প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদকের নামে ফেসবুকে ভুয়া উক্তি

Published on: March 30, 2023

দৈনিক প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ এর নাম এবং ছবিযুক্ত একটি ভুয়া উদ্ধৃতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। দাবি করা হচ্ছে, সাজ্জাদ শরিফ বলেছেন, স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে দ্রব্যমূল্য এবং স্বাধীনতা সম্পর্কিত প্রতিবেদনটি প্রকাশের দায় প্রথম আলোর নয়, বরং এই দায় সাংবাদিক শামসুজ্জামানের। তবে প্রথম আলো পত্রিকার ওয়েবসাইটে নিশ্চিত করা হয়েছে, নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ এমন কোনো উক্তিই করেন নি। সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ একে মিথ্যা সাব্যস্ত করছে।

গুজবের উৎস

ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে , এখানে , এখানে , এখানে , এখানে

C/O Bangladesh পেজ থেকে রাত ১০ টা ১১ মিনিটে আপলোড করা একটি স্টিকারে লেখা রয়েছে, ‘এই দায় প্রথম আলোর নয় এই দায় শামসুজ্জামানের’। এর নিচে বক্তা হিসেবে ‘সাজ্জাদ শরিফ, নির্বাহী সম্পাদক, প্রথম আলো’ লেখা রয়েছে।

এর নিচে সাজ্জাদ শরিফ এর একটি ছবিও রয়েছে।

এই পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “এই দায় প্রথম আলোর নয় এই দায় শামসুজ্জামানের”।

এর সাথে হ্যাশট্যাগ দিয়ে ফ্রি শামসুজ্জামান, ফ্রড মিডিয়া, এ্যারেস্ট মতিউর রহমান – এই কথা ৩ টি লেখা রয়েছে।

স্টিকারটিতে আর কোনো সূত্রের উল্লেখ নেই।

অনুসন্ধান

প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে ২৯শে মার্চ রাত ১১ তা ৩৮ মিনিটে প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচার  শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

এই প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তাতে প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফের একটি ভুয়া বক্তব্য উদ্ধৃত করা হয়েছে।

প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ বলেছেন, এটা সম্পূর্ণ অপপ্রচার। এমন কোনো বক্তব্য তিনি কোথাও দেননি। সাজ্জাদ শরিফ বলেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমার ছবি ব্যবহার করে এবং বানোয়াট বক্তব্য দিয়ে এটা করা হচ্ছে।—— শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলার প্রেক্ষাপটে প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক বলেছেন, মামলার বিষয়টা প্রথম আলো আইনের পথেই মোকাবিলা করবে।

উল্লেখ্য, নিয়মিত দায়িত্বের পাশাপাশি প্রথম আলো পত্রিকায় সাজ্জাদ শরিফ নিয়মিত কলাম লিখেন এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন।  সর্বশেষ গত ২৯শে মার্চ দুপুর ১ টা ৪ মিনিটে সাজ্জাদ শরিফ এর নেওয়া অধ্যাপক দীপেশ চক্রবর্তীর সাক্ষাৎকার  প্রকাশিত হয়েছে । এর বাইরে সাম্প্রতিক সময়ে প্রথম আলোতে তার অন্য কোনো কলাম প্রকাশিত হয়নি।

প্রথম আলোর বাইরে অন্য কোনো গণমাধ্যমে বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাজ্জাদ শরিফকে সাংবাদিক শামসুজ্জামান বা অন্য কোনো ইস্যুতেই কোনো মন্তব্য করতে দেখা যায়নি। ভূয়া উক্তিটি ছড়িয়ে পড়ার পর প্রথম আলো-র প্রতিবেদনে সাজ্জাদ শরিফের বক্তব্য নেয়া হয়েছে। সেখানে এই দাবিকে তিনি “অপপ্রচার” আখ্যা দিয়েছেন।

তাই প্রথম আলো-র নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ-এর নামে ছড়িয়ে পড়া এই বক্তব্যটিকে ফ্যাক্টওয়াচ ‘মিথ্যা’ সাব্যস্ত করছে।

আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন?
নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?

এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান।
আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh