Published on: June 22, 2023
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত কয়েকটি ভিডিও ভাইরাল হতে দেখা যাচ্ছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে যে, বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারকে “বাতিল” করা হয়েছে এবং তারা পদত্যাগ করে ক্ষমা চেয়েছেন। উক্ত দাবির স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ বা নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্র ভিডিওতে প্রকাশ করা হয় নি। এ বিষয়ে অনুসন্ধান করলে মূলধারার গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায় নি।এছাড়া বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এর মুল ওয়েবসাইটে পদত্যাগ বা বাতিল হওয়া সংক্রান্ত কোনো প্রজ্ঞাপন খুঁজে পাওয়া যায় নি। বরং তাদেরকে যার যার দায়িত্বে বহাল রয়েছেন বলেই জানা যায়। তাই এসকল অসংগতি বিবেচনায় ফ্যাক্টওয়াচ উক্ত দাবিকে “মিথ্যা” সাব্যস্ত করছে। |
এ সম্পর্কিত কয়েকটি ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে এবং এখানে।
ফ্যাক্টওয়াচ এর অনুসন্ধান
সামাজিক মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এর বাতিল হওয়া কিংবা তার পদত্যাগের যে দাবিগুলো ছড়ানো হচ্ছে সে সম্পর্কে শেয়ারকৃত ভিডিও তে কোন তথ্য উপাত্ত প্রদান করা হয় নি। ভিডিওটি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ভিডিওটির ক্যাপশনে যে দাবিটি করা হচ্ছে, তার সাথে ভিডিওর কোন মিল নেই। ভিডিওতে ইসলামিক শ্রমিক আন্দোলন-এর একটি দাবি সম্পর্কে কথা বলা হচ্ছে। যেখানে উক্ত সংগঠনটি একটি জনসভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এর পদত্যাগ দাবি করে। ভাইরাল এই ভিডিওতে মূলত সেই বিষয়টিকেই তুলে ধরা হয়েছে।
পরবর্তীতে, প্রাসঙ্গিক কিছু কি-ওয়ার্ডের সাহায্যে অনুসন্ধান করা হলে উক্ত দাবির পক্ষে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায় নি। এমনকি মূলধারার কোনো গণমাধ্যমেও এমন কোনো খবর বা নিবন্ধ খুঁজে পাওয়া যায় নি। ফলে নিশ্চিতভাবেই অনুমিত হয় যে, দাবিটি ভিত্তিহীন।
এছাড়া বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে অনুসন্ধান করা হলে, সেখানেও এমন কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায় নি। জানা যায়, বাংলাদেশ এর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল এখনো কর্মরত রয়েছেন।
উল্লেখ্য, তিনি বাংলাদেশের ত্রয়োদশ প্রধান নির্বাচন কমিশনার। ২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং এখন পর্যন্ত তিনি তার দায়িত্বে বহাল রয়েছেন।
এছাড়া উক্ত কমিশনে আরোও তিনজন নির্বাচন কমিশনার এবং একজন সচিবের নাম পাওয়া যায়। তাদের কাউকেই পদত্যাগ কিংবা বাতিল হওয়ার কোনো প্রজ্ঞাপন খুঁজে পাওয়া যায় নি। বরং তারা এখনো কর্মরত আছেন বলেই জানা যায়।
অতএব, সার্বিক তথ্য উপাত্ত বিবেচনায় ভাইরাল দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায় নি। বরং অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ২০২২ এ নিয়োগপ্রাপ্ত হাবিবুল আউয়াল এখনো কর্মরত রয়েছেন। তাই উক্ত দাবিটিকে ফ্যাক্টওয়াচ “মিথ্যা” হিসেবে চিহ্নিত করছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ |