ব্যারিস্টার সুমনের করা মামলায় কারাগারে গেছেন সাকিব আল হাসান?

Published on: February 26, 2024

যা দাবি করা হচ্ছে: ব্যারিস্টার সুমনের করা মামলায় কারাগারে গেছেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান

যা পাওয়া যাচ্ছে: দাবিটি মিথ্যা। ব্যারিস্টার সুমন বাদী হয়ে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের নামে কোনো মামলা করেছেন এমন সংবাদ কোথাও প্রকাশিত হয়নি। তাছাড়া ভাইরাল দাবিটির সপক্ষে ব্যারিস্টার সুমনের একটি বক্তব্যের কিছু অংশ ব্যবহার করা হয়েছে, যা ২০১৯ সালের এবং তা সাকিব আল হাসানকে নিয়ে দেয়া কোনো বক্তব্য না।  

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলো দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে

 

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান:

ভাইরাল ভিডিওটির মাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ব্যারিস্টার সুমনের করা মামলায় কারাগারে যেতে হয়েছে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে। যদিও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করা দেখা যাচ্ছে, ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের নামে কখনো কোনো মামলা করেননি। তার কোনো বক্তব্যে এমনটি পাওয়া যায়নি। গণমাধ্যমেও এ বিষয়ে কোনো সংবাদ কখনো প্রকাশিত হয়নি।

উল্লেখ্য, ফেসবুকে এক ভিডিও প্রকাশের মাধ্যমে জুয়ার বিজ্ঞাপনে না জড়ানোর জন্য সাকিবকে অনুরোধের পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে তিন লাখ টাকা দেয়ার কথা বলছিলেন ব্যারিস্টার সুমন। এর কিছুদিন পরেই আরও একটি ভিডিও প্রকাশের মাধ্যমে দাবি করেন, হোটেল সোনারগাঁওয়ে দেখামাত্রই পুলিশ এবং বিসিবি কর্মকর্তাদের সামনেই তাকে মারতে যান সাকিব আল হাসান। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল।

বলাবাহুল্য, আইসিসি থেকে একাধিকবার সাকিব আল হাসানের ওপর নিষেধাজ্ঞার সাজা দেওয়া হয়েছে। সাময়িক নিষিদ্ধ হয়েছেন ক্রিকেট থেকে। তবে বাংলাদেশের কোনো থানায় বা আদালতে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা দায়ের করা হয়েছে – এ জাতীয় কোনো সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হতে দেখা যায়নি।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে সোনাগাজী মডেল থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে করা একটি মামলার রায় ঘোষণা করে আদালত। মামলাটির বাদী ছিলেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। আদালত যে রায় ঘোষণা করে তাতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে একটি বক্তব্য দিয়েছিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বক্তব্যটি দেখুন এখানে। সেই বক্তব্যটির কিছু অংশ বর্তমানে ভাইরাল ভিডিওটির প্রথমে ব্যবহার করা হয়েছে। অথচ উক্ত বক্তব্যের সাথে সাকিব আল হাসানের কোনো সম্পর্ক নেই।

সঙ্গত কারণে এমন দাবিকে ফ্যাক্টওয়াচ “মিথ্যা” সাব্যস্ত করেছে।

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh