয়া যায়। জানা যায়, “বায়ান্ন টিভি” থেকে প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন থেকে এই অংশটি নেওয়া হয়েছে। ১২, জুন ২০২৩ এ প্রকাশিত এই ভিডিওতে ব্যারিস্টার সুমন বরাক টাওয়ারের কাছে ৬০০ কোটি টাকা বকেয়া থাকা নিয়ে কথা বলছেন। সেখানে তিনি মেয়র তাপস কিংবা আওয়ামী লীগের কোনো নেতার বাড়ি থেকে ৬০০ কোটি টাকা পাওয়া প্রসঙ্গে কোনো কিছু বলেন নি।

অর্থ্যাৎ, ভাইরাল এই ভিডিওতে প্রায় ৬ মাস পুরনো একটি ভিডিও এবং ২০২০ এর একটি ঘটনা জোড়া লাগিয়ে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন একটি দাবি করা হচ্ছে।

তাই ফ্যাক্টওয়াচ উক্ত ভিডিওটিকে “বিভ্রান্তিকর” হিসেবে চিহ্নিত করছে।

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh