ডিপফেক ভিডিও বুঝবেন কিভাবে?

Published on: January 20, 2023

Fact-File

 

ধরুন, আপনার সামনে একটি ভিডিও আসলো যেখানে দেশের গুরুত্বপূর্ণ কোনো ব্যাক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিচ্ছেন। একদম হুবহু দেখতে, এমনকি তার গলার স্বরটিও অবিকল। সঙ্গত কারণেই আপনি বিশ্বাস করলেন এবং সেটি শেয়ার দিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত জানতে পারলেন ভিডিওটি সত্যি না, বানোয়াট। অবাক করার বিষয় হচ্ছে, আপনি এখনো বুঝতে পারছেন না সেটি কেন বানোয়াট। একেই বলে সিন্থেটিক রিয়ালিটি। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, ডিপফেক বা নিঁখুত মিথ্যা। এই ডিপফেকের খুঁটিনাটি নিয়েই ফ্যাক্টওয়াচের এই মাসের ফ্যাক্টফাইলটি লিখেছেন শুভাশীষ দীপ

 

ডিপফেক কি এবং কেনো?

ডিপফেক কি জানার আগে সিন্থেটিক মিডিয়া সম্পর্কে জেনে নেয়া জরুরি। সিন্থেটিক মিডিয়া শব্দটি কোনো ধরণের ডাটার কৃত্রিম উৎপাদন, বিকৃতিকরণ অথবা পরিবর্তন, সামগ্রিকভাবে এই সবকিছুকে বুঝাতে ব্যবহার করা হয়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, এটি করা হয় স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের মাধ্যমে। ডিপফেক হচ্ছে এক ধরণের সিন্থেটিক মিডিয়া। যার মাধ্যমে কোনো অডিও, ছবি কিংবা ভিডিওতে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে অন্য একজন ব্যক্তির মাধ্যমে প্রতিস্থাপিত করা হয়। যেমন, আপনি আপনার একটি ভিডিও নিলেন এবং হলিউড অভিনেতা মরগান ফ্রিম্যানের আরেকটি ছবি নিলেন, এখন দুইটির মিশ্রণে সম্পূর্ণ নতুন একটি ভিডিও তৈরি হলো যেখানে ফ্রিম্যান আপনার কথাগুলো তার ভঙ্গিতে বলছেন! এটিই ডিপফেক।

 

এখন প্রশ্ন আসতে পারে ডিপফেক কোন কোন আকারে আমাদের সামনে আসতে পারে। উপরে তো আমরা তিনটি মিডিয়া ফর্ম উল্লেখ করলামই তবে এখন টেক্সচুয়াল ডিপফেকও দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও আরও কয়েকটি উপায়ে ডিপফেক আমাদের সামনে আসে:

টেক্সচুয়াল ডিপফেক- এখন প্রায়ই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে বিভিন্ন নিবন্ধ, ই-মেইল এমনকি গবেষণাপত্র পর্যন্ত তৈরি করা হচ্ছে। এই সবই টেক্সচুয়াল ডিপফেক।

ডিপফেক ভিডিও এবং ছবি- ডিপফেকের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত এবং জনপ্রিয় হচ্ছে ভিডিও এবং ছবি। টেকনোলজি এতোটাই এগিয়েছে যে কারোও একটি ছবির উপর ভিত্তি করে সম্পূর্ণ ডিপফেক ভিডিও তৈরি করে ফেলা সম্ভব। আর ছবি বিকৃতি তো এখন খুবই সহজ কাজ।

ডিপফেক অডিও- ডিপফেকের মাধ্যমে শুধু ছবি বা ভিডিও না এমনকি একজন মানুষের কণ্ঠস্বর পর্যন্ত নকল করা সম্ভব।

সামাজিক মাধ্যমে ডিপফেক- একজন টিকটকার আছেন যিনি অভিনেতা টম ক্রজের ডিপ ফেক তৈরির মাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়েছেন। সম্পূর্ণ একটি টিকটক একাউন্টে শুধু টমের ডিপ ফেক ভিডিও। একইভাবে অন্য সামাজিক মাধ্যমগুলোতেও এভাবে নকল একাউন্ট তৈরি করে ফেলা সম্ভব হয়ে থাকে।

লাইভ ডিপফেক- বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে এখন লাইভেই ডিপফেক তৈরি করা যায়। এর মাধ্যমে কেউ ভিডিও কল দিয়ে তার চেহারা এমনকি কন্ঠস্বর পালটে নিজেকে ভিন্ন কেউ দাবি করতে পারে। এমন একটি ঘটনা ঘটেছিলো ইউক্রেনের কিভের মেয়রকে নিয়ে। কেউ একজন তার চেহারা নকল করে ইউরোপের বিভিন্ন মেয়রদের কল দিয়ে কথা বলেছিলো।

ডিপফেক প্রযুক্তির সবচে বিপদজনক বিষয়টা হল, এটি এখন কম খরচে সহজেই তৈরি করে ফেলা যায়। ফলে এই প্রযুক্তি জানা থাকলে যে কেউ আমাদের ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করতে পারেন। এরকম কিছু ব্যবহারের ঘটনা সম্পর্কে জানুন:

এছাড়াও ডিপফেকের আরও কয়েকটি ভাইরাল ঘটনা জানতে পারেন এখানে

ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাজনৈতিক অস্থিরতা, ধর্মীয় সংঘাত, আর্থিক প্রতারণা ও চরিত্র হনন করার মত কাজ খুব সহজেই সম্ভব। বাংলাদেশে এর প্রভাবও হতে পারে মারাত্মক। তাই ডিপফেক প্রযুক্তি দিয়ে বানানো অপতথ্যকে সনাক্ত করতে পারা ভীষণ জরুরি।

 

এখন ভাবুন কিভাবে এই ডিপফেক তৈরি করা হয়?

আগেই বলেছি, বর্তমানে ডিপফেক তৈরি করা খুবই সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন অনেক ফ্রি এপ্লিকেশন আছে ইন্টারনেটে, যার মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যেই তৈরি করে ফেলা যায়। এসব এপ্লিকেশনের সাহায্যে কিভাবে তৈরি করা হয় এবং সর্বোপরি কি কি প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডিপফেক তৈরি করা সেগুলো নিয়ে আলোচনা করবো। যেহেতু লেখাটি কিছুটা টেকনিক্যাল তাই শুরুতে প্রাসঙ্গিক কয়েকটি শব্দের সহজ ব্যাখ্যা জেনে নেয়ার মাধ্যমে যথাক্রমে ডিপফেক পর্যন্ত পৌঁছানো যাক:

শুরুতেই জেনেছি ডিপফেক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি হয়। তাহলে এই আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি? এটি হল মানুষের বুদ্ধিমত্তার অনুপ্রেরণায় মেশিন বা বিশেষ করে কম্পিউটারের তৈরি একটি প্রযুক্তি। এখানে যৌক্তিকভাবে চিন্তা করার একটি বিষয়ও আছে। অর্থ্যাৎ, মোটাদাগে বলা যায়, এমন একটি প্রযুক্তি যা মানুষের মত যৌক্তিকভাবে কাজ বা চিন্তা করতে পারে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি অংশ আছে যার নাম মেশিন লার্নিংএর মূল কাজ হচ্ছে ডাটা এবং এলগরিদম ব্যবহারের উপর জোর দিয়ে মানুষ কিভাবে কোনো কিছু শিখে তা অনুকরণ করা।

এখন এই মেশিন লার্নিং এর একটি উপশাখা আছে যার নাম ডিপ লার্নিং। এটি তিন বা ততোধিক স্তর বিশিষ্ট একটি নিউরাল নেটওয়ার্ক (নিউরাল নেটওয়ার্ক )। ডিপ লার্নিং এর নিউরাল নেটওয়ার্কগুলো প্রধানত ৩ ধরনের-
Artificial Neural Networks (ANN)
Convolution Neural Networks (CNN)
Recurrent Neural Networks (RNN)

ডিপ লার্নিং এর কাজ হচ্ছে মানুষের মস্তিষ্কের আচরণ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে কাজ করা। এখানে নিউরাল নেটওয়ার্ক হচ্ছে এক ধরণের এলগরিদম যা জৈবিক নিউরাল নেটওয়ার্ক থেকে অনুপ্রাণিত। এ ক্ষেত্রে মানুষের মস্তিষ্কে যে নিউরনের নেটওয়ার্ক আছে অনেকটা এমনভাবেই কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়েছে আর্টিফিসিয়াল নিউরাল নেটওয়ার্ক। এর কাজ হচ্ছে ডাটা থেকে প্যাটার্ন চিহ্নিত করা।

এই ধরণের কয়েকটি আর্টিফিসিয়াল নিউরাল নেটওয়ার্কের মিশ্রণে তৈরি হয় জেনারেটিভ এডভার্সাল নেটওয়ার্ক বা জিএএন। মূলত দুইটি বিশেষ নিউরাল নেটওয়ার্কের মধ্যে প্রতিযোগীতার মাধ্যমে নতুন ডাটা তৈরির একটি প্রক্রিয়া এটি। এখানে দুইটি নিউরাল নেটওয়ার্কের একটির নাম জেনারেটর এবং অন্যটি ডিসক্রিমিনেটর। দুইটি মিলে তৈরি করে জেনারেটিভ এডভার্সাল নেটওয়ার্ক।

আমরা উপরে জেনেছি যে জিএএন হচ্ছে একটি মেশিন লার্নিং মডেল যেখানে নিউরাল নেটওয়ার্কের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নিখুঁত নতুন ডাটা তৈরি হয়। এই প্রযুক্তিতে থাকে একটি জেনারেটর এবং একটি ডিসক্রিমিনেটর। জেনারেটর ফেক তৈরি করে এবং ডিসক্রিমিনেটরের কাজ সেটি ফেক না কি রিয়েল তা যাচাই করা। যতবার ডিসক্রিমিনেটর কোনো একটি ডাটা ফেক হিসেবে চিহ্নিত করে ততবার জেনারেটর আরও নিখুঁতভাবে ফেক তৈরি করে। অর্থ্যাৎ, জেনারেটর এবং ডিসক্রিমিনেটরের মধ্যে এক ধরণের প্রতিযোগিতা হয়। সেখানে জেনারেটর যতবার হারে, ততবার সে নিজেকে আরও নিখুঁত করার চেষ্টা করে। এমনই এক চলমান প্রক্রিয়ার ফলাফলই হচ্ছে ডিপফেক।

নিচের একটি মডেল থেকে বিষয়টি আরোও ভালোভাবে বুঝা যাবে:

 

ডিপফেক যাচাইয়ের উপায়:

 

যেসব টেকনোলজির মাধ্যমে ডিপফেক চিহ্নিত করা হয়ে থাকে:

  1. Sensity
  2. Deepware Scanner
  3. Microsoft Video Authenticator
  4. DeepDetector & DeepfakeProof from DuckDuckGoose
  5. Deepfake-o-Meter
  6. Reality Defender

এর মধ্যে Deepware Scanner এর প্রক্রিয়াটি খুবই সহজ। যদিও এটি এখনো পরীক্ষামূলক রয়েছে তবে এর মাধ্যমে মোটামুটি একটি ধারণা পাওয়া যায় যে বাকি এপ্লিকেশনগুলোর মাধ্যমে কিভাবে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ডিপফেক যাচাই করা যায়। পাঠকের সুবিধার্থে কয়েকটি স্ক্রিনশটের মাধ্যমে ধাপগুলো তুলে ধরা হলো:



ডিপওয়ার স্ক্যানারের ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি ইউআরএল বার পাওয়া যাবে। সেখানে ভিডিওটির লিংক দিলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেটি যাচাই করা হয়। সেক্ষেত্রে যদি সেটিতে ডিপফেক কন্টেন্ট পাওয়া যায় তবে “DEEPFAKE DETECTED” লেখা আসবে এবং যদি ফেক কিছু না পাওয়া যায় তবে “NO DEEPFAKE DETECTED” লেখাটি আসবে।

তবে বলে রাখা ভালো, ডিপফেক তৈরির ক্ষেত্রেও টেকনোলজি একইভাবে পারদর্শী হচ্ছে। তাই ডিপফেক চেনার জন্য শুধুমাত্র টেকনোলজির উপর নির্ভরশীল হওয়াটা যথেষ্ট নয়। বরং এর জন্য আমাদের নিজেদের সচেতন থাকাও খুব জরুরি। ডিপফেক চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে মানুষের থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খুব বেশি এগিয়ে আছে — বিষয়টি এমনও নয়। এখনো গবেষণা হচ্ছে, কিভাবে আরও উন্নত সিস্টেম তৈরি করা যায়।

এম আই টি মিডিয়া ল্যাব প্রকাশিত এই আর্টিকেল থেকে প্রাথমিকভাবে ডিপফেক চেনার কয়েকটি উপায় খুঁজে পাওয়া যায়ঃ

  • মুখের দিকে ভালো মনোযোগ দিতে হবে। হাই-এন্ড ডিপফেক ম্যানিপুলেশনগুলি প্রায় সবসময়ই মুখের রূপান্তর হয়।
  • গাল এবং কপালের দিকে লক্ষ্য করে দেখতে হবে,মুখের ত্বক কি খুব মসৃণ বা খুব  ত্বকের বার্ধক্য কি চুল ও চোখের বয়সের মতো? ডিপফেকগুলি কিছু মাত্রায় অসঙ্গতিপূর্ণ হতে পারে।
  • চোখ এবং ভ্রুগুলো ভালোভাবে লক্ষ্য করতে হবে। চোখের ছায়াগুলো ঠিকভাবে সরছে কি না বা তাদের নড়াচড়া স্বাভাবিক কি না।
  • চশমায় মনোযোগ দিন। একদিকে তাকিয়ে আছে কি না দেখুন কিংবা খুব তীক্ষ্ণভাবে একদিকে তাকিয়ে আছে কি না? ব্যক্তির নড়াচড়ার কারণে তার তাকানোর কোনো পরিবর্তন হলো কি না? এসব ক্ষেত্রে আলোর প্রতিফলনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে দেখা যেতে পারে।
  • মুখের দাড়ি কিংবা মাথার চুলের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।। চুল বা দাড়ি অবাস্তব মনে হয় কি না? ডিপফেকের কারণে অনেকসময় গোঁফ, চুল বা দাড়ি সামান্য বিকৃত হয়ে যেতে পারে। ডিপফেক অনেকসময় মুখের যেকোন ধরণের চুলের রূপান্তর সম্পূর্ণ সঠিকভাবে করতে ব্যর্থ হতে পারে।
  • মুখে কোনো তিল থাকলে সেটি আসল দেখায় কি না।
  • চোখের পলকে লক্ষ্য রাখুন। উক্ত ব্যক্তিটির পলক পড়ছে কি না, পড়লেও অস্বাভাবিকভাবে পড়ছে কি না।
  • ঠোঁটের নড়াচড়া দেখতে হবে। কিছু ডিপফেক ঠোঁট সিঙ্কিং এর উপর ভিত্তি করে তৈরি। সেক্ষেত্রে দেখতে হবে ঠোঁটের নড়াচড়া কি স্বাভাবিক দেখায় কি না।

সবগুলো বিষয় মাথায় নিয়ে এখন একটি কুইজে অংশ নিতে পারেন। ডিপফেক চেনার ক্ষেত্রে আপনি কতটা সচেতন তা বুঝার জন্য এমআইটি মিডিয়া ল্যাবের এই পরীক্ষাটি একটি প্রাথমিক ধারণা দিবে।

কুইজের জন্য ক্লিক করুন এখানে

যদি এমন হয় যে, এসবকিছু বিবেচনায় নিয়েও বুঝা যাচ্ছে না ছবি বা ভিডিওটি আসল না ডিপফেক — তবে তা ছড়িয়ে দেয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখা উচিত। সেক্ষত্রে এমন তথ্যের উৎস খেয়াল করুন। একাধিক সূত্র দিয়ে সেটি যাচাই করে দেখুন আসলেই এমন কিছু ঘটেছে কি না।

 

প্রযুক্তির এই অভাবনীয় সাফল্যে আমাদের বিপদের মাত্রাও ঠিক কম নয়। ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাপী গুজব একটি মারাত্মক সমস্যা। এর সাথে যুক্ত হয়েছে ডিপফেক। বাংলাদেশে এর প্রভাব এখনও দৃশ্যমান নয় তবে নিজেদের এ বিষয়ে প্রস্তুত রাখার কোনো বিকল্প নেই। ডিপফেক যাচাইয়ের জন্য হয়তো খুব শীঘ্রই আরো স্বয়ংক্রিয় কিছু প্রযুক্তি আমাদের হাতে আসবে তবে এ বিষয়ে নিজেকে দক্ষ করার কোনো বিকল্প নেই।

 

আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন?
নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?

এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান।
আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh