ওবায়দুল কাদেরের উক্তি বিকৃত করে যমুনা টিভির নামে ভুয়া ফটোকার্ড

Published on: January 23, 2024

যা দাবি করা হচ্ছে: “শিশুদের ভোটের অধিকার কে নিশ্চিত করেছে” এটা ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্য দাবি করে যমুনা টিভির নামে একটি ফটোকার্ড ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

ফ্যাক্টওয়াচের সিদ্ধান্ত: ফটোকার্ডটি বিকৃত। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমন মন্তব্য সংক্রান্ত কোনো তথ্য মূলধারার জাতীয় বা আর্ন্তজাতিক গণমাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায় নি। তাছাড়া, যমুনা টিভির অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে উক্ত তথ্য সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায় নি।

গুজবের উৎস: ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া পোস্টগুলো দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

 

 ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান: 

ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া যমুনা টিভির নামে যে ফটোকার্ডটি দেখা যায়, সেখানে ওবায়দুল কাদের মন্তব্য দাবিতে উল্লেখ করা হয়, “শিশুদের ভোটের অধিকার কে নিশ্চিত করেছে”। তাই এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রাসঙ্গিক কিছু কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করে অনুসন্ধান করা হলে জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক মূলধারার গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায় নি। তাছাড়া, ফটোকার্ডটিতে যমুনা টিভির লোগো ব্যবহৃত হওয়ায় যমুনা টিভির অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজে অনুসন্ধান করা হলে সেখানেও এমন কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে, যমুনা টিভির ফেসবুক পেজে গত ১৪ জানুয়ারি, ২০২৪ এ “আবারও নির্বাচনের দাবি মামার বাড়ির আবদার” শিরোনামে প্রকাশিত একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। ফটোকার্ডটির সাথে ভাইরাল হওয়া ফটোকার্ডটির শিরোনাম বাদে বাকি অংশের মিল খুঁজে পাওয়া যায়। দুটি ফটোকার্ড পর্যালোচনা করে দেখা যায় ভাইরাল ফটোকার্ডটির ফন্টের সাথে যমুনা টিভির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ফটোকার্ডের টেক্সট ফন্টের মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে।

সে সাথে মুল ফটোকার্ডটির শিরোনাম ব্যবহার করে অনুসন্ধান করা হলে যমুনা টিভির ওয়েবসাইটে গত ১৪ জানুয়ারি, ২০২৪ এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। সেখানে ওবায়দুল কাদের সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “দেশি বিদেশি চাপ অতিক্রম করার ক্ষমতা ও সাহস সরকারের আছে। আবারও নির্বাচনের দাবি মামার বাড়ির আবদার। জনগণ সরকারের সাথে আছে। কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করবেন না তারা।”

অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে যে, মূল ফটোকার্ডের টেক্সট-এর স্থানে “শিশুদের ভোটের অধিকার কে নিশ্চিত করেছে” এরকম একটি তথ্য যুক্ত করে বিকৃত করা হয়েছে।

সুতরাং, সকল দিক বিবেচনা করে ফ্যাক্টওয়াচ ভাইরাল হওয়া ছবিগুলোকে “বিকৃত” হিসেবে চিহ্নিত করছে।

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh