সেনাবাহিনী কর্তৃক ক্রিকেটারদের প্রশিক্ষণ দেয়ার ঘটনাটি বাংলাদেশের নয়

Published on: March 19, 2024

যা দাবি করা হচ্ছেঃ  ফিটনেস ঠিক করতে ক্রিকেটারদের প্রশিক্ষণ দেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

অনুসন্ধানে যা পাওয়া যাচ্ছেঃ   দাবিটি মিথ্যা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ক্রিকেটারদের ফিটনেস ঠিক করতে কোনো ট্রেনিং দিচ্ছে না। বরং, সেনাবাহিনী কর্তৃক ক্রিকেটারদের প্রশিক্ষণ দেয়ার ঘটনাটি পাকিস্তানের। গত ০৫ মার্চ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি মহসিন নকভি ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, দেশটির ক্রিকেটারদের ফিটনেস প্রশিক্ষণ দিবে সেই দেশেরই সেনাবাহিনী।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এমন কিছু পোষ্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানঃ  

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সত্যিই ক্রিকেটারদের কোনো প্রশিক্ষণ দিচ্ছে কি না এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য শুরুতেই প্রাসঙ্গিক কিছু কি-ওয়ার্ড ধরে অনুসন্ধান করা হয়। তবে, অনুসন্ধানে মূলধারার সংবাদমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য কোনো উৎস থেকে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি যার মাধ্যমে এটা নিশ্চিত হওয়া যায় যে, ফিটনেস ঠিক করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ক্রিকেটারদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।

পরবর্তীতে, ডেইলি পাকিস্তানের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গত ৭ মার্চ “ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়দের ফিটনেস লেভেল উন্নত করতে প্রশিক্ষণ দেবে পাকিস্তান সেনাবাহিনী” (অনুবাদিত) শীর্ষক একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায় যে, পাকিস্তানের বর্তমান জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের  ফিটনেস ঠিক করতে তাদেরকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অধীনে ট্রেনিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। পিসিবির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পিএসএল শেষ হওয়ার পরে ক্রিকেটারদের সেনাবাহিনীর অধীনে ট্রেনিংয়ে পাঠানো হবে। আগামী ২৫ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনীর অধীনে ১০ দিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। গত ৫ মার্চ  ইসলামাবাদের একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ইভেন্টে পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ফিটনেস উন্নত করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে এই  অনুশীলনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, এর আগেও ২০১৬ সালে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা দেশটির সেনাবাহিনীর অধীনে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল।

অর্থাৎ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ক্রিকেটারদের ফিটনেস ঠিক করতে কোনো প্রশিক্ষণ দিচ্ছে না। ঘটনাটি ঘটছে পাকিস্তানে, পাকিস্তানী ক্রিকেটারদের সাথে। সুতরাং, ফ্যাক্টওয়াচ ভাইরাল হওয়া পোস্টগুলোকে মিথ্যা হিসেবে সাব্যস্ত করেছে।

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh