ডাঃ জাফরুল্লাহ ও ঢাবি শিক্ষার্থী রনির হাত-পা ভেঙ্গে দেওয়ার গুজব

Published on: July 28, 2022

সম্প্রতি একটি ভাইরাল ভিডিওর ক্যাপশনে বলা হয়েছে, জাফরুল্লাহ ও রনির উপর অতর্কিত হামলা মেরে হাত পা ভেঙ্গে দিল বাঁচবে তো!” অনুসন্ধানে জানা যায়, ২৪ জুলাই বিকেল ৫টা নাগাদ  আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনির সঙ্গে সংহতি জানাতে কমলাপুর রেলস্টেশনে যান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তবে এসময় তাকে রেলস্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। পরে তিনি প্রায় ছয় ঘণ্টা কমলাপুর রেলস্টেশনের কলাপসিবল ফটকের বাইরে অবস্থান শেষে ফিরে যান। জাফরুল্লাহ চৌধুরীর রেলস্টেশনে অবস্থানের সেই ভিডিওটি ভিত্তিহীন শিরোনামে ভাইরাল হয়েছে। তাছাড়া ঢাবি শিক্ষার্থী রনি সম্পূর্ণ শারীরিক সুস্থ অবস্থায় ২৫ জুলাই রাতে রেলভবনে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন দিয়েছেন।

উক্ত শিরোনামে ফেসবুকে প্রকাশিত কিছু ভিডিও দেখুন এখানে, এখান, এখানে, এবং এখানে

বিষয়টির সত্যতা জানতে বিভিন্ন কি-ওয়ার্ড সার্চ করে, রনির সাম্প্রতিক  আন্দোলনের বিভিন্ন ভিডিও দেখা হয় এবং তার উপরে গণমাধ্যমের করা বিভিন্ন প্রতিবেদন পড়া হয়। উল্লেখ্য আন্দোলনের সার্বিক তথ্য সার্বক্ষণিকভাবে রনি তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্টে পোস্ট করেছেন। সেখানেও এমন কোনো দাবি করেননি। তাছাড়া ঢাবি শিক্ষার্থী রনি সম্পূর্ণ শারীরিক সুস্থ অবস্থায় ২৫ জুলাই রাতে রেলভবনে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন দিয়েছেন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অবস্থানের ভিডিওটি  ২৪শে জুলাই ২০২২ তারিখে সাংবাদিক জাকারিয়া ইবনে ইউসুফের ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে “কমলাপুরে মহিউদ্দিন রনির অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন জাফরুল্লাহ, বন্ধ হয়ে গেল কলাপসিকল গেট। কতক্ষণ অবস্থান নেবেন তিনি??” শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছে।

এদিকে ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে রেলস্টেশনে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা নেতিবাচক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তবে বর্ষীয়ান এই ডাক্তারের শারীরিক হেনস্তার কোনো সংবাদ কোথাও প্রকাশিত হয়নি।

সুতরাং এটা প্রমাণিত যে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে কমলাপুর রেলস্টেশনে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অবস্থানের ভিডিওটিই “জাফরুল্লাহ ও রনির উপর অতর্কিত হামলা মেরে হাত পা ভেঙ্গে দিল” ভিত্তিহীন শিরোনামে প্রচার হয়েছে।

যে কারণে ফ্যাক্টওয়াচ উক্ত শিরোনামযুক্ত ভিডিওগুলোকে মিথ্যা সাব্যস্ত করছে।

আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন?
নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?

এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান।
আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

Leave a Reply