“কুমিল্লা” নামে কোনো “বিভাগ” ঘোষণা করা হয়নি 

Published on: April 24, 2024

সম্প্রতি ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করে দাবি করা হয়েছে, অবশেষে ছয়টি জেলা নিয়ে কুমিল্লাকে “বিভাগ” ঘোষণা করা হয়েছে। তবে ফ্যাক্টওয়াচ অনুসন্ধান করে জেনেছে, সরকার “কুমিল্লা” নামে কোনো বিভাগ ঘোষণা করেনি। এমন দাবির সাথে যে ছবি প্রচার হয়েছে তা নতুন কোনো বিভাগ সংক্রান্ত নয় বরং উপজেলা নির্বাচনের একটি প্রজ্ঞাপনের। তাই এমন দাবিগুলোকে ফ্যাক্টওয়াচ “মিথ্যা” সাব্যস্ত করেছে। 

ছড়িয়ে পড়া কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এবং এখানে। 

বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানতে ভাইরাল ছবিটি ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়। ছবিটির বাম পাশের উপরের অংশে বিভাগ স্থানে কুমিল্লা এবং ডান পাশের একটি স্থানে EVM লেখা আছে। তাই ছবিটি দেখে এটি স্পষ্ট হয় না এটা কোনো বিভাগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন কিনা। তবে EVM (Electronic Voting Machine) লেখা থেকে ধারণা পাওয়া যায় এটি নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো প্রজ্ঞাপনের। 

কুমিল্লাকে বিভাগ ঘোষণা করা নিয়ে সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে কোনো তথ্য প্রকাশিত হয়েছে জানতে কি-ওয়ার্ড সার্চ করে দেখা হয়। জানা যায়, এ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে নতুন কোনো তথ্যই প্রকাশিত হয়নি। বরং ২১ অক্টোবর ২০২১ তারিখে প্রকাশিত বাংলা ট্রিবিউন এর একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা “কুমিল্লা” নামে বিভাগ করবেন না। নতুন দুটি বিভাগ তিনি করবেন একটার নাম হবে পদ্মা এবং আরেকটার নাম মেঘনা। মূলত কুমিল্লা বিভাগ হবে মেঘনার নামে।

এখানে লক্ষণীয়, ফেসবুকে যেই ছবি পোস্ট করে কুমিল্লাকে বিভাগ হয়েছে দাবি করা হয়েছে তা মূলত নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় শাখা-২ এর সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ শাহজালালের  স্বাক্ষরিত ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ এর একটি প্রজ্ঞাপন । মূলত, আলোচিত তালিকাটি ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ এর তফসিলে কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী জেলার সমন্বয়ে গঠিত কুমিল্লার নির্বাচনী এলাকার প্রজ্ঞাপনের ছবি। 

“তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট ২৯ মে“ শিরোনামে বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে এসেছে। এ বিষয়ে  বাংলা ট্রিবিউন এবং যুগান্তর থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

সুতরাং, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ এর প্রজ্ঞাপনের ছবি ব্যবহার করে “কুমিল্লা” নামে বিভাগ ঘোষণার দাবি করা হয়েছে। যে কারনে ফ্যাক্টওয়াচ দাবিগুলোকে “মিথ্যা” সাব্যস্ত করেছে।

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh